আদালতের স্থগিতাদেশ সত্বেও কুলাউড়ায় পীরস্থান ও কবরস্থানের কাঠ বিক্রির অভিযোগ
কুলাউড়া অফিস॥ আদালতের স্থগিতাদেশ সত্বেও কুলাউড়া পৌর এলাকার মমরেজপুর পীরস্থান ও কবরস্থানের কাঁঠাল ও জ্বালানি কাঠ নিলামে বিক্রি করা এবং কমিটির কার্যক্রম অব্যাহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১ জুন সহকারী জজ আদালত কুলাউড়া, মৌলভীবাজারের এক আদেশে সকল পক্ষকে মমরেজপুর পীরস্থান ও কবরস্থানের কাঁঠাল, জ্বালানি কাঠ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু আদালতে এ আদেশ না মেনে আব্দুল আজিজ গংরা ৩ জুন প্রকাশ্যে কাঁঠাল ও জ্বালানি কাঠ নিলাম প্রদান করেছেন এবং তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। আদালত সুত্রে জানা গেছে, মমরেজপুর হযরত শাহ আফজল (রঃ) মাজার শরীফ ও কবরস্থান রক্ষণাবেক্ষণ, হেফাজত সংরক্ষন এর দায়িত্বে ছিলেন মৌরসী সুত্রে খন্দকার মুহিবুর রহমান গংরা। কিন্তু সম্প্রতি লস্করপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ ও ১২জন ব্যক্তি মাজার শরীফ পরিচালনা ও পীরস্থান ও কবরস্থানের বৃক্ষ কর্তন, চাঁদা গ্রহণ, কাঠ নিলামে বিক্রি করা শুরু করেন। এতে খন্দকার মুহিবুর রহমান আপত্তি দিলে বিবাদীগন বাধা নিষেধ অমান্য করে মাজার পরিচালনা এবং মাজারের কাঁঠাল ও কাঠ বিক্রি করেন। এতে মুহিবুর রহমান সহকারী জজ আদালত কুলাউড়া, মৌলভীবাজার বরাবরে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত ১ জুন হযরত শাহ আফজল (রঃ) মাজার শরীফ ও কবরস্থানের পরিচালনা কমিটির উপর এবং সকল প্রকার মাজারের বাক্সের টাকা, মাজারদ্বয়ের পার্শ্ববর্তী বাগানের কাঁঠাল নিলামে স্তিতাবস্থা জারি করেন। কিন্তু৩ জুন আব্দুল আজিজ ও তার সহযোগীরা আদালতের আদেশ না মেনে কাঁঠাল ও জ্বালানি কাঠ নিলামে বিক্রি করেন এবং মাজার ও কবরস্থান পরিচালনা অব্যাহত রাখেন বলে অভিযোগে জানা গেছে। এব্যাপারে আব্দুল আজিজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আদালতের আদেশ আমরা এখনো পাইনি। তাই আমরা তার মমরেজপুর কবরস্থান ও পীরস্থান পরিচালনা করছি এবং নিলামে মালামাল বিক্রি করছি।
মন্তব্য করুন