উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে কমলগঞ্জে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের পুরাতন ভাঙ্গন এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে দেড়’শ পরিবার পানিবন্দি ॥ দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ বৃহস্পতিবার রাতের টানা ভারী বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের প্ররাতন ভাঙ্গন এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে ফসলি জমি ও গ্রাম্য রাস্তা নিমজ্জিত হয়েছে। দুটি গ্রামের দেড়’শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ধলাই নদীর পানি প্রবেশ করে কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা ১ ফুট পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ পানিবন্দি দেড়শ পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করেন।
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টি চলে টানা শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। একই সাথে উজানে ভারতীয় পাহাড়ি এলাকা ভারী বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢলের পানি ধলাই নদীতে এসে পড়ে ধলাই নদীতে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীর পানি বৃদ্ধি পয়ে কমলগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের গোপালনগর ও করিমপুর এলাকার ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের দুই সপ্তাহ আগের ভাঙ্গন এলাকা দিয়ে দ্রুত গ্রামের ফসলি জমি ও গ্রাম্য রাস্তায় প্রবেশ করছে। এ অবস্থায় গোপালনগর ও করিমপুর গ্রামের দেড়’শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
২১ এপ্রিল শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটায় পানি কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকা নিমজ্জিত করে। ঘটনার খবর পেয়ে বিকাল ৫টায় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. জুয়েল আহমদ গোপালনগর ও করিমপুর গ্রামের পানিবন্দি দেড়’শ পরিবারের মাঝে ত্রাণ হিসাবে চিড়া, গুড়, দিয়াশলাই ও মোমবাতি বিতরণ করেন। এ সময় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সায়েক আহহমদ, যুবলীগ নেতা জহির আলম নান্নুু, উপজেলণা ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুলসহ উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, দুই সপ্তাহ আগে গোপালনগর ও করিমপুর এলাকায় ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে নদীর পানি প্রবেশ করেছিল। নদীতে পানি বাড়ার ফলে এ দুটি ভাঙ্গন এলাকা দিয়ে দ্রুত পানি গ্রামের ভিতর প্রবেশ করে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট নিমজ্জিত করছে। আবহাওয়ার অবস্থা তেমন ভাল নয় দাবি করে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, রাতে আবার বৃষ্টি হলে অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে। উপজেলা প্রশাসন এ দিকে সার্বিক নজরদারী করছে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন