দেশ-বিদেশে সুনামধন্য ব্যবসায়ী ও সুগন্ধি সম্ররাট
মোঃ সিরাজুল ইসলাম ॥ তাঁর এমন ব্যবসায়ীক প্রতিভা ও বহুমুখী গুণ অন্যকেও সফলতা শিখরে আরোহনে অনুপ্রাণীত করে। এরই সাথে মানব সেবা ও সমাজ সেবাও অনুকরণীয় দৃষ্ঠান্ত। তিনি আলহারামাইন পারফিউম গ্রুপ অব কোম্পানীজ এর চেয়ারম্যান, আলহারামাইন হাসপাতাল (প্রাঃ) লিঃ এর সম্মানীত চেয়ারম্যান এবং নিন্মেক্ত বহুবিধ আর্থিক সামাজিক, মানবিক, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্টাতা ও কর্ণধার। তিনি হলেন আলহাজ্ব মোঃ মাহতাবুর রহমান (নাসির) সাহেব। যিনি বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ব্যবসায়িক মহলে মানব কল্যাণে যে সকল কর্মকান্ডে নিয়োজিত এবং নিবেদিত সে সকল বিষয়গুলো বিবেচনায় আনলে তাঁকে দেশ-বিদেশে ব্যবসায়িক ও সুগন্ধি সম্ররাট খেতাবে ভূষিত করার এখনি সময়। গুনীর সম্মান গুনীরাই দিবেন। এমনটি আশা করা অবান্তর নয়। অসীম বিত্ত ও নির্মল চিত্তের মালিক হয়েও সচ্চরিত্র, সদালাপি, সহজ-সরল, জীবনাচার, তাওয়াক্কুলে দৃঢ় বিশ্বাসী, পাক্কা ও সাচ্চা মুসলমান, দানশীলতার মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত, দৃঢ় চিত্ত ও দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মহান ব্যাক্তিত্ব, শুকরিয়া সহ নামাজ, রোজ ও অসংখ্যবার পবিত্র হজ্ব আদায়কারী, যথারীতি যাকাৎ আদায়কারী, মহান ¯্রষ্টার শ্রেষ্ট সৃষ্টির সেবায় নিয়্যাতে সিলেটে দেশের শ্রেষ্ট হাসপাতাল নির্মাণকারী এই মহান ব্যাক্তিত্বকে দেশ-বিদেশে ব্যবসায়িক ও সূগন্ধি সম্্রাট খেতাবে ভূষিত করতে আর মোটেও দেরী করা সমীচিন নয়। এটা জরুরী এবং অতিব জরুরী কারন যে দেশে গুণী সম্মান পায়-সে দেশেই গুণী জন্মায়। যার জীবন সুস্পষ্ট ও জড়তাহীন। তিনি দেশ জাতি তথা বিশ্বের ব্যবসায়িদের পাঞ্জেরী। যিনি উন্নত ও লক্ষ্যনীয় আদর্শের যাদুকর, বিশ্ব মানবতার সকল ফেরিওয়ালা,মানুষের ন্যায্য অধিকারের কথা জানেন এবং মানেন। আর মাটি ও মানুষকে ভালবাসেন। ফল-ফুল, আগর, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে হৃদয়ে ধারন করে পারফিউম, আতর, আগর, সেন্ট ও সুঘ্রাণে বিশ্ব মানব ও মানবতাকে বিমোহিত করেন। তিনিই তো দেশ বিদেশে ব্যবসায়িক ও সূগন্ধি স¤্রাট হওয়ার দাবী রাখেন।
আলহাজ্ব মোঃ মাহতাবুর রহমান তিনি তার শিক্ষিত,মার্জিত, ধনী, মানী, গুনী ও জ্ঞানী ভ্রাতৃবৃন্দ সহ ভ্রাতুষ্পুত্রদের সর্বগুনে গুনান্বিত করে সফল মানুষে পরিনত করেছেন। বিশেষ করে তার ভাই আলহাজ্ব মোঃ ওলিউর রহমান সাহেবের নাম বারংবার উল্লেখ করতেই হয়। কারন তার এই ভাইয়ের শ্রদ্ধা, শ্রম, মমতা ও কঠোর শ্রম ও সহায়তায় তারা নিজেদের দশের এবং দেশের জন্য যে বিরাট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন, তা সকলের জন্যই অনুকরনীয় ও অনুস্মরণীয়। আলহাজ্ব ওলিউর রহমান নিজেও সত্যিকার ওলি তুল্য এবং সকল প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান, আল্লাহর খাঁটি বান্দা ও নবীজির খাটি উম্মত। (আলহামদুলিল্লাহ) আত্মপরিচয়, জ্ঞান চর্চা, দেশ-বিদেশে বিশেষ সুনামের সাথে সাদা টাকার ব্যবসায়, সম্পদ আহরন ও বন্টনে সুক্ষ সূবিচার, অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শে অনুপ্রাণিত দাওয়াতে, নিমন্ত্রনে, বিবাহে ও মেজবানীতে সকল স্থরের মানুষের সমারোহ, দাওয়াত পত্রের সঙ্গে সম্মাননা সূচক উপহার প্রেরণে তিনিই একমাত্র দৃষ্টান্তমূলক ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, এখনো করছেন, ভবিষ্যতে ও করবেন।
নির্ভূল, নির্মোহ, জগৎ ব্যাপী সুঘ্রাণ ব্যবসায়ী, উৎকৃষ্ট ব্যাংকার, দুস্থ মানবতার ঐতিহাসিক সেবক হাসপাতাল নির্মাণকারী, মসজিদ, মক্তব, মাদ্রসা সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্টান প্রতিষ্টাকারী, সিলেটের মেজর টিলা সংলগ্ন স্থানে ঐতিহাসিক উত্তম আশ্চর্যের প্রাসাদুপম অট্টালিকা (কাজী ভবন) সপরিবারে বসবাসের জন্য নির্মাণকারী, রুগ্ন চা বাগান (হামিদিয়া চা বাগান) লীজ নিয়ে মাত্র ৬-৭ বছরেই ২৫০% ভাগ উন্নত করে বাংলাদেশের চা শিল্পে দারুনভাবে চমক সৃষ্টি করে বাগানটিকে উন্নয়নের রোল মডেলে উন্নীত করেছেন। চা বাগানের ভূমি, উদ্ধার, উন্নয়ন এবং এক্সটেনশন করে শ্রমিকদের উপযোগী সংস্কার ও জীবনমান উন্নয়ন করে সময়োপযোগী অর্থায়ন ও চাহিদার যোগান দিয়ে সুযোগ্য অভিজ্ঞ সাংঘঠনিক নেতৃত্ত্বের দিক নির্দেশনায় সমস্যা চিহ্নিতকরন ও সমাধান ব্রত হয়ে চা শিল্পে ইতিবাচক ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
নিজস্ব হাসপাতালের ৩০/৪০ জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তার ও সমপরিমান নার্স সহযোগে লাখ-লাখ টাকার ঔষধ ও ব্যবস্থাপত্র বিনামূল্যে বৃহত্তর সিলেটের গ্রামেগঞ্জে শহরে মেডিকেল ক্যাম্পইন এর মাধ্যমে হাজার হাজার রোগীদের মধ্যে ফি ছাবিলিল্লাহ সেবাদানে তিনি যে ভূমিকা রাখছেন, বার্মার রাখাইন থেকে আগত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে বিপুল পরিমানে খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে তিনিই সেবা খাতে ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ সকল সফল দৃষ্টান্তের কারনে তাকে দেশ-বিদেশে ব্যবসায়িক ও সূগন্ধি স¤্রাট বলা যায়।
উল্লেখ্য যে, নিজের ছেলে-মেয়ে, ভ্রাতুষ্পুত্র ও ভ্রাতুষ্পুত্রীদের শুভ বিবাহে নিমন্ত্রন পত্রের সাথে আতর, সূগন্ধি সেন্ট, খুরমা-খেজুর, দৃষ্টিনন্দন কার্ড, পবিত্র কোরআন শরীফ, কভার ব্যাগসহ জায়নামাজ, উপহার পাঠিয়ে তিনি এবং তার পরিবার দেশ-বিদেশে পবিত্রতা ও আন্তরিকতার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন তা অতুলনীয় এবং এতদাঞ্চলে আগে কাউকে এভাবে করতে দেখা যায় নি। সত্যিই তিনি দেশ-বিদেশে ব্যবসায়িক ও সূগন্ধি স¤্রাট এবং তার পরিবার স¤্রাটের পরিবার।
আলহাজ্ব মোঃ মাহতাবুর রহমান দেশ-বিদেশে হাজার-হাজার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের চাকুরী দাতা, কর্মসংস্থানের মালিক ও উপযুক্ত অভিভাবক উনি দেশবিদেশে ব্যবসায়ীদের জন্য রোল মডেল। এন, আর-বি ব্যাংকের সম্মানীত চেয়ারম্যান। বৃহত্তর সিলেট তথা বাংলাদেশের গৌরব ও হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এর মাটির কৃতি সন্তান। সারা বিশ্বে পরিচিত ও প্রশংসিত আলহারামইন পারফিউম গ্রুপ অব কোম্পানীজ এর সম্মানীত চেয়ারম্যান, দুবাইতে অবস্থিত বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল এর প্রতিষ্টাতা সভাপতি। আবুধাবীর শেখ খলিফা বিন যায়েদ বাংলাদেশ ইসলামীয়া প্রাইভেট স্কুলের সম্মানীত স্পন্সর। হামিদিয়া টি কোম্পানী লিমিটেড এর সম্মানীত চেয়ারম্যান। সিলেটস্থ নব নির্মিত ও সফলভাবে পরিচালিত আলহারামাইন হাসপাতাল (প্রাঃ) লিমিটেড এর প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান।
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সাবেক স্পন্সর ডাইরেক্টর, বিয়ানী বাজার ক্যান্সার হাসপাতালের সম্মানীত ট্রাষ্টি, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির সম্মানীত ট্রাষ্টি। বিদেশ থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরনকারী হিসেবে বহুবার সর্বোচ্চ ও সর্বশ্রেষ্ট পদক পাবার সৌভাগ্য অর্জনকারী। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বহুবার সি, আই, পি সম্মানে ভূষিত এই ঐতিহ্যবাহী, মহান কৃতিত্তের ইতিহাস সৃষ্টিকারী, সূঘ্রানী আগর থেকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে বহুবিধ পারফিউম এর সৃজনকারী, দেশ-বিদেশে প্রেরন, সরবরাহকরন, বিতরন, বাজারজাত করনে পারঙ্গম এই বিদগ্ধ ঐতিহাসিক মহান ব্যাক্তি যিনি বেশ কয়েকট প্রতিষ্ঠানের জন্মদাতা, পিতা, ভ্রাতা ও অভিভাবক আমরা তার সু-স্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, নিরাপদ ও শান্তিময় জীবন ও জীবনের সকল স্থরে উত্তোরোত্তর উন্নতি ও সফলতা কামনা করছি এবং একই সাথে তাকে দেশ-বিদেশে “ব্যবসায়িক ও সূগন্ধি স¤্রাট” নামীয় জাতীয় খেতাবে ভূষিত করতে সমাজ, দেশ ও জাতীয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টান ও সরকারী বেসরকারী সংশ্লিষ্ট সম্মানীত কর্তৃপক্ষের বরাবরে সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ। বিঃ দ্রঃ এই লিখা আলহাজ্ব মোঃ মাহতাবুর রহমান (নাসির) সাহেবের বর্নিল জীবনের কিয়দংশ মাত্র।লেখক: গবেষক,নাট্যকার ,টেলিভিশন ব্যাক্তিত্ব টি প্লান্টার,চা বিশেষজ্ঞ ও জেনারেল ম্যানেজার হামিদিয়া চা বাগান ।
মন্তব্য করুন