(ভিডিও সহ) আকাশ পথে জঙ্গি হামলায় আশংকায় বাংলাদেশ হাই রিস্ক কান্ট্রি-বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন (ভিডিও সহ)
স্টাফ রিপোর্টার॥ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, শুধু শ্রীমঙ্গলের পর্যটন নয়, বাংলাদেশের পর্যটন আজকের হুমকীর মূখে রয়েছে। বাংলাদেশে যে বিদেশী অতিথিরা এদেশে আসতে পারছেন এবং এদেশে আসছেন তাদের উপর এই হুমকীর কারণে কারো সাথে পর্যটনের যে আশংকা সেটাকে স্থগিত রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।
কেবল তাই নয় আমাদের যারা উন্নয়ন সহযোগি বিভিন্ন দেশ যাহারা পদ্মা সেতুতে,কেউ মেট্রো রেলে, কেউ এলিভেটেড এক্রাপ্রেস ওয়েতে কাজ করছে, তাদের জীবন আজ বিপন্ন। আমরা লক্ষ্য করছি, যে এই জঙ্গির হুমকীর কারণে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক যে প্রতিষ্টান সমূহ ছিল সেই প্রতিষ্টান সমূহ সর্তক বার্তা দিয়েছে তাদের কর্মীদের প্রতি।
কেবল তাই নয়, আমি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রনালয় গত অক্টোবর মাস থেকে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি যুক্তরাজ্য সাধারন পরিবহন অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণ পরিবহন এবং কয়েকদিন আগে জামার্নিতে সাধারণ পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের যুক্তি কি ? আকাশ পথে জঙ্গি হামলায় আশংকায় বাংলাদেশ হাই রিস্ক কান্ট্রি।
উচ্চ মাত্রায় দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে এদেশের মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতংক,এক ধরনের আশংকা ও এক ধরণের অস্বস্তি বিরাজ করেছে। মানুষের মধ্যে একধরনের ভয়ভীতি কাজ করছে। তবে আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের শান্তি প্রিয় মানুষ। দেশের মানুষ কখনোই ধর্মের নামে উগ্রবাদী বিশ্বাস করে না।
২৪ জুলাই রবিবার বিকেল ৩টায় শ্রীমঙ্গল ওয়ার্কার্স পার্টি শ্রীমঙ্গল উপজেলা হলরুমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগ্রাম শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
মৌলভীবাজার জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সৈয়দ আমিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড সিকান্দর আলী,কমরেড দিপংকর দিপু, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ মিনার, পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র দেব টিটো প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, এতদিন ধরে যে পশ্চিমা দেশ গুলো আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছিল। আর্টিজান ও শোলাকিয়ার জঙ্গি হামলার ঘটনার পর তারা সেই চেষ্টার সফল হল। আর আটিজানের ঘটনার পর মার্কিন পরস্বাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল তিনি ঢাকা চলে আসলেন । এসে প্রধান মন্ত্রীকে বললেন আমরা আপনাদের সকল প্রকার সহযোগিতায় করতে রাজি আছি। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ তাদের এই সহযোগিতার স্বরুপ দেখেছে। আফগানিস্তানে সহযোগিতার স্বরুপ দেখেছে, ইরাকের সহযোগিতার স্বরুপ দেখেছে, চীনের সহযোগিতার স্বরুপ দেখেছে, লিবিয়ার সহযোগিতার স্বরুপ দেখেছে, সমস্ত মধ্যপ্রাচ্যে আমরা দেখেছি, যেখানে তেল সেক্টর রয়েছে, গ্যাস সম্পদ রয়েছে, সেখানে মার্কিনিরা সন্ত্রাস মোকাবেলার আন্তর্জাতিক সহায়তার কথা বলে তারা এ সম্পদ লুটে নিচ্ছে। অন্যদিকে আজকের বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে সহযোগিতার হস্তক্ষেপ করতে চেয়ে ছিল। আমাদের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে প্রস্তাব এসছিল, ওরা বলেছিল এদেশের রাজধানী ঢাকায় মার্কিনিদের নেতৃত্বে সামরিক অভিযানে অংশ গ্রহন করতে।
তিনি সাফ জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিনির নেতৃত্বে কোন অভিযানে রাজি নই। যদি পবিত্র মক্কায়,পবিত্র মসজিদ,মন্দির আক্রান্ত হয় অথবা হুমকির মুখে পড়ে এসব রক্ষা করতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সেখানে আমরা মোতায়েন করতে রাজি আছি।
এমনকি সৌদি আরবে কোন মসজিদেও যদি কোন মাইনপুতে থাকে সেগুলোকে তুলে ফেলতেও সাহায্য করতে আমরা রাজি আছি। কিন্তু জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে যেভাবে ইরাকে যুদ্ধ হয়েছিল। জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে যেভাবে লিবিয়ায় যুদ্ধ করা হয়েছিল। জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে চীনে আক্রমন করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেই চক্রান্তের দিকে ফাঁদে পা দেবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে বোমা হামলা,জঙ্গি হামলা, সন্ত্রাসী হামলার মোকাবেলাতে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে প্রসাশনের পাশাপাশি ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। যারা বোমা হামলা,জঙ্গি হামলা,সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িত ইতিমধ্যেই চিহিৃত করা হয়েছে।
এদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক শক্তি দিয়ে টিকে থাকতে হবে। আজকে যখন এই দেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামনের দিকে ও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন