ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ স্বামীসহ ইউপি মহিলা সদস্য গ্রেফতার সাজানো-সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
আব্দুর রব॥ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রুশনা বেগমের ভূঁয়াই বাজারস্থ বাড়িতে শুক্রবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এসময় পুলিশ ইউপি সদস্য রুশনা বেগম ও তার স্বামী পল¬ী চিকিৎসক মোস্তাকীম হোসেন বাবুলকে গ্রেপ্তার করেছে।
৪ মার্চ শনিবার বিকেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পুলিশ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। তবে গ্রেফতারকৃতদের ছেলে কৃষি ডিপে¬ামার তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আশরাফ হোসেনের দাবী নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে নাটক সাজিয়ে তার বাবা-মাকে ফাঁসিয়েছে। গ্রেফতারের পরদিন বিকেলে নিজ বাসভবনে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মোস্তাকীম ও ইউপি সদস্য রোশনা বেগম বেশ কিছু দিন ধরে এলাকার তরুণ-যুবকদের কাছে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিলেন। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে জুড়ী থানার ওসি জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে খাটের বিছানার নিচ থেকে ৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। পরে মাদক রাখার অপরাধে পুলিশ স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জুড়ী থানার এসআই সুহেল রানা তাদের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ইয়াবাসহ স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘদিন থেকে তারা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে মৌলভীবাজার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে দুইবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য রুশনা বেগম ইয়াবা ট্যাবলেট ও স্বামীসহ গ্রেফতারে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। স্বামীসহ ইউপি সদস্যাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি ও ওয়ার্ডবাসীর উদ্যোগে স্থানীয় ভুয়াই বাজারে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জায়ফরনগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল খালিকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাকীম আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মিলাদ চৌধুরী, মতছিন আলী, সিরাজ উদ্দিন, মহিলা সদস্য আফিয়া বেগম বুলবুলি, সমাজসেবক হাজী আব্দুল গাফ্ফার, সিরাজুল ইসলাম তোলা প্রমূখ। বক্তারা বলেন একাধারে দুইবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য রুশনা বেগম এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। তার জনপ্রিয়তায় ইর্শ্বান্বিত হয়ে নির্বাচনী ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রমুলক ঘটনা সাজিয়ে স্বামীসহ তাকে ফাঁসিয়েছে। এলাকাবাসী অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবী করেন।
মন্তব্য করুন