উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্ষোভের জবাব দিলেন ইউএনও
হারিস মোহাম্মদ॥ জুড়ী উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ‘বীরনিবাস’ নির্মাণে বাছাই তালিকায় এক মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক।
বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন।
বাদ পড়া ওই মুক্তিযোদ্ধার নাম উস্তার আলী। তিনি বেঁচে নেই। উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামে তাঁর বাড়ি। তাঁর এক ছেলে বদরুল হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি চালান। দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠানের শুরুতে সব মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুক মিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা, জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার কুলেশ চন্দ্র চন্দ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আলাউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে এম এ মোঈদ বলেন, ‘আমরা কোনো কিছু পাওয়ার বিনিময়ে যুদ্ধে যাইনি। মুক্তিযোদ্ধা উস্তার আলীর পরিবার অসহায়। তাঁর স্ত্রী ঘরের জন্য আবেদন করেছিলেন। অথচ, তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা এর জবাব দেবেন আশা করি।’
ইউএনও সোনিয়া সুলতানা এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্যে বলেন, জুড়ীতে দুটি ধাপে ২২টি ‘বীরনিবাস’ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোর কাজ চলছে। এ ক্ষেত্রে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা উস্তার আলীর পরিবার স্বচ্ছল। তাঁর সন্তানদের কেউ বিদেশে থাকেন, কেউ সরকারি চাকরি করেন। তবে, পর্যায় ক্রমিকভাবে সব মুক্তিযোদ্ধার পরিবার বীরনিবাস পাবেন। অনুষ্ঠানে ২০০ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে তাঁদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন