অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের জের বড়লেখায় অটো সিএনজি চালক ও যাত্রীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১৫
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের জের ধরে শুক্রবার বিকেলে শহরের উত্তর চৌমুহনীতে অটো-সিএনজি চালক ও যাত্রীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলতে থাকা ৬ ঘন্টার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা দোকান পাঠ বন্ধ করে দেন। সড়কে যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। পরে থানা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
অভিযোগ রয়েছে অটোরিকশা (সিএনজি) চালকরা সম্প্রতি ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। ইচ্ছামত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রীদের সাথে অসদাচরণ নিয়ে প্রতিদিন চালকদের সাথে যাত্রীদের উত্তেজনা ও মারধরের ঘটনা ঘটছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে জনৈক অটোরিকশা (সিএনজি) যাত্রী শহরের উত্তর চৌমুহনী স্ট্যান্ড থেকে তালিমপুরে যান। গন্তব্যে পৌছে নির্ধারিত ১০ টাকা ভাড়া দিলে চালক হোসেন আরো ৫ টাকা দাবী করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তুমুল বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এসময় যাত্রীর পক্ষ নিয়ে কিছু চালককে লাঞ্ছিত করে। এর জের ধরে বিকাল ৫টা থেকে শহরের উত্তর চৌমুহনী স্ট্যান্ডের চালকরা একত্রিত হয়ে তালিমপুর এলাকার যাত্রীদের উপর হামলা ও মারধর করতে থাকে। এক মাদ্রাসা ছাত্র সিএনজিতে উঠলে বাড়ি তালিমপুর জেনেই চালকরা তাকে মারতে থাকলে ব্যবসায়ীরা তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌছে দেন। সিএনজি চালকদের মারধরের ঘটনা শুনে তালিমপুর, সুড়িকান্দি ও চান্দগ্রাম এলাকার লোকজন উত্তর চৌমুহনীতে ছুটে গেলে চালকদের সাথে মুখোমূখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হন। এসময় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। বিক্ষুব্দরা সড়কে অবস্থান করায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে রাত ১১ টার দিকে তাদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
উপজেলা আ’লীগের সাাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন জানান, থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদুর রহমান ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। হুইপ শাহাব উদ্দিন এমপি সাহেবের উপস্থিতিতে ঘটনার বিচার অনুষ্ঠানে উভয় পক্ষ সম্মত হন।
মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান জানান, অটোরিকশা চালকরা ইচ্ছামত ভাড়া বৃদ্ধি করায় প্রায়ই আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। ভাড়া আদায়ে তারা নৈরাজ্য চালাচ্ছে। প্রতিবাদ করলে বাবার বয়সী যাত্রীদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে। যৌক্তিক কারণে ভাড়া বৃদ্ধি করতে হলেও প্রশাসনের অনুমোদন নিয়েই করতে হবে। চালকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ব্যবহার বন্ধের দাবীতে তালিমপুর, দাসেরবাজার ও চান্দগ্রামের ভুক্তভোগী অটো সিএনজি যাত্রীরা গত ১০ জুলাই ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন