ঈদের কেনাকাটার জমে উঠেছে মৌলভীবাজার
মাহবুবুর রহমান রাহেল॥ মৌলভীবাজারে ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে কেনাকাটা অভিজাত মার্কেট থেকে শুরু করে ফুটপাত সর্বত্রই কেনাকাটার ধুম পড়েছে।ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠেছে বরাবরের মতো ঈদ বাজার। প্রবাসী অধ্যুষিত এ জেলার কয়েক লাখ লোক লন্ডন,আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া,কানাডা, জাপান, ইতালি, মালয়েশিয়া ও সৌদী আরব, কুয়েত, কাতার, ওমান বাহরাইন এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাস করেন। প্রবাসীরাও ইতিমধ্যে ছুটি কাটাতে এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেশে এসেছেন। বাণিজ্যিক কেন্দ্র এম সাইফুর রহমান রোডের ঈদবাজারের যানজট, ভীড় ও ঝামেলার মধ্যে দিয়ে অনেকেই কেনাকাটা করছেন কষ্ট করে। অভিযাত মারর্কেট গুলোর মধ্যে অনত্যম মার্কেট হচ্ছে এমবি ক্লথ ষ্টের,বিলাশ ডিপাটমের্ন্টাল ষ্টোর, সুমাইয়া বুটিক ফ্যাশন,আলমদিনা ক্লথ ষ্টোর,আশরাফ সেন্টার,সেরাটাউন ফ্লাজা, সেভেন স্টার,শাপলা ম্যানশন,আরকে কমপ্লেক্্র অন্যান্য শপিং সেন্টারগুলো ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নামী-দামী বিপনী বিতানগুলির পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলিতে হরেক রকম ডিজানের কাপড় সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। নিম্ন আয়ের মানুষরা ভীড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের এসব দোকান গুলিতে।অবশ্য ঈদকে সামনে রেখে অযৌক্তিকভাবে কাপড়ের মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ করেছেন। এ প্রসঙ্গে ঈদ শপিং করতে আসা, নুরজাহান,সনিয়া, রুহেনা,সানজিদা,শাহেদ আহমদ,রহিম মিয়া জানান, ঈদের আগে পোষাক-আশাকের দাম স্বাভাবিক থাকলেও ঈদের সময় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পোষাকের দাম বাড়িয়ে দেন। ফলে ক্রেতাদের বাধ্য হয়ে কয়েকগুণ বেশিদামে পোষাক-আশাক কিনতে হয়। সুমাইয়া বুটিক ফ্যাশনে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা কলেজ ছাত্রী মুনি বেগম, রিু আক্তার জানান, ‘রোজার শেষ দিকে মার্কেটগুলোতে ভীড় থাকে। শেষ সময়ে কাপড়ের দোকানগুলোতে পছন্দের কাপড় হয়ত নাও থাকতে পারে। তাই আগেভাগেই পোষাক কিনতে এসেছি।এবারের ঈদবাজারে মেয়েদের শাড়ি, থ্রী পিছ, সেলোয়ার-কামিজ, ফতোয়া, স্কার্ট-টপস, ছেলেদের লং ও শর্ট পাঞ্জাবি, ফতোয়া, শার্ট, জিন্স ও টি-শার্টসহ বাচ্চাদের নানা রঙ ও ডিজাইনের পোষাকের সমাহার ঘটেছে বিভিন্ন পোষাক বিপনীতে।এদিকে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ শাহ্ জালাল, জানান, ঈদ বাজারে নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব টহলে রয়েছে এবং শহর ও শহরের বাইরে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও পয়েন্টে সার্বক্ষনিক টহলে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ।
মন্তব্য করুন