আদ-দীন থেকে উদ্দীনঃ সেকাল থেকে একালের এক এগারোর উদ্দীনগন

July 11, 2017,

মুজিবুর রহমান মুজিব॥ আদ-দীন একটি আরবি শব্দ। আদ-দীন থেকে উদ্দিন শব্দের উৎপত্তি বলে অভিমত প্রকাশ করেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় পর্য্যায়ে পুরস্কার প্রাপ্ত শ্রেষ্ট ইমাম টাউন কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আলহাজ¦ হযরত মৌলানা মুফতি শামসুল ইসলাম সাহেব। সেকালে উদ্দিন নাম কিংবা পদবী ধারিগন দ্বীন দুনিয়া কওমের খেদমতে নিজেদরকে উৎসর্গ করে আল্লাহ ও রাসুল প্রেমে ফানা ফিল্লাহ ছিলেন। এই সব সংসার ত্যাগী পীর আউলিয়া ইসলামি চিন্তাবিদ উলামায়ে কেরামগনের আল্লাহ নবী প্রেম, ত্যাগ তিতিক্ষার কথাও কাহিনী ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসে ঐতিহাসিক অধ্যায়।

মহাপবিত্র ধর্ম ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গঁ জীবন বিধান। ইসলাম ধর্মের বিধান মোতাবেক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব রসুলে খোদা হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (দঃ) সাইয়্যেদুল মুরছালীন নবীদের সর্দার, শ্রেষ্ট নবী এবং খাতিমুন্নাবিয়ীন নবীদের শেষ নবীও বটেন। রসুলে খোদা হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (দঃ) মারফত কালামুল্লা, পবিত্র আলকোরআন নাযিল শেষ হয়েছে-ইসলাম ধর্ম পূর্নতা লাভ করেছে। মাত্র তেষট্টি বৎসর বয়সে নবুওতির পূর্নতা ও দায়িত্ব পালন শেষে হাবিবে আল্লাহ মোহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ (দঃ) বিশ^বাসীকে কাঁদিয়ে মুসলিম উম্মাকে এতিম করে দুনিয়া থেকে বিদায় নেন- হাজির হন তাঁর ও আমাদের মহান ¯্রষ্টা ও প্রতিপালকের দরবারে।
মহানবীর মহাপ্রয়ানের পর তাঁর প্রিয় ছাহাবি-তাবে-তাবেয়ীনগন আল্লাহ প্রদর্শিত পথ দেখিয়েছেন-উম্মতে মোহাম্মদীগনকে। পিরানে পীর বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী পৃথিবীর ওলিকুলের পথ প্রদর্শক এবং ওলিকুল শিরমনি হিসাবে খ্যাত ও স্বীকৃত। পিরানে পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানীর কারামত সমুজ্জল জীবন দর্শন বিশ^ মুসলিমের জানা, তাঁর জীবনালোচনা এই রচনার মূল উদ্দেশ্য নয়, মূল লক্ষ এই যে, এই পিরানে পীরের উপাধী-নাম ছিল শেখ মহিউদ্দিন। কাদিরিয়া ছিলছিলার প্রবর্তক বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (র) বিশ^ ওলিকুল শিরোমনি হিসাবে স্বীকৃত ও খ্যাত।
সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীবে নেওয়াজও একজন উদ্দিন নাম ও পদবী ধারি। তিনি খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রা)। মধ্যযুগে দিল্লী তথা ভারত বর্ষে ইসলাম প্রচারে গরীবে নেওয়াজের ঐতিহাসিক ভূমিকা ইতিহাসের গৌরবোজ্জল অধ্যায়। আজমীরে খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি চীর শয়ানে শায়িত। খাজা বাবার খলিফা কুতুব কাকিও একজন উদ্দীন। তিনি কুতুব উদ্দিন বখতিয়ার কাকি হিসাবে বিখ্যাত। দিল্লির অদূরেই তাঁর পবিত্র মাজার শরীফ বিদ্যমান। দিল্লির অনতি দূরেই বিখ্যাত নিজাম আউলিয়ার মাজার। ইনি বিখ্যাত নিজাম উদ্দিন আওলিয়া। ইনিও একজন উদ্দীন নাম ধারী। সিলেট অঞ্চলে ত্রয়োদশ শতাব্দীর খ্যাতিমান আওলিয়া শাহ জালার ইয়েমেনী। তাঁর প্রধান সেনাপতির নাম সৈয়দ নাসিরুদ্দীন। মুড়ারবন্দে তাঁর পূর্ব-পশ্চিমে মাজার বিদ্যমান। হযরত শাহ জালালের সমসাময়িক আরেক খ্যাতিমান আওলিয়ার নাম শায়খ জালাল উদ্দিন তাবরিজি। হযরত শাহ জালালের সফর সঙ্গীঁ ওলি আল্লাহ হযরত সৈয়দ শাহ রুকন উদ্দিন। তিনিও একজন উদ্দিন। রাজনগর উপজেলাধীন কদমহাটায় তাঁর মাজার বিদ্যমান। এইভাবে উদ্দিন নাম ও পদবী ধারি একাধিক পীর আওলিয়ার নাম আছে।
একাধিক পীর আওলিয়া ছাড়াও উপমহাদেশের একাধিক রাজা-বাদশা-সুলতান-শাসকের নাম ও উদ্দিন সংযুক্ত। দ্বাদশ শতাব্দীতে গজনীর শাসক মোহাম্মদ ঘোরি দিল্লির সর্বশেষ মহাপরাক্রমশালী রাজপুত রাজা পৃথ্বিরাজ চৌহানের তিন লক্ষাধিক সেনাবাহিনীকে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে পরাজিত করে দিল্লিতে মুসলমানদের বিজয় নিশান উড়ান। বীর ঘোরির নাম ও ছিল উদ্দিন দিয়ে। তিনি ভারতের ইতিহাস খ্যাত শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ ঘোরি। দিল্লী বিজয়ী বীর ঘোরির প্রধান সেনাপতি ছিলেন কুতুব উদ্দিন আইবেক। মামলুক ক্রীতদাস দিল্লীতে দাস বংসের প্রতিষ্টাতা কুতুব উদ্দীন আইবেক একজন আদর্শ শাসক ও কুতুব মিনার এর নির্মাতা। তার সেনাপতি বঙ্গঁবিজেতা বিন বখতিয়ার খিলজির নাম ইক্তিয়ার উদ্দীন। তাঁর ভয়ে রাজা লক্ষন সেন রাজধানী গৌড় থেকে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। দিল্লির খিলজি বংশীয় শ্রেষ্ট শাসক ও বীর যোদ্ধা আলাউদ্দিন খিলজি একজন উদ্দীন নামধারী ছিলেন।

ভারতে মুঘল স¤্রাজ্যের প্রতিষ্টাতা চেঙ্গীঁস-তৈমুরের অধঃস্থন বংশধর তুর্কি বীর বাবর মুঘল সিংহাসন আরোহনের সময় জহির উদ্দিন উপাধি ধারন করেছিলেন। ভাগ্যাহত পুত্র স¤্রাট হুমায়ুন এর নাম ছিল নাসিরউদ্দিন। আকবরদি গ্রেট এর নাম ছিল জালাল উদ্দিন। সর্বশেষ মুঘল স¤্রাট বাহাদুর শাহ এর নাম ছিল আবু জাফর সিরাজুদ্দিন মোহাম্মদ বাহাদুর শাহ। এইভাবে উদ্দিন নাম ও পদবি ধারিগন জন কল্যান রাজ্য শাসনে ঐতিহাসিক অবদান রেখে গেছেন।
বাংলাদেশ দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার একটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক জনপদ। বাঙ্গাঁলী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জনক এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গঁবন্ধুর মন্ত্রীসভায় মিজানুর রহমান চৌধুরী সহ একাধিক রহমান নামধারি নেতা ও মাননীয় মন্ত্রী ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একাত্তোরের অগ্নিঝরা মার্চে দেশ ও জাতির সেই ক্রান্তি কালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর একজন চৌকশ মেজর  স্বদেশ প্রেম ও স্বদেশিকতায় উদ্ভোদ্ধ হয়ে নিজের জীবনকে বাজি রেখে হানাদার খান সেনাগনের বিরুদ্ধাচরন ও বিদ্রোহ করে বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান পঁচাত্তোর উত্তর রাজনৈতিক সংকটকালে, বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ডের পর সেনাপ্রধানের দায়িত্ব প্রাপ্তির পর সেনাবাহিনীতে চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনেন। পর্যায়ক্রমে ও ধারাবাহিকভাবে জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি নির্বাচিত হয়ে বহুদলীয় গনতন্ত্র ও উৎপাদন উন্নয়নের রাজনীতি শুরু করেন। তাঁর মন্ত্রীসভায় ও শাহ আজিজুর রহমান সহ রহমান পদবী ধারি একাধিক নেতা ও মন্ত্রী ছিলেন। একটি বিদেশী পত্রিকায় ÒBangladesh a country of Rehman’sÓ- বলে সংবাদ ছাপিয়েছিলেন।
ডক্টর ফখর উদ্দিন আহমদ এর নেতৃত্বাধীন বিগত দীর্ঘ মেয়াদী কেয়ার টেকার সরকার আমল ছিল বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, আমলাতন্ত্র এবং ব্যবসায়ী সমাজের জন্য একটি কঠিন ও বৈরী সময়। কাল বৈশাখী ঝড়। –ÒEverybody is equal in the eye of law and no body is above law”- – বলে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, বি.এন.পির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সহ উভয় দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী, দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ীগনকে গ্রেফতার করেছিলেন। দল নিরপেক্ষ কেয়ার টেকার সরকার পরবর্তী পর্য্যায়ে তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখেন নি। তখন দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ছিলেন প্রফেসর ডক্টর ইয়াজ উদ্দিন আহমদ, তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন সাবেক পদস্থ আমলা ডক্টর ফখরুদ্দিন আহমদ (পাক আমলে এই জাদরেল সি.এস.পি. মৌলভীবাজারের মহকুমা প্রশাসক ছিলেন) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন জেনারেল মঈন উদ্দিন আহমদ। মঈন ইউ, আহমদ উল্লেখিত জেনারেল মঈন একজন উদ্দিন পদবি নামধারী ব্যাক্তি ও ব্যাক্তিত্ব। ওয়ান ইলেভেনের অন্যতম কুশিলব নবম ডিভিশনের জিওসি জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীও একজন উদ্দীন। সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন একদিন সংবাদপত্রে ঘোষনা দিলেন- ÒI want a Peaceful retirementÓ.  নিবন্ধকার (মুজিবুর রহমান মুজিব) তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন এর এমন ঘোষনাকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন -“উয়েল মিষ্টার জেনারেল তাই যেনো হয়”- নিবন্ধটি জাতীয় দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে প্রশংসিত হয়। তৎকালীন চার উদ্দিনের একজন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান হিসাবে জেনারেল মঈন ইউ আহমদ অঘোষিত সি.এম.এল.এ- এর মত চুটিয়ে বাংলাদেশ শাসন করেছেন। তখন নির্বাচিত সরকার-সংসদ ছিলনা পৌর মেয়র চেয়ারম্যানগন অনেকেই হাজতে স্বেচ্ছা নির্বাসনে। তখন শুধুমাত্র মিডিয়াই জাতির জাগ্রত বিবেক হিসাবে কাজ করেছেন। একটি হালনাগাদ ভোটার লিস্ট ছাড়া সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার জাতিকে তেমন কাংখিত ফল দিতে পারেন নি। জাতীয় নির্বাচনটিও ছিল বিতর্কিত। প্রশ্নবিদ্ধ। প্রথম ভাগে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অবশ্যই প্রশংসনীয়।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ডক্টর ইয়াজউদ্দিন বেগম খালেদা জিয়ার বদান্যতায় বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হলেও পরবর্তী কালে মেরূদন্ডহীন -ইয়েস উদ্দিনে পরিনত হন। তাঁর প্রেস সেক্রেটারি মোখলেছুর রহমান চৌধুরীর লেখায় বহু অজানা তথ্য বেরিয়ে এসছে। দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হয়েও তাঁকে ও অনেক কিছু সইতে হয়েছে। করতে হয়েছে। সাবেক ডাকসাইটে আমলা ডক্টর ফখরুদ্দিন আহমদ বর্তমানে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে। তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন উদ্দিন আহমদও তাই। শুনা যায় ওয়ান ইলিভেনের এই জাদরেল জেনারেল এখন অসুস্থ। পত্রিকান্তরে খবরে প্রকাশ আমেরিকায় একটি জানাযায় ডক্টর ফখরুদ্দিন উপস্থিত হলে তার পরিচিতি প্রকাশ পেলে তিনি বিবেকবান জনতার ধাওয়া খান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমেরিকা প্রবাসী এই দুই উদ্দীন সাহেব ক্ষমতা ত্যাগের পর আর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেননি। অবসর প্রাপ্ত জেনারেলের এটি Peaceful retirement নয়। আশিত পর বৃদ্ধ সাবেক আমলা ডক্টর ফখরুদ্দীনও এই পরিনত বয়সে শেষ সময়ে বিদেশ বিভূইয়ে থাকার কথা নয়, আত্বীয় স্বজন, একজন মুসলমান হিসাবে মসজিদ-মাদ্রাসা-নামাজ কালামেই তার থাকার কথা কিন্তু এই দুই উদ্দীনের বেলায় তা হয়নি।  ভাগ্যবান (?) জেনারেল মাসুদ উদ্দীন চৌধুরী অনেক ঘটনা-দূর্ঘটনার পর তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে ন্যাস্থ হলে তিনি বর্ধিত মেয়াদে ও রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন শেষে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করতঃ ব্যবসা বানিজ্য করছেন।
বিগত দীর্ঘ মেয়াদী কেয়ার টেকার সরকারামলে চার উদ্দীনের বাংলাদেশ-এ কান্ট্রি অব উদ্দীনস- হলেও প্রফেসর ডক্টর ইয়াজ উদ্দিন, ডক্টর ফখরুদ্দিন, জেনারেল মইন উদ্দিন আহমদ, এবং জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর নামে এমন কোন সংবাদ ছাপা হয়নি। তবে এই চার জন উদ্দিন সাহেব সকলে পরিনত বয়সে শান্তিপূর্ন-স্বাভাবিক জীবন-যাপন করেননি-করছেন না-অশান্ত-অস্বস্থি-স্বেচ্ছা নির্বাসনে আছেন।
মানুষের জীবন ক্ষনস্থায়ী। মহান আল্লাহ বলেন- “ কুল্লিন নাফসিন জ্যায়িকাতুল মউত”- জগতের সকল প্রাণীকেই একদিন মৃত্যোর স্বাদ গ্রহন করতে হয়। মানুষ মরনশীল হলেও মানুষের নাম অমর হয়ে যায়-থেকে যায়। মানুষ বেঁচে থাকে তাঁর কাজের মাঝে। বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন -“ মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভূবনে মানবের মাঝে আমি বাঁচি বারে চাই”-। কবি গুরুর বেঁচে থাকার এই আকাঙ্খা ছিল কার্য্যকি-কাব্যিক। কবি গুরু এখনও বেঁচে আছেন তার কাজের মাঝে। জাতির ধ্যান-ধারনায়-চিন্তায়-চেতনায়।
আদ দ্বীন থেকে উদ্দীনের উৎপত্তি। উদ্দিন নামধারী গন সেকাল থেকে একাল পর্য্যন্ত ধর্ম মানব কল্যান- রাজ্য পরিচালনায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখলেও হাল আমলে বাংলাদেশের চারজন উদ্দীনের শাসনামল প্রশ্নবিদ্ধ। বিতর্কিত এবং এক বিপুল জনগুষ্টির জন্য কষ্ট দায়কও বটে। উদ্দিন নাম ও পদবী ধারীগনের পবিত্রতা, ঐতিহ্য, গর্ব ও গৌরব ধারন- সংরক্ষন করতে পারেন নি, বিগত ওয়ান ইলেভেনের চার উদ্দিনের সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার-দেশ ও জাতির জন্য যা নিতান্তই দূঃখ ও দূর্ভাগ্যজনক ব্যাপার।
[সিনিওর এডভোকেট হাই কোর্ট। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব। মুক্তিযোদ্ধা। কলামিষ্ট]

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com