শ্রীমঙ্গলে শেষ সময়ে জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা

March 27, 2025,

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : শ্রীমঙ্গলে রোজার শেষ সময়ে জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা। সারাদিন টুকটাক বেচাকেনা থাকলেও ইফতারের পর পর শহরের বিপনী বিতানগুলোতে বেড়ে যায় বেচাকেনা। শহর ঘুরে দেখা যায় শহরের বড়

বড় মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। বিশেষ করে শাপলা মার্কেট, মিদাদ শপিং সিটি, মিতালী ম্যানশন, খাতুন ম্যানশন, রোকেয়া ম্যানশন, সৈয়দ ফশিউর রহমান মার্কেট, সাইফুর রহমান মার্কেটসহ শহরের সব মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে শহরের একই ছাদের নীচে সব পাওয়া যায় এমন শপিং মলগুলোতে ক্রেতাদের দিনে রাতে উপচে পড়া ভিড় থাকে বেশি। ঈদ মানেই পছন্দসই পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে ঈদের আনন্দকে উদযাপন করা। তাইতো রমজানের শেষের দিকে বেড়েছে ঈদের কেনাকাটা। সাধ্যের মধ্যে মানানসই পোশাক কিনতে শ্রীমঙ্গলের বিপনী বিতানগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। একই ছাদের নিচের দোকানগুলোর মধ্যে এমবি ক্লথ স্টোর, বিলাস শপিং সেন্টারে পাওয়া যাচ্ছে ছোট বড় সকল বয়সীদের পোশাক, কসমেটিকস, জুতা, থ্রি পিছ, টপস, ফ্রক, পেন্ট, পায়জামা-পাঞ্জাবী, শার্ট, টি-শার্ট, শাড়ী কাপড়, আনরেডি থ্রিপিছ, লেহেঙ্গাসহ শিশুদের বাড়তি বায়না খেলনাসহ বিভিন্ন ধরণের পোশাক আশাক। আর এসব শু-রুম গুলোতে কেনাকাটা করতে স্বাছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন ক্রেতারা। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল থেকে আশা ক্রেতারা ঘুরছেন এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে। কাঙ্খিত দামে পোশাক খুঁজছেন বিভিন্ন বিপনী বিতানগুলোতে। বিলাস শপিং মলে আসা এক ক্রেতা বলেন এবার মেয়েদের পোশাকের দাম গতবারের ছেয়ে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে এমবি, বিলাসে দাম একটু বেশি হলেও ক্রেতারা ঠিকই কিনে নিচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে এবার এমবি ক্লথ স্টোর থেকে বিলাস শপিং সিটিতে পোশাক আশাকের দাম বেশি রাখা হচ্ছে। এবারের ঈদে মোটামোটি ভালোমানের একটি জামা ক্রয় করতে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা দাম রাখা হচ্ছে। ভালোমানের মেয়েদের জামা ৬ থেকে ১০হাজার টাকা দামে পর্যন্ত বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা আরও অভিযোগ করে বলেন এবার এমবি ক্লথ স্টোর থেকে বিলাসে কাপড়ের দাম একটু বেশিই রাখা হচ্ছে। অপরদিকে শাপলা মার্কেটের উজ্জ্বল বস্ত্র বিতান, বসুন্ধরা শপিং সেন্টার ও আল-হামরায় মোটামোটি সাধ্যের মধ্যেই জামা কাপড় পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে এমবি ক্লথ স্টোরের পরিচালক মো: নুরুল ইসলাম কামরান যায়যায়দিনকে জানান, এবারের ঈদে বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। এমবি ক্লথ স্টোর এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে আমরা কালেকশন করে থাকি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী। এর মধ্যে ছোটদের জুতো থেকে শুরু করে বড়োদের যাবতীয় প্রোডাক্ট মেয়েদের থ্রিপিছ, আনস্টিচ থ্রিপিছ, লেহেঙ্গা, টপস, পাঞ্জাবী, কুর্তী, সকল ধরণের পোশাক আশাক সকল শ্রেণীর মানুষের হাতের নাগালের মধ্যেই আমরা চেষ্টা করছি দামটা শহনশীল রাখার জন্য। শাপলা মার্কেটের বিক্রেতা উজ্জ্বল বস্ত্রালয়ের স্বত্তাধীকারী মো: আব্দুল কাইয়ুম বলেন, পনের রোজা পর্যন্ত তেমন বেচাকিনি হয়নি তবে এখন বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। এবার বাজাওে পোশাকের দাম গত বারের চেয়ে বেশি দামে কিনে আনতে হয়েছে। তাই এবারের ঈদের পোশাকের দামটা একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বসুন্ধরা শপিং সেন্টারের স্বত্ত্বাধীকারী শাহজাহান উদ্দিন আহমেদ বলেন, রোজার প্রথম সপ্তাহে তেমন একটা বেচাকিনি থাকে না তবে পনের রোজার পর থেকেই বেচাকিনি জমে উঠে। আমরা নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় তুলি সব সময় এতে ক্রেতারা স্বাছন্দ বোধ করেন। দামও তাকে সাধ্যের মধ্যে। বসুন্ধরায় পাঞ্জাবী, পায়জাম, শার্ট, টি-শার্ট সর্বনিম্ন ৮শত থেকে ৬হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

অপরদিকে মিতালী ম্যানশন, খাতুন ম্যানশন, মিদাদ শপিং সেন্টার, সৈয়দ ফসিউর রহমান মার্কেট, রোকেয়া ম্যানশন ও সাইফুর রহমান মার্কেটে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা ভিড় করেন সব ঈদেই। এবারও এর ব্যতিক্রম নয় মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় সাধ্যের মধ্যে নিজের পছন্দসই কাপড় কিনছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ সারাদেশে পোশাক আশাক বেশি দামে বিক্রি করছে কিনা তা দেখার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মার্কেটে মার্কেটে ঘুরে বাজার মনিটরিং করা হলেও শ্রীমঙ্গলের কোন মার্কেটেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কোন বাজার মনিটরিং চোখে পড়ার মতো নয়। তাই যে যেভাবে পাড়ে দাম বেশি রেখে অনায়াসে পোশাক বিক্রি করে যাচ্ছেন বিক্রেতারা।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com