সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে দুই টাকার ইফতার

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : দুই টাকার বিনিময়ে অসহায় পাশে ‘দ্য হেলপিং উইং। অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে দুই টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে ৭ পদের ইফতার। একদল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এই সামাজিক সংগঠনটি রমজানে ইফতারের পাশাপাশি দুর্গাপূজায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী অসহায় মানুষদের মধ্যে দুই টাকার বিনিময়ে নতুন কাপড় বিতরণসহ বন্যায় ত্রাণ সরবরাহের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
২০২১ সালে শ্রীমঙ্গলে প্রথমবারে মতো দুই টাকায় ইফতার বিতরণ প্রোগ্রামটি চালু করেছিলো সংগঠনটি। এরপর থেকে প্রতি রমজানের ২৮ দিন সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হাতে ইফতার তুলে দিয়েছিলেন তারা। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও রমজানের প্রথম দিন থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করেছে তারা।
দ্যা হেল্পিং উইং’ নামক সংগঠনের উদ্যোগে রোববার শহরের রেল স্টেশন চত্বরে শতাধিক অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে দুই টাকার বিনিময়ে ৭ পদের ইফতার তুলে দেন সংগটনটির সদস্য হাসনাত হৃদয়, প্রত্যয় হোম চৌধুরী, ফয়সাল আহমেদ, লাবিব চৌধুরী, ফারদিন আহমেদ, তাহিম চৌধুরী, জয় চৌধুরী, মাশফি আহমেদ,আশফাক আদেল ।
এই সংগঠন শুধু রমজানেই নয়, সিলেটের বন্যার সময়ও অসহায়দের ত্রাণ সরবরাহের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানীয় জল, এবং জরুরি সহায়তা পৌঁছে দিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এছাড়াও, দুর্গাপূজার সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বী অসহায় মানুষদের মধ্যে দুই টাকার বিনিময়ে নতুন কাপড় বিতরণ করেছে, যা তাদের জীবনযাত্রায় একটি আশার আলো নিয়ে এসেছে। শীতে, “দ্য হেলপিং উইং” কম্বল বিতরণ কর্মসূচি চালিয়ে শীতকালে শরণার্থীদের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করেছে। এই ধরনের সহায়তায় প্রতিটি গরীব ও অসহায় মানুষের মধ্যে নতুন জীবনধারা ও সাহস নিয়ে এসেছে।
“দ্য হেলপিং উইং” এর সদস্য হাসনাত হৃদয় বলেন, এই ছোট্ট উদ্যোগের মাধ্যমে বড় একটি পরিবর্তন আনা সম্ভব। আমরা বিশ্বাস করি, যদি আমাদের সামান্য সাহায্যও অসহায় মানুষের মুখে হাসি নিয়ে আসে, তাহলে আমাদের লক্ষ্য পূর্ণ হয়েছে। এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে আরো মানুষ যদি এগিয়ে আসে, তবে “দ্য হেলপিং উইং” আরো বড় পরিসরে সমাজে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।
প্রত্যয় হোম চৌধুরী বলেন, সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত সমাজসেবা।এই ধরনের উদ্যোগগুলো আমাদের সমাজে সহযোগিতা ও মানবিকতার মূল্যকে নতুন করে প্রমাণিত করে। “দ্য হেলপিং উইং”-এর মতো সংগঠনগুলো সত্যিই সমাজের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।
মন্তব্য করুন