অবৈধ বালু উত্তলন: কুশিয়ারা নদীতে থেকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ড্রেজার জব্দ
হোসাইন আহমদ॥ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তলনের সময় এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫ হাজার ঘনফুট বালু, ১টি ড্রেজার মিশিন ও একটি বড় ইঞ্জিন চালিত নৌকাসহ ৬শ ফুট প্লাষ্টিকের পাইপ জব্দ করেছে প্রশাসন।
জানা যায়, এলাকার প্রভাবশালী আশরাফ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি সাধারণ মানুষকে হুমকি ধমকি দিয়ে উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের যুগিকোনা গ্রামের কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন স্থাপন করে প্রতিনিয়ত লক্ষাধিক টাকার বালু উত্তোলন করে প্রাচার করতেন। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে যুগিকোনা, সুরিখাল, কেশরপাড়া, সুনামপুরসহ নদী পাড়ের প্রায় ৩শ পরিবার।
স্থানীয়রা এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মজনুর রহমানকে অবহিত করে স্থানীয় ইন্দেশ্বর তহশিল অফিসে এবং রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের কাছে ওই বালু খেকোর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে ইন্দেশ্বর তহশিল অফিসার জামাল উদ্দিন ওই এলাকার কেশরপাড়া মৌজার জেএল নং-১৬ এর ১২১৭ নং সরকারি খাস দাগে গিয়ে ৫ হাজার ঘনফুট বালু, বালি উত্তোলনের ড্রেজার মিশিন ও একটি বড় ইঞ্জিন চালিত নৌকাসহ ৬শ ফুট প্লাষ্টিকের পাইপ জব্দ করেন।
এ বিষয়ে যুগিকোনা গ্রামের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র পিকুল দাশ বলেন, নদী ভেঙ্গে বালু তোলা আইনত অপরাধ। এক সপ্তাহ ধরে প্রায় ২৫টি নৌকা বুঝাই করে বালু পাচার করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মজনুর রহমান বলেন, কেশরপাড়া ও যুগিকোনা গ্রাম জুড়ে ১৫/২০ বছর ধরে নদীতে চড় দেখা দিয়েছে। ওই চড়ে চষে বেড়িয়ে প্রায় ১ হাজার জেলে নদীতে মাছ ধরে। যুগিকোনার অনেক পরিবার ওই চড়ে কৃষি ক্ষেত করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এভাবে বালু উত্তোলন করা হলে চড় চিরদিনের জন্য বিলীন হয়ে যাওয়ার অশংকা রয়েছে।
এ বিষয়ে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বালু উত্তোলনকারীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু কাগজ পত্র দেখিয়েছে। কিন্তু সেই কাগজের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। উদ্ধারকৃত ড্রেজার মিশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদী স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে জব্দ রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন