আকস্মিক ভাবে অকাল প্রয়াত ধর্ম ও মসজিদ অন্তপ্রান ধর্মপ্রান হাজি খায়রুল হাসান শাহান স্মৃতিকথা: স্মরন
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ মানুষের জন্ম ও মৃত্যোর মধ্যবর্তী অন্তবর্তী কালীন সময়ের নাম জীবন। সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ এই মানুষের জীবন খুবই ক্ষনস্থায়ী। অনির্ধারিত। মৃত্যোর জন্যই মানুষের জন্মগ্রহন করা। মানুষের মৃত্যো প্রসঙ্গেঁ আমাদের মহান ¯্রষ্টা ও প্রতিপালক দু-জাহানের মালিক-খালিক সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ তায়ালা আসমানী কিতাব আল কোরআনে বলেন “কুল্লিন নাফসিন জ্যায়িকাতুল মউত” জগতের সকল প্রনীকেই একদিন মৃত্যোর স্বাদ গ্রহন করতে হবে- মৃত্যোকে আলিঙ্গঁন করতে হবে। মহান আল্লাহর এই আইনের ব্যাতিক্রম নেই, ব্যত্যয় নেই। উলামায়ে কেরাম ও ইসলামি চিন্তাবিদগন মনে করেন মানুষের মহান মৃত্যো আল্লাহর সাথে মোলাকাত স্বাক্ষাতের প্রথম সোপান। এ দুনিয়া মোসাফিরখানা একদিন আল্লাহর আদালতে হাজিরা দিতেই হবে শেষ বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। সর্বকালের সেরা কবি ও দার্শনিক শেখ সাদি দুনিয়া প্রসঙ্গেঁ যথার্থই বলেন, ‘‘দুনিয়া এ্যহিত হ্যায় এক মুসাফির খানা- যানে হগা জরুর- কোয়ি আগে-কোয়ি পিছে” মৃত্যো চিরন্তন ও অবধারিত সত্য হলেও আকস্মিক ও অসময়ের মৃত্যোতে মুর্দার স্বজন শুভাকাঙ্খিগন আকুল কান্নায় ব্যাকুল হন। আফসোস আহাজারি করেন।
সদর উপজেলাধীন সুনাপুর নিবাসী মৌলভীবাজার জেলা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ-সম্পাদক হাজি খায়রুল হাসান শাহান সতেরই নবেম্বর বুধবার বিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তিকাল করেন। উজ্জল ফর্সা চেহারার সুঠাম শরীরের অধিকারী শুভ্র শ^শ্রু মন্ডিত সদাহাসি খুশী খায়রুল হাসান শাহান কথার মানুষ। কাজের মানুষ। দুনিয়া দারি ব্যবসা বানিজ্যের সাথে সাথে নামাজ-কালাম ধর্ম্মে কর্মে মনোযোগি ছিলেন। জেলা জামে মসজিদ এর নির্মান কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জুম্মা ও জোহর আছরের নামাজ জামাতে এই মসজিদেই আদায় করতেন। আমরা এক সঙ্গেঁই জামাতে নিয়মিত নামাজ আদায় করতাম। সতেরোই মে বুধবার ফজরের নামাজ শেষে দিনের কাজ কর্ম্মসূচী শুরু করেন কর্ম্মচঞ্চল ও কর্মতৎপর খায়রুল হাসান শাহান। পারিবারিক নাম শাহান হিসাবেই সুপরিচিত ছিলেন তিনি। ছোটদের শাহান ভাই। বড়দের ¯েœহের শাহান। মৌলভীবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন আসন্ন। দির্ঘদিনের ক্রীড়া সংঘটক ও ক্রীড়া মোদি খায়রুল হাসান শাহান জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্যতম সহ সভাপতির পদ প্রার্থী ছিলেন। পদ প্রার্থী হওয়াটাও তার জন্য ছিল ন্যায় ও যুক্তি সঙ্গঁত। জেলার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ইলেভেন স্টারের সংঘটক তিনি। আমি আশির দশকে আমার যৌবনকালে এই ক্লাবের সভাপতি ছিলাম। দির্ঘদিন আমার সঙ্গেঁ ক্লাব সেক্রেটারি ছিলেন সদ্য প্রয়াত এডভোকেট আবু মোঃ ইয়াহিয়া মোজাহিদ অতঃপর বিশিষ্ট ক্রীড়া সংঘটক মোঃ ইয়াত্তর আহমদ। আমি জেলা ক্রিড়া সংস্থার ট্রেজারার অতঃপর সহ সভাপতি ছিলাম। গত দশকে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে স্বেচ্ছায় ক্রীড়াঙ্গঁন থেকে অবসর গ্রহন করেছি। খায়রুল হাসান শাহান তার প্রার্থীতার সংবাদ দিয়ে আমার কাছে শুভেচ্ছা ও দোয়া প্রার্থী হয়েছিলেন। আমি তার প্রতি নৈতিক সমর্থন জানিয়ে ছিলাম। দোয়া দিয়ে ছিলাম। কিন্তু তাঁর জন্য কোথাও কোন কথাবলা কিংবা কাজ করার সুযোগ পাইনি। মহান মালিক আমাকে সে সুযোগ দেননি-তাকে দুনিয়া থেকেই আল্লাহ পাক উঠিয়ে নিয়ে গেলেন। ফুটবল প্রেমিক ও ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ খায়রুল হাসান শাহান জানতেন ফুটবল খেলার মাঠে কোন খেলোয়ারকে কোন সময় মাঠ থেকে উঠাতে হবে। এককালে বৃহত্তর সিলেটের বিশিষ্ট ফুটবলার ও বেস্ট স্কুয়ার রায়হান যখন জার্সি উঠিয়ে পেট বের করতেন তখন তাকে সঙ্গেঁ সঙ্গেঁই মাঠ থেকে নামাতে হত। খেলার মাঠ থেকে প্রয়োজনে প্লেয়ার বদল উঠানামা করাতে জানতেন ক্রীড়ামোদি শাহান কিন্তু একদিন অসময়ে অবেলায় মহান আল্লাহ তাঁর সময় শেষ হয়ে যাওয়াতে এ দুনিয়া থেকেই উঠিয়ে নিলেন। দুপুরে লাঞ্চ বিরানী খাওয়া, বন্ধু বান্ধব নিয়ে খুশীবাসি করেছেন। বাসাবাড়ি সোনাপুর এসে গাছ থেকে পাঁকা লিচু নিয়ে নিজেই বোনের বাড়ি গিয়েছেন। লিচু খেয়েছেন। হৃদরোগী শাহান হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হল। কিন্তু হায় তার সময় শেষ হয়ে গেছে। তার হৃদয় স্পন্দন থেমে গেল তিনি শেষ নিশ^াস ত্যাগ করলেন। পরদিন বিসোদ বার বাদ জোহর আড়াইটায় মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ হোস্টেল মাঠে অনুষ্টিত হয় শাহানের নামাজে জানাজা। জেলা বাসি বিষন্নবদনে বেদনার অশ্রু ঝরিয়ে তাকে শেষ বিদায় জাহান প্রখর রৌদ্র তাপকে উপেক্ষা করে শাহানের জানাজায় বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহন করেন। তার মরদেহের প্রতি পুস্পিত শুভেচ্ছা জানান ডি,এস, এ, এবং ডি, এস, এ সহ ক্রীড়া সংস্থা সমূহ। জানাজার পূর্বে বিশাল সমাবেশে মরহুমের ভূয়সি প্রসংসা এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করে তাৎক্ষনিক আলোচনা করেন। জেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান মরহুমের মামা আলহাজ¦ আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি নেছার আহমদ, প্রবীন ব্যবসায়ী হাজি আব্দুল খালিক, প্রবীন আইনজীবী মুজিবুর রহমান মুজিব, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সেক্রেটারি মিছবাহুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর ফয়সল আহমদ, মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ, বিশিষ্ট সমাজ ও ক্রীড়া সংঘটক ইয়াত্তর আহমদ মরহুমের বড়ভাই, আমার প্রিয় ভাগ্না বাচ্চু- প্রমুখ। সভানুষ্টানটি সঞ্চালনায় ছিলেন মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ রুমেল আহমদ। সকল আলোচকগন তাঁর মানবিক গুনাবলির প্রসংসা করতেঃ তার রুহের মাগফিরাত এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার বর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। স্থানীয় কামিল মাদ্রাসার ভাঃ প্রাপ্ত প্রিন্সিপাল এবং জেলা জামে মসজিদের প্রধান ইমাম আলহাজ¦ মৌলানা মুফতি শামসুল ইসলামের ইমামতি ও দোয়ার মাধ্যমে চীর বিদায় জানানো হয় হাজি খায়রুল হাসান শাহানকে। পরদিন শুক্রবার তার এবং আমাদের প্রিয় জেলা জামে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
সোনাপুর নিবাসী খায়রুল হাসান শাহান এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমার পরিচয় ও সু-সম্পর্ক আমার বাল্য কৈশোর কাল থেকেই। তাঁর দাদা সুনাউল্ল্যাহ হাজি সাহেব সেকাল থেকে একালের একজন নাম ডাকি ধন্যাঢ্য ও ধর্মপ্রান ব্যাক্তি ছিলেন। ছোট কালে দেখেছি হাজি সাহেব অত্যন্ত সুদর্শন সুবেশি ও ছুন্নতি ভদ্রলোক ছিলেন। মরহুমের পিতা মরহুম মোহাম্মদ ছাদ উল্লা সাহেবও দীর্ঘ দেহী, সুঠাম শরীরের অধিকারি, সুদর্শন ও স্বজ্জন ব্যাক্তি ছিলেন। তিনি আমার বায়োঃজৈষ্ট হলেও সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অগ্রজ প্রতিম আজিজুর রহমান আজিজ ভাইর ভগ্নিপতি হিসাবে তার সঙ্গেঁ আমার একটি সু-সম্পর্ক ও সখ্যতা ছিল। আজিজ ভাইর অনুজ আমার কলেজ লাইফ এর ক্লাশমেট ও বিশিষ্ট বন্ধু জহির উদ্দিন আহমদ জহির (বর্তমানে প্রবাসে) এর দুলাভাইর সঙ্গেঁ আমার শালা দুলাভাই সম্পর্ক থাকাটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া আমাদের কালে তখন সামাজিকতা বন্ধুত্বে ফাঁক ফাঁকি মেকি ভাব ছিলনা, বরং আন্তরিকতা হৃদ্যতা ও প্রান প্রাচর্য্য ছিল এখনকার মত নিস্প্রান ও মেকি ছিলনা। আশির দশকের শুরুতে আমার সুস্থতা ও যৌবনকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের চাইতে দেশ ও সমাজ কর্মমূলক কাজে সময় বেশিব্যায় করেছি। রাজনীতিতেও অধিক সক্রিয় ছিলাম। ঐ সময় মৌলভীবাজারের ঐতিহ্যবাহী বালিকা বিদ্যালয় হাফিজা খাতুন গার্লস হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হিসাবে আমি তাঁর সঙ্গেঁ কাজ করি। তিনি কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রান পূরুষ ছিলেন। তিনি আমাকে অনুজের মত ¯েœহ মমতা করতেন। শাহানের চাচা এবং শশুর মোস্তফাপুর ইউনিয়নের প্রাত্তন চেয়ারম্যান অগ্রজ প্রতিম মাহমুদুর রহমানের সঙ্গেঁও আমার আজীবনই সু-সম্পর্ক ছিল। এই সুবাদে খায়রুল হাসান শাহান আমাকে আজিজ ভাইর ভাগ্না হিসাবে আমাকে মামা বলে এবং মাহমুদ ভাইর জামাতা হিসাবে আমাকে মুখভরে শশুর সম্ভোধন করত। দুই সম্পর্ক এবং বয়সে আমি বয়োঃজেষ্ট হিসাবে সে আমাকে ভক্তি শ্রদ্ধা করত। কোন দিন শাহান আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরন-বেআদবি করেনি। আমার দাড়ি নেই, ইদানিং আগের সেই বিশাল গোঁফ ও নেই অথছ তাঁর সাদা সফেদ দাড়ি গোঁফ। মাথায় টাক। ফর্সা চেহারায় মুখে মিষ্টি হাসি হেসে হেসে বলত শশুর দেখতে শুনতে আমি আপনার বাপের মত, আমাকে বাপ ডাকবেন। সম্মান করবেন। আমি বলতাম আমারত মা বাপ কেউই নেই মুরব্বি মানতে-ডাকতে আমার আপত্তি নেই। এই নিয়ে হালকা তামাশা হত বটে কিন্তু শাহান কোন দিন ভদ্রতার সীমা অতিক্রম করেনি। ইতিপূর্বে আমার একমাত্র ছেলের অসুখের সময় এবং সম্প্রতি বাসায় দুতালার সিড়িতে পড়ে গিয়ে পা মচকালে শয্যাশায়ী হওয়ায় খায়রুল হাসান শাহান কমিটি ও ইমাম সাহেব সহ আমার বাসায় খুঁজ খবর নিয়েছে। মিলাদ দোয়া করেছে, করিয়েছে। মানুষ হিসাবে শাহান ছিল হৃদয়বান। সংবেদনশীল। বন্ধু বৎসল। ভ্রাতৃবৎসল। মসজিদের নির্মান কমিটির অফিস সংস্কারের পর আমরা নির্মান কাজে তদারকি এবং দান অনুদান গ্রহন ও সংগ্রহের জন্য আমি নির্ম্মান কমিটির আহ্বায়ক স্থানীয় কাউন্সিলার হাজি নাহিদ হোসেন প্রবীন সদস্য হাজি মুশুফিকুল হক তরফদার, সদস্য লুৎফুর রহমান এবং মাহবুব ইজদানি ইমরান সহ অফিসে বসতাম। দাপ্তরিক কাজ করতাম। আমার প্রতি তাঁর একটি দাবীছিল বাদ জোহর থেকে আর কালো কোট ও দুনিয়া দারী নয়, বাকি জীবনটা এবাদত বন্দেগী এবং ইসলামি পাঠাগারে লেখাপড়া করেই যেনো কাটিয়ে দেই, এই মর্মে মসজিদ মার্কেটে আমার একটি চেম্বারও রিডিং রুম এর প্রয়োজনীয়তাও সে অনুভব করত। আমি ইতিপূর্বেই সেই মর্মে ঘোষনা দিয়েছি, আমি অফিসে খুবই পাংচ্যুয়েল এবং পোষাক সচেতন বলে খুব সুনাম আছে আমার। অফিসিয়াল ড্রেস কালো স্যুট ছাড়া কোন দিন কোর্টে যাই না, ইদানিং বাদ জোহর আর কালো কোর্ট গায়ে দেই না। আমার প্রিয় ভ্রাতস্পুত্র এবং কলিগ এডভোকেট আলতাফুর রহমান সুমন মসজিদ মার্কেটস্থ তার তেত্রিশ নম্বর কক্ষে আমার জন্য চেয়ার টেবিল বসিয়েছে। আমিও আমার বাসার কিছু পুস্তক এখানে স্থানান্তরিত করেছি। মরহুম খায়রুল হাসান শাহানের রুহ দেখবে ইনশাল্লা আমি আগামি দিন গুলি যতদিন চলাফেরা আছে তনাই আছে ততদিন ইনশাল্লা আমি বাদজোহর থেকে আর কালো কোর্ট পরিধান করব না। মসজিদ, মাদ্রাসা, মরচুয়ারির আশে পাশেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেব-জীবদ্দশায় মহান মালিক যেনো আমাকে শয্যাশায়ী -সোফাশায়ী না করেন।
জেলা জামে মসজিদের নির্ম্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কমিটির বর্ত্তমান সম্মানিত সভাপতি, মাননীয় জেলা প্রশাসক জনাব তোফায়েল ইসলাম খুবই আন্তরিক। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি মসজিদের কাজে সময় দিচ্ছেন। ইনশাল্লা মসজিদের নির্ম্মান কাজ সহসাই শেষ হবে। কিন্তু আমাদের আফসোস প্রিয় শাহান তা দেখে যেতে পারল না। আসছে মাহে রমজান। মসজিদে খতম তারাবি হবে, ইফতার মাহফিল হবে, দারুল ক্বেরাতও চলবে- মিষ্টি মধুর সুরে উচ্চারিত হবে পবিত্র আল কোরআনের আয়াত- সবই আছে, নেই শুধু আমাদের সবার প্রিয় শাহান- খায়রুল হাসান শাহান।
সুনাপুরের পারিবারিক গোরস্থানে পিতার কবরের পাশে ধর্মপ্রান খায়রুল হাসান শাহান চীর শয়ানে শায়িত। তার কবরের মাটি একদিন পূরাতন হয়ে যাবে। গজাবে ঘাস। দুর্বা সহ আরো নাম না জানা ঘাস-গাছালি-বিচালি। হয়ত ফুটবে নাম নাজানা অনেক ঘাসফুল। একদিনকি স্মৃতির গভীরে হারিয়ে যাবেন আমাদের প্রিয় খায়রুল হাসান শাহান। দেখাযাক সময় কি বলে। কারন সময়ই কথা বলে। আমরা মনে করি আমাদের প্রিয় শাহান বেঁচে থাকবেন আমাদের অন্তরে। অনুভবে। আকস্মিক ভাবে অকালে প্রয়াত হাজি খায়রুল হাসান শাহান এর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। মহান মালিক তার বেহেসত নসিব করুন-এই মোনাজাত করছি।
[লেখক: সেক্রেটারি জেলা জামে মসজিদ। সিনিওর এডভোকেট হাইকোর্ট। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব]
মন্তব্য করুন