ইয়াবার ছোবল এখন কুলাউড়ায়!

October 4, 2016,

কুলাউড়া অফিস॥ মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা কুলাউড়ায় ইদানিং বিভিন্ন মাদকের পাশাপাশি ইয়াবার বিস্তার ঘটেছে। ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে অনেক তরুন যুবক-যুবতী। উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে এখন ইয়াবা ব্যবসা চলছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক কারাবারীরা এখন  ইয়াবার চালান নিয়ে আসছে কুলাউড়ায়। আর ইয়াবার ছোবলে যুব সমাজ হচ্ছে ধবংস। বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা শরীফপুর ইউনিয়ন হলো সীমান্ত সংলগ্ন। এ ইউনিয়নে মাদকের রয়েছে ছড়াছড়ি। ভারতীয় ফেনসিডিল, নাসির উদ্দিন বিড়ি, ইন্ডিয়ান মদ ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গাঁজা এ ইউনিয়নে পাওয়া যায় হাতের নাগালে। এছাড়া ট্রেনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাদক চলে আসে কুলাউড়ায়। কুলাউড়া স্টেশন ও শরীফপুর ইউনিয়ন হয়ে মাদক পুরো কুলাউড়া উপজেলায় বিস্তার লাভ করে। বিগত কয়েকমাস থেকে পুরাতন মাদকের পাশাপাশি নতুনভাবে যোগ হয়েছে ইয়াবা। ইয়াবার ছোবলে কুলাউড়ার যুব সমাজ হচ্ছে সম্পৃক্ত। ইদানিং ইয়াবার ঘন ঘন চালান আসছে কুলাউড়ায়। প্রশাসন অবশ্য বেশ কয়েকটি ইয়াবার চালান জব্দ করেছে ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ হাতে নাতে। ২ দিনে কুলাউড়ায় ৭১ পিচ ইয়াবাসহ ৪ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্রের ৬ সদস্য
৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের উত্তর রবিরবাজারে বাবুল আহমদের দোকানে ইয়াবা বিক্রির জন্য জড়ো হয়েছিলো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুলাউড়া থানা পুলিশ এ দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য ৪ সদস্য পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ২৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উপজেলার মনসুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালিকের পুত্র খালেদ ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলাতানপুর গ্রামের সোয়াব উল্যাহ’র পুত্র বাবুল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। পুলিশ আরও জানায়, আটক দুই যুবকসহ সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের আকলুম মিয়া’র পুত্র মতলিব মিয়া, শেখ জালাল উদ্দিনের পুত্র সোহেল আহমদ (২৭), আকিল উদ্দিনের পুত্র নুর মিয়া (৩৫) ও একই ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের আফতাব উদ্দিনের পুত্র জাহেদ মিয়া (২২)।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম  ইয়াবা উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইয়াবাসহ সকল মাদক বিক্রি বন্ধে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সোর্স নিয়োগের মাধ্যমে ইয়াবাসহ সকল মাদক বিক্রি ও সেবন বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com