আপডেট- কুলাউড়ায় পুলিশ ও বিজিবির পৃথক অভিযানে আটক-১০
এইচ ডি রুবেল॥ কুলাউড়া উপজেলায় ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে একটি প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য এবং বিজিবির পৃথক অভিযানে ভারতীয় মদ ও ফেনসিডিলসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৯ জুলাই শুক্রবার আটককৃতদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার থেকে একটি বৈদেশিক মুদ্রা পাচারকারীচক্রের খবর পেয়ে কুলাউড়ার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামসুদ্দোহা পিপিএমের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশ অভিযানের টের পেয়ে পাচারকারীচক্রের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করে। এসময় পুলিশ ধাওয়া করে কুমিল্লা জেলার কতোয়ালী থানার মোঃ আবু তাহের (৫৬), সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার হেলাল উদ্দিন (৫০), যমোর জেলার কতোয়ালী থানার শাহনাজ পারভীন (৪০), কুলাউড়া উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের স্বপন মিয়া (২৭) ও সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার কার চালক মোঃ আলী নুর (২৮)কে আটক করা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে বিশেষ মোড়ানো অবস্থায় একটি বৃটিশ মুদ্রা, নগদ ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার আটক করা হয়। এঘটনায় কুলাউড়া থানার মামলা (নং- ২৪ তাং-২৮/০৭/১৬ ধারা-৪১৮/ ৪২০/ ৪২৪/ ৪৮৫/ ৪৮৬ দন্ডবিধি) দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলাপুর সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার রাতে টহলরত অবস্থায় স্থানীয় নসিরগঞ্জ বাজার থেকে ভারতীয় মদ ও ফেনসিডিলসহ ৫ চোরাচালানীকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন কুলাউড়া উপজেলার সাঢ়িয়ারঘাট গ্রামের মায়া মিয়ার পুত্র মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ (১৮), পৌর এলাকার লস্করপুর গ্রামের জমশেদ মিয়ার পুত্র লিটন মিয়া (২০), মনসুর গ্রামের মোঃ চিনু মিয়ার পুত্র লিটন মিয়া (১৮), উত্তর লস্করপুর গ্রামের মৃত মিজান আলীর পুত্র লেবু মিয়া (২২) ও কালারায়ের চর গ্রামের মৃত আং মালেকের পুত্র আমানুর রহমান (১৮)। এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে ১২ বোতল ফেনসিডিল, ২ বোতর ভারতীয় কোরেক্স মদ ও চোরাচালানীদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কার আটক করা হয়।
এ ঘটনায় কুলাউড়া থানার মামলা (নং-২২, তাং-২৮/০৭/১৬ ধারা-১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-বি) দায়ের করা হয়েছে।
কুলাউড়ার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামসুদ্দোহা পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়েছে। শুক্রবার তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে প্রতারক চক্রের আরও সদস্য রয়েছে যাদের আটকে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন