ইউপি নির্বাচন-২০১৬ (৫ম দফা) কমলগঞ্জে ১টিতে বিএনপির বিদ্রোহী ও ৪টি ইউনিয়নে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী

May 7, 2016,

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥ কমলগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একটি ইউপিতে বিএনপির ২ জন বিদ্রোহী ও ৪টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের ৪জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এ উপজেলায় আগামী ২৮ মে পঞ্চম দফা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার ৪নং শমশেরনগর ইউনিয়নে বিএনপির ২ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এ ইউনিয়নে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন আব্দুল মোহিত। এ ইউনিয়নে বিএনপির বিদ্রোহী দুই প্রার্থী হচ্ছেন- এনামুল হক শামীম (বিদ্রোহী বিএনপি), আহমদুর রহমান (বিদ্রোহী বিএনপি)। অপরদিকে মুন্সীবাজার, শমশেরনগর, কমলগঞ্জ সদর ও আদমপুর ইউনিয়নে একজন করে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। মুন্সীবাজার ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাজেদা কোরেশী (বিদ্রোহী আওয়ামীলীগ), শমশেরনগর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: আব্দুল গফুর (বিদ্রোহী আওয়ামীলীগ), কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সদস্য রহিম হোসেন পেশকাই (বিদ্রোহী আওয়ামীলীগ) ও আদমপুর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজির বক্স (বিদ্রোহী আওয়ামীলীগ)। তবে দলীয়ভাবে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সওে দাঁড়ানোর জন্য প্রচেষ্টা চলছে বলে জানা যায়।
অপরদিকে কমলগঞ্জ উপজেলার চা বাগান অধ্যুষিত মাধবপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নে দুই প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ধানের শীষ প্রতীক না নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে ক্ষোভ থাকলে নাম প্রকাশে উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা জানান, এ দুটি ইউনিয়ন পড়েছে চা-বাগান এলাকায়। চা-বাগানে আওয়ামী লীগের নৌকার সমর্থক বেশি থাকায় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার ঝুঁকি কেউ নিতে চাননি। মাধবপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু ও ইসলামপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তারা কৌশলগত কারণে ধানের শীষ প্রতীক নেননি। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে এ দুই ইউনিয়নে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান বলেন, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ১২ মে। নির্বাচন থেকে সরে আসার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদের আলাপ-আলোচনা চলছে। এরপরও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দল থেকে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তাদের পক্ষে সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com