অবশেষে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
স্টাফ রিপোর্টার॥ অবশেষে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো মাধবকুন্ড জলপ্রপাত। ২০ আগষ্ট থেকে পর্যটকদের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দিয়েছে স্থানীয় বন বিভাগ। দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ মৌলভীবাজার পর্যটন জেলা হিসেবে সারাদেশে বিখ্যাত। পর্যটনের অপার সম্ভাবনার এই জেলা থেকে পর্যটন খাত থেকে আসে সরকারের রাজস্ব। মৌলভীবাজার পর্যটনের অন্যতম দর্শনীয় জায়গা হলো মাধবকুন্ড জলপ্রপাত। গত রমজানের ঈদের আগে ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় জলপ্রপাতটি পর্যটকদের জন্য বন্দ করে দেওয়া হয়।
বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস বলেন, রবিবার পর্যটকদের জন্য গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত ইকোপার্ক পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিমুক্ত। পরে বিশেষজ্ঞ দল এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর তাদের পরামর্শক্রমে বৃহৎ প্রকল্প নেওয়া হবে। এরপর কাজ শুরু করা হবে।’
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাধবকুন্ড ইকোপার্ক এলাকার টিলা ও রাস্তা ধসে যায়। এতে পর্যটন এলাকাটি পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে বন বিভাগ গত ২২ জুন থেকে মাধবকুন্ড ইকোপার্ক ও জলপ্রপাত এলাকা পর্যটকদের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। এই ঘোষণার ফলে এতদিন মাধবকুন্ড এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশাধিকার বন্দ ছিল। এদিকে বন বিভাগ জরুরি ভিত্তিতে মাধবকুন্ড ইকোপার্ক এলাকা সংস্কার করেছে।
সংস্কারের পর এলাকাটি ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় সিলেট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আর এস এম মুনিরুল ইসলাম গত ১৬ আগস্ট তাঁর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাধবকুন্ড ইকোপার্কের রাস্তা ধসে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ইকোপার্কের জরুরি মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। রবিবার থেকে সীমিত পরিসরে পর্যটকদের জন্য ইকোপার্ক খুলে দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে পর্যটকদের ভ্রমণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মাধবকুন্ড পর্যটন রেস্তোরা এলাকার ধসে যাওয়া অংশ সংস্কার করে সেখানে সিঁড়ি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া টিলা ও জলপ্রপাতে নামার রাস্তার যে অংশ দেবে গিয়েছিল, সেখানে বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। এছাড়া জলপ্রপাত এলাকায় পর্যটকদের বসার বেঞ্চ মেরামত, ইকেপার্কের ভেতরের রাস্তাসমূহ ও অন্যান্য জায়গা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় পরিস্কার করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন