বড়লেখায় কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা

আব্দুর রব : মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন বলেছেন, দেশের প্রতিটি পরিবারের কোনো না কোনো সদস্যকে তাদের বাচ্চাদের লেখাপড়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়। সরকারের অন্যান্য দপ্তরের চেয়ে এই দুই দপ্তরে মানুষ সবচেয়ে বেশি যায়। এমনও মানুষ রয়েছেন যাদের কোনো দিনই থানায়, আদালতে, ইউএনও অফিস কিংবা সরকারের অন্যান্য দপ্তরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে গেছেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। তাই সাধারণ মানুষ যে জায়গাগুলোতে সবচেয়ে বেশি যায়, সেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, সেবার মান বাড়াতে হবে। শিক্ষক ও চিকিৎসকদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।
১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারি, সেবাগ্রহীতা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, দেশের পরিবর্তন আনতে হলে প্রথমে আমাদের নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। সরকারি উন্নয়ন কাজের মানের ব্যাপারে সাধারণ মানুষ যেন অভিযোগ দিতে না পারে সেভাবেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার তদারকি থাকতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ আসলাম সারোয়ারের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নানা জনদুর্ভোগ তোলে ধরে তা লাঘবের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ, ময়নুল হক, বদরুল ইসলাম, স্বপন কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তার, উপজেলা প্রকৌশলী প্রীতম সিকদার জয়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার প্রানেশ চন্দ্র বর্মা, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নছিব আলী, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এমাদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান খছরু, থানার ওসি (তদন্ত) শেখ মো: কামরুজ্জামান, অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ফয়সল আহমদ, ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান আহমদ, ইউপি সদস্য সদস্য আব্দুল মান্নান, আলিম উদ্দিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন