জুড়ী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন নেন দুই কর্মচারী!
জুড়ী প্রতিনিধি॥ জুড়ী উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুই কর্মচারী মাসের শেষে শুধু বেতন-ভাতা নিতে কর্মস্থলে যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই কর্মচারী এ কাজ করলেও তাঁদের অনুপস্থিতির বিষয়টি সম্প্রতি সংশ্লি¬ষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরে ধরা পড়ে। ওই দুই কর্মচারী হলেন জুড়ী কার্যালয়ের মেকানিক চন্দন চন্দ্র রায় ও আবুল হোসেন। চন্দনের বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল¬া ও আবুলের বাড়ি কুমিল¬ার দাউদকান্দি উপজেলায়। এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পাশের বড়লেখা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী কবির হোসেন বলেন, বড়লেখায় দাপ্তরিক বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে জুড়ী কার্যালয়ের কার্যক্রম নিয়মিত তাঁর পক্ষে তদারক করা সম্ভব হয় না। অননুমোদিত অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি নজরে আসার পর জুন মাস থেকে চন্দনের বেতন-ভাতা আটকে রাখা হয়েছে। আবুল জুন মাসের বেতন-ভাতা উত্তোলন করে ফেলায় তাঁর জুলাই মাসের বেতন-ভাতা আটকে রাখা হবে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ কার্যালয়ে একজন উপসহকারী প্রকৌশলী, তিনজন মেকানিক ও একজন এমএলএসএস রয়েছেন। মেকানিক চন্দন ২০১৪ সালের জুলাই ও আবুল হোসেন জানুয়ারি মাসে জুড়ীতে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তাঁরা সংশ্লি¬ষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্রায়ই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। কার্যালয়ে পূর্ণ দায়িত্বে কোনো কর্মকর্তা না থাকার সুযোগে তারা মাস শেষে বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে এসে হাজিরা খাতায় উপস্থিতির স্বাক্ষর দিয়ে চলে যান। হাজিরা খাতা অনুযায়ী চন্দন ৫ জুন ও আবুল ২৮ জুন থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন। চন্দন চন্দ্র রায় বলেন, সপ্তাহে একবার অফিসে আসি। আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি এখন জুড়ীর বাইরে। আসলে কিছুদিন ধরে অসুস্থ। অফিসে ছুটির আবেদন করে এসেছি।’
মন্তব্য করুন