আগর রপ্তানী করে বছরে ১১০ কোটি ডলার আয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে – এডিসি আশরাফুর রহমান
আবদুর রব॥ মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান বলেছেন, সরকার ইতিমধ্যে আগরকে ভৌগলিক নির্দেশক পন্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এখানকার আগর ব্যবসায়ীরা সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে অগ্রসর হলে আগর-আতর রপ্তানী করে বছরে ১১০ কোটি ডলার আয় করার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। আগর শিল্পকে এগিয়ে নিতে প্রশাসন সবধরনের সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বুধবার বড়লেখার সুজানগর ইউনিয়ন কমপ্লে¬ক্স হলরুমে দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজার জেলার অন্যতম রপ্তানীপন্য দেশে বিদেশে তরল সোনা হিসেবে পরিচিত সুগন্ধি আগর-আতর ও আগর উড রপ্তানীর সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সিলেট রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সেমিনারে স্থানীয় আগর-আতর ব্যবসায়ী, ব্যাংক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও সিলেট রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর গবেষণা কর্মকর্তা কাজী মো. মহিউদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বড়লেখা ইউএনও এসএম আবদুল্ল¬াহ আল মামুন, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বিভাগীয় কর্মকর্তা তবিবুর রহমান, সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান নছিব আলী, বড়লেখা এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক অজয় কুমার দত্ত, বাংলাদেশ আগর আতর ম্যানুফেকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনছারুল হক, বনবিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস। আগর-আতর উৎপাদন ও রপ্তানীতে নানা জটিলতা প্রশাসনিক হয়রানীর বিষয়ে তোলে ধরে বক্তব্য রাখেন বড়লেখা আগর-আতর ব্যবসায়ী শ্রমিক কল্যাণ সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রহিম বক্ত মুসা, ব্যবসায়ী আশরাফ মুহিত ছয়েফ, কবির আহমদ চৌধুরী, মিনহাজুল হক মিনা, ময়নুল ইসলাম মাসুম, ছয়েফ উদ্দিন রেণু প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, আতরের সাইটিস সনদ প্রদানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিলম্বের কারণে অনেক সময় অর্ডার বাতিল হয়ে যায়। প্রশাসনিক হয়রানীর কারণে আতর উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে এবং রপ্তানী করছে। এতে এ শিল্পের সাথে জড়িতরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
মন্তব্য করুন