ঈদের দিন জুড়ীতে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে পিতা পুত্র আহত
জুড়ী প্রতিনিধি॥ ঈদের নামাজে যেতে গোসল করার জন্য বাবা আর ছেলে বাড়ির সামনে কন্টিনালা নদীতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে বাবাও বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পড়েন। এসময় একটি ষাড় গরু বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি শনিবার ২২ এপ্রিল সকালে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের পশ্চিম বেলাগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, পশ্চিম বেলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ আলী (৪০) ও ইউসুফের ছেলে স্থানীয় বেলাগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমন আহমদ (১০)।
ওই গ্রামের মুরতুজ আলী, তৈমুছ আলী রফিক আহমদসহ অনেকেই বলেন, পশ্চিম বেলাগাঁও গ্রাম কণ্ঠিনালা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশে পড়েছে। নদীর বিপরীত পাশে পূর্ব বেলাগাঁও গ্রাম। নদীর দুই পাড়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ডিশের লাইন জিআই তার দিয়ে টানিয়ে রাখা ছিল। ২০ এপ্রিল রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে পশ্চিম বেলাগাঁওয়ে ডিশের লাইন ছিঁড়ে নিচে পড়ে যায়।
ডিশের লাইনের জিআই তার বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ইউসুফ ও তাঁর ছেলে ইমন স্থানীয় মসজিদে ঈদের জামাতে অংশ নিতে গোসল করতে নদীতে নামছিলেন। এ সময় ছেঁড়া তারে জড়িয়ে ইমন ছটফট করছিল। একপর্যায়ে ইউসুফ ছেলেকে রক্ষা করতে ছুটে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন।
পরে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি ঘটায় পরে তাঁদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহত ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ষাড়টিকে বাচানো যায়নি।
জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কাশেম বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইউসুফ ও তাঁর ছেলে ইমনের শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে গেছে। ইউসুফের পরিবারে স্ত্রীসহ তিন সন্তান রয়েছে। বাবা ও এক ছেলে আহত হওয়ায় পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই। পরিবারের সদস্যরা কান্নাকাটি করছেন। তিনি খবর পেয়ে গিয়ে তাঁদের সান্ত¡না দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) জুড়ী কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনসারুল কবীর মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি তাঁরা খোঁজ নিয়ে দেখছেন।
মন্তব্য করুন