আলোর বরপুত্র; সৈয়দ মহসিন আলী
১৪ ই সেপ্টেম্বর আলোর বরপুত্র; সৈয়দ মহসিন আলীর মৃত্যু দিবস। এ দিনটি এলে একটি দেশ একটি জাতি একটি জনপদ নীরব নিস্তব্দ স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। মহসীন মহসীন বলে যতই দিই ডাক ততই ফিরে আসে মৃত্যুহীন লাশ। সাবাশ সৈয়দ মহসিন আলী সাবাশ। তোমার কর্মের চেয়েও তুমি মহান তাইতো মানুষের হৃদয়ে তুমি চিরজাগরুক হয়ে করছো বসবাস। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মালেও দুঃখী মানুষের কল্যাণে তুমি ছিলে এক নিবেদিত প্রাণ। তোমার ভালবাসা মানুষকে প্রতিনিয়িত শুনিয়েছে ঘুম ভাঙানিয়া গান। তোমার ভালবাসা অসীম সসীম তাই তো তুমি একজন মহামহিম। তোমার মাঝে এত গুনাবলীর সমাহার। তোমার ভালবাসার কি রূপ সেই শুধু জানে যে কখনো তোমাকে ভালবেসেছে, কাছে থেকে দেখেছে। আমি তোমার জীবন পরিভ্রমন করে জেনেছি এবং দেখেছি। প্রথমে আমি হিমালয় আর আকাশকে প্রশ্ন করেছিলাম তোমরা কারা, তারা আমাকে উত্তর দিয়েছিলো একজন মানবিক মহসীন আলীর উচ্চতার কাছে আমরা অতিশয় নগন্য এবং নীচু। আটলান্টিক প্রশান্ত মহাসাগরকে জিজ্ঞাস করেছিলাম তোমরা কারা তারাও আমাকে বলেছিলো মহসীন আলীর গুনাবলীর গভীরতা কাছে আমরা নিতান্তই অগভীর নালা মাত্র। চন্দ্র সূর্যকেও আমি প্রশ্ন করেছিলাম তোমরা কারা তারাও আমাকে উত্তর দিয়েছিল মহসীন আলী মানুষকে ভালবেসে যে আলো জ্বেলেছিলো সেই আলোর কাছে আমাদের আলো লজ্জায় আর মরমে নিভে গিয়েছিলো।
বাংলাদেশ সরকাররের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান স্বাধীনতা পুরুস্কার প্রাপ্ত বিশাল হৃদয়ের অধিকারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেশোপ্রেমিক সৈয়দ মহসীন আলী মাহেন্দ্রক্ষণ ইন্দ্রধনুলগ্নের ক্ষণজন্মা এক বিরল প্রজাতির পুরুষ। বিরল প্রজাতির এ মানুষটির ভালবাসায় সূর্যের দাহ থাকে না, থাকে শুধু চাঁদের ¯িœøগ্ধ কিরণ আর মায়াবী দীপ্তি।
মহসীন আলী জনতার এক মুকুটহীন সম্রাট। যার দরদি অবয়ব দেখলে মানুষের চোখ স্থির হয়ে যায়। যাকে দেখলে চোখের পলক পড়ে না। মহসিন আলীর তুলনা মহসীন আলী অন্য কেউ নয়।
পরিতাপের বিষয় আমরা বড়ই স্বার্থপর এবং হীন। সৈয়দ মহসীন আলীকে আমরা যথাযথ মর্যদা ও কদর দিতে পারিনি বা তাকে চিনতে পারিনি। চিনতে পারেনি তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা এমন কি তার পরিবারের সদস্যরাও। সৈয়দ মহসীন আলী তাদের ঘরের মানুষটিকেও চিনতে পারেনি এরা অবহেলা অনাদরে তাকে শুধুই অবজ্ঞা আর উপেক্ষা করেছে কিন্তু তাকে অস্বীকার করার কোন জো নেই কারো। বস্তুুত: এরা মহসীন আলীর আদর্শচ্যুত।
আসুন আমরা সৈয়দ মহসীন আলীর মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন আদর্শকে মনে প্রাণে ধারণ করি। মহসীন আলীর মতো শুদ্ধ পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে উঠি। তাঁর মৃত্যুদিবসে এই হোক শ্রদ্ধাঞ্জলি। (আব্দুল মতিন কবি নাট্যকার বহুমাত্রিক ধীমান লেখক)
মন্তব্য করুন