ইউকে বিডি টিভিতে প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিনে আলোচনা
বদরুল মনসুর॥ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্যা কন্যারত্ন মাদার অব হিউম্যানিটি” বাঙালির অস্তিত্বের শেকড় বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ লীগের সভাপতি ও মানণীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার ইউকে বিডি টিভিতে মাদার অব হিউম্যানিটি” বাঙালির অস্তিত্বের শেকড় দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে আমাদের করণীয় শীর্ষক এক ভ্যাচুয়াল সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউকে বিডি টিভির উপদেষ্টা উপদেষ্টা জননেতা সুলতান মাহমুদ শরীফ এর সভাপতিত্বে এবং ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ভ্যাচুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম মেম্বার সাবেক সফল মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবঃ) ফারুক খান এমপি ও প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা এস,এম, কামাল হোসেন,। ভ্যাচুয়াল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ জননেতা আ,স,ম,ফিরোজ এমপি,. জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ উপাধক্ষ্য ড. আব্দুস শহীদ এমপি. যুক্তরাষ্ট্র্য আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট লেখক এম,এ,সালাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী
যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের মানবাধিকার সম্পাদক সাবেক যুবনেতা এম সারব আলী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক সুজাত মনসুর, নিউপোট আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী শেষ তাহির উল্লাহ. গ্রেটার ম্যানচেস্টার আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা রুহুল আমীন রুহেল, নিউপোট যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা শাহ শাফি কাদির ও ইউকে বিডির টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশিষ্ট সাংবাদিক খায়রুল আলম লিংকন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধান আলোচক ও বিশেষ অতিথি ও সভাপতি সহ সকল বক্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী উল্লেখ বলেন, ‘তিনি বিশ্ব পরিমন্ডলে শুধু নিজেকেই আলোকিত করেননি পুরো বাঙালি জাতিকে আলোকিত করেছেন’ বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়ে পুরো জাতি যখন দিশেহারা, স্বাধীনতা যখন বিপন্ন প্রায়, তখন বঙ্গবন্ধুর খুনি ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরেই বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে নিজেকে এই দেশের জন্য অর্পণ করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ২০০০ সালের মধ্যেই দেশ উন্নত দেশে পরিণত হত’।
বক্তারা আর ও বলেন ‘সারাবিশ্বে কভিড ১৯ তথা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস যখন মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে, তখন শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়ে, প্রেরণা আর সাহস দিয়ে আগলে রেখেছেন। সকল ক্ষেত্রে ঘোষণা করেছেন বিশেষ প্রণোদনা। সারাদেশে ত্রাণ বিতরণ করে দুঃখী মানুষের মুখে তুলে দিয়েছেন খাদ্য’।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানো, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়া নিয়ে যেমন ব্যঙ্গ করেছে স্বাধীনতাবিরোধীরা, তেমনিভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশকে ডিজিটাল, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং উন্নত-সমৃদ্ধ করা নিয়েও ব্যঙ্গ করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বক্তারা বলেন কুসুমাস্তীর্ণ পথ বেয়ে নয়, ৭৪টি বসন্ত কেটেছে তাঁর দূর্বিষহ যন্ত্রণা বুকে চেপে ধরে। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন বারংবার। তবু তিনি দূর্বিনীত; দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছেন বাংলার পথে প্রান্তরে। দেশের জন্য তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল’ বলে উল্লেখ করে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক সৎ, প্রাজ্ঞ, দূরদর্শী, সাহসী নেতা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুসাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বক্তারা জাতীয় জনকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বনন্দিত বিশ্বনেতা মানবতার জননী দেশরত্ন শেখ হাসিনা.বাঙালির অস্তিত্বের শেকড় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা।১৮ কোটি জনতার বেঁচে থাকার অবলম্বন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নেওয়াই হোক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনে আমাদের দীপ্ত শপথ।।
মন্তব্য করুন