কমলগঞ্জে তীব্র শীতে গরম কাপড়ের দোকানে বাড়ছে ভিড়
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: চায়ের রাজধানী হিসেবে খ্যাত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল তার মধ্যে অন্যতম কমলগঞ্জ উপজেলা। গত কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে জেলার এই উপজেলাগুলো। সূর্যের দেখা মিলছে না বললেই চলে। দুপুরের পর কোন কোন দিন সূর্য উঠলেও থাকছে না তীব্রতা। প্রচণ্ড শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকের বাসস্থান না থাকায় রাস্তাই যাদের ঘুমানোর একমাত্র সম্বল তাদের জন্য শীত অভিশাপ থেকে কোনো অংশে কম নয়।
বুধবার ১ জানুয়ারি কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের পাশে খড়-কুটো দিয়ে আগুন ধরিয়ে চারপাশে ৭-৮ জন মিলে আগুন পোহাতে দেখতে পাওয়া যায়। কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ বসে, যে যেভাবে পারছেন আগুনের তাপ পোহাচ্ছেন। শৈত্যপ্রবাহে নাজেহাল অবস্থা সবার।
তাই শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানকার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের ভিড়। তবে সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও বেশি চাইছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
প্রায় প্রতিদিনই সকাল ১০টা পর্যন্ত সড়কের যানবাহনগুলোকে দেখা যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করতে। কয়েকদিনের ভারী কুয়াশা আর প্রচন্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে লক্ষ্যনীয় মাত্রায় । যাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি।
প্রতিদিন রাত ৮টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রামগঞ্জ ও শহরের হাট-বাজারগুলো। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে শীতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ।
কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ বাজারে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ ও শিশুরা মিলে ভিড় করছেন পছন্দমত শীতের কাপড় কিনতে। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা এমনকি ৩০০০ হাজার টাকা দামের কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে সেখানে।
এ উপজেলার শমশেরনগর বিমানবন্দর সড়কে বসা ফুটপাতের দোকানে শীতের কাপড় কিনতে আসা জাহেদ আহমেদ জানান, এখানে নিজের জন্য এবং পরিবারের মানুষজনের জন্য প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে ভেবে তিনি এখানে কাপড় কিনছেন। ভাল মানের কাপড় এখানে পাওয়া যায় তবে কাপড়ের দাম গতবারের চেয়ে অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।
উপজেলার আদমপুর বাজার গেলে সেখানেও দেখা মিলে লোকজনের ভীর জমেছে পুরাতন কাপরের দোকানগুলোতে। জানা যায় এখান থেকে হিন্দু-মুসলিম, মনিপুরী সকলেই শীতের কাপর কিনতে আসেন, শরীরে মাফ মতো নিজের পছন্দনুযায়ী কাপর কিনতে সাথে নিয়ে আসেন বয়স্ক ও ছোট ছোট বাচ্ছাদেরও। দাম যেমনি হোক এ পুরাতন কাপরের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ভাল মানের কাপর ও পছন্দনুযায়ী।
গরম কাপড় ব্যবসায়ি সোহান আহমেদ জানান, এবছর ভালমানের শীতের গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। ক্রেতারা উন্নত মানের যাবতীয় কাপড় সংগ্রহ করতে পারছেন এবং এখনকার মত শীত থাকলে বেচাকেনাও আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা তার।
মন্তব্য করুন