উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কমলগঞ্জে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল জেএসসি পরীক্ষার্থীনি
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ জেএসসি পরীক্ষার এক দিন আগে কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের এক ইউনিয়নের এক পরীক্ষার্থীনির বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল পারিবারিক ভাবে। বিষয়টি জেনে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনে সোমবার বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে জেএসসি পরীক্ষার্থীনি। কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের চিৎলিয়া গ্রামের ফারুক মিয়ার মেয়ে চিৎলিয়া জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী (পপি বেগম-১৩)। সে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষার একজন প্রার্থী। সে একই ইউনিয়নের নানার বাড়ি লাংলিয়া গ্রামে বেড়াতে আসলে নানা তাজু মিয়া ও মা সোনাবান বিবি মিলে কমলগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কনর মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩০)-র সাথে বিয়ে ঠিক করেছিলেন।
৩১ অক্টোবর সোমবার দুপুরে একটি মাইক্রোবাসে করে সহযাত্রী ৭/৮ জন নিয়ে বর রুবেল মিয়া লাংলিয়া গ্রামে এসেছিলেন। ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীর বিয়ে হচ্ছে খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্রুত উদ্যোগ গ্রহন করলে বর বিয়ে না করেই লাংলিয়া গ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। পরে কনের বাবা ও বরকে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে নগদ ১৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। আলীনগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার ছাত্রীটি জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা। অথচ কোন লোভে ছাত্রীর নানা ও মা মিলে অপ্রাপ্ত বয়সে পরীক্ষার আগের দিন মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলেন। তিনি ছাত্রীর বাবা ও বরকে তাঁর অফিসে ডেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করেছেন।
মন্তব্য করুন