আঞ্চলিক মহাসড়ক দখল করে বালু-পাথরের ব্যবসা
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার শহরের আঞ্চলিক মহাসড়কের দুপাশ দখল করে ইট, বালু, পাথর, বাঁশ, মশলামাড়াইর মিশিন ও ভাংঙ্গারীর ব্যবসা জমে উঠেছে।
ওই সকল রাস্তা দিয়ে জানবাহ চলাতে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও গাড়ির চালকরা। এবং মাঝে মধ্যে ঘটছে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।শহরের শাহ মোস্তফা রোড দিয়ে বড়খেলা, কুলাউড়া, রাজনগর ও জুড়ীর সাথে ঢাকার যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা। এই আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়েই ঢাকার সকল প্রকার গাড়ি এসকল উপজেলায় যাতায়ত করে। সড়কটি উত্তর দিকে বড়খেলা, কুলাউড়া, রাজনগর ও জুড়ীতে এবং দক্ষিণ দিকে শ্রীমঙ্গল হয়ে ঢাকায় গেছে। ওই রাস্তা দিয়েই মৌলভীবাজার শহরের সরকারি কলেজ, হাফিজা খাতুন বালিকা স্কুল, টাউন কামিল মাদ্রাসা, ঐতিহ্যবাহী শাহ মোস্তফার মাজার, সার্কিট হাউস, কোর্ট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ পুপারের কার্যালয়, ভুমি অফিস, সাব-রজিষ্ট্রার অফিস, মহিলা কলেজ ও ম্যাট্সসহ আরো বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী অফিসের অবস্থায়। সড়কটি প্রেসক্লাব মোড় হতে বেরিরপার পর্যন্ত মধ্য খানের প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশ দখল করে এসব অবৈধ ব্যবসা গড়ে উঠেছে।
দেখা যায়, রাস্তার সুলতান পুর পয়েন্টে শাহান এন্ড আনাম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সাইনবোর্ড রাস্তার পাশের ফিলারে ঝুলানো। সাইন বোর্ডে লেখা “এখানে বালু ও পাথর বিক্রি করা হয়”। এরকম জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খালেদা রাব্বানীর বাসার বিপরতী পার্শ্বে আজমল ষ্টোর, শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের পাশে রফিক সাটারিং, মীম এন্টারপ্রাইজ, কাজল বাঁশ সেন্টারসহ ১২টি স্থানে ব্যবসা চলছে। এছাড়া শহরের পুরাতন হাসপাতল, সিলেট ও শমসেরনগর রোড দখল করেও এ ব্যবসা করতে দেখা গেছে। বড়বড় ট্রাক, ডিষ্টিক ও ট্রেক্টর রাস্তার পাশে দাড় করে প্রতিনিয়ত মালামল উঠানামা করাতে দেখা যায়। মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে চলে তাদের এই ব্যবসা। এছাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে নির্মাণ সামগ্রি রেখে একাধিক বিল্ডিং তৈরি করতে দেখা যায়।
একাধিক গড়ির চালক, যাত্রী ও পথচারীরা বলেন, রাস্তার দুপাশ দখল করে ব্যবসা করায় রাস্তার প্রসস্ত অর্ধেক কমেগেছে। যার কারণে বড় বাস, ট্রাক চলাচল করতে পারে না। অতিক্রম করতে গিয়ে অনেক সময় মুখামোখি হয়ে যায়। ফুতপাতে সাটারিংয়ের বাঁশ, বালু, পাথর ও ভাংঙ্গারীর মালামাল রাখার কারণে জনসাধারণের হাটতে অনেক কষ্ট হয়। বিষেশ করে অভিবাবকরা শিশুদেরকে নিয়ে স্কুলে যেতে বিড়ম্বনার স্বীকার হন।
যার কারণে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এমন দুসচিন্তায় অঞ্চলের বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে মীম এন্টারপ্রাইজ এর প্রোপ্রাইটার শামছুল হক, শাহান এন্ড আনাম এন্টারপ্রাই এর প্রোপ্রাইটার মোঃ শামীম মিয়া ও আরেক ব্যবসায় হোসাইন এর সাথে ক্রেতা হয়ে যোগাযোগ করলে তারা সকলেই রাস্তার উপরের বালু ও পাথর বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন এবং তারা বলেন সব সময় এখন থেকে এসব মালামাল নিতে পারবেন।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ মৌলভীবাজার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী উৎপল সামান্ত বলেন, ‘আঞ্চলিক মহাসড়ক দখল করে ব্যবসা করা সম্পূর্ণ অন্যায়। এগুলো অবসারণের জন্য ভ্রম্যমান আদালত দিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মন্তব্য করুন