অপেন বুক এক্সামিনেশন এর সুপারিশপত্রসহ মাউশির মহাপরিচালকের সাথে মত বিনিময়

September 22, 2020,

স্টাফ রিপোর্টার॥  আসন্ন বার্ষিক পরীক্ষায় অপেন বুক এক্সামিনেশন এর সুপারিশপত্রসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সাথে মত বিনিময় করেন বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি সায়েক আহমদ।
১০ সেপ্টেম্বর বেলা ২টায় শিক্ষা ভবনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে অক্টোবর মাসেও যদি বিদ্যালয় খোলা সম্ভব না হয় তাহলে বার্ষিক পরীক্ষা কীভাবে গ্রহণ করা যেতে পারে এ সংক্রান্ত সুপারিশপত্রে সায়েক আহমদ উল্লেখ করেন ‘দেশের ৯০% শিক্ষক অনলাইন ক্লাসগুলোতে বিশেষ পারদর্শিতা দেখানোর পরও ৭০% শিক্ষার্থী বিভিন্ন কারণে এসব ক্লাস দেখার সুযোগ পাচ্ছে না। এদের মধ্যে বেশিরভাগ অভিভাবকই হতদরিদ্র, শিক্ষায় অনগ্রসর এবং ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ব্যাপারে উদাসীন।
দেশের করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেয়ার পরিস্থিতি এখনও সৃষ্টি না হওয়ায় অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এখন থেকেই ‘অপেন বুক এক্সামিনেশন’ এর ব্যাপারে চিন্তা করতে হবে। ‘অপেন বুক এক্সামিনেশন’ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব গৃহে অবস্থান করেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এ সকল শিক্ষার্থীরা যেন অভিভাবক এবং শিক্ষকের সহায়তা ছাড়াই স্ব স্ব গৃহে অবস্থান করে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে এ বিষয়টি মাথায় রেখেই বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে। নির্ধারিত সিলেবাসের আলোকে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে এবং মূল পাঠ্যবইয়ের অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হবে। জটিল প্রশ্নের পরিবর্তে সহজ ও সাবলীল ভাষায় প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করলে দুর্বল ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরাও সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিতে সক্ষম হবে এবং ‘অপেন বুক এক্সামিনেশন’ প্রোগ্রাম সফল হবে।
অক্টোবর মাস থেকে দেশে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাবে। এ সময়ে সারাদেশে শীতকালীন জ্বর-সর্দি-কাঁশি-শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ বৃদ্ধি পাবে। এরকম পরিস্থিতিতে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা মাথায় রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ হুট করে খুলে দেয়া উচিত হবে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে হবে।’ মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক সুপারিশপত্রটি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেন এবং পরিস্থিতি বিবেচনাপূর্বক তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে মত প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, আসন্ন বার্ষিক পরীক্ষার ব্যাপারে নীতি নির্ধারকগণ এখনও চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি। যদি অক্টোবর মাসে বিদ্যালয়সমূহ খোলা সম্ভব হয়, তাহলে সীমিত সিলেবাসে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষাবর্ষ বৃদ্ধি পেতেও পারে।
২২ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেয়ার ঘোষণায় বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়তে পারে। তবে অক্টোবরে স্কুল না খুললে স্ব স্ব গৃহে অবস্থান করে ‘অপেন বুক এক্সামিনেশন’-এ অংশ নিতে পারবে কি না, তার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com