উর্দূ ও ফার্সি সাহিত্যের কালজয়ী প্রতিভা কবি ও গীতিকার মির্জা আসাদ উল্লাহ খাঁ গালিব ঃ দুইশ-বিশ তম জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলিঃ ভাষাও সাহিত্য ঃ প্রসঙ্গ কথা
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ উর্দূ ও ফার্সি কাব্য ও গদ্য সাহিত্যের কালজয়ী প্রতিভা মির্জা গালিব-হিসাবে সুপরিচিত মির্জা আসাদ উল্লাহ খাঁ-র দুইশ বিশ তম শুভ জন্মদিন চলেগেল নিরবে নিঃশব্দে। উপমহাদেশীয় গদ্য, কবিতা ও গানের ভূবনে শুভ জন্মদিনের কোন শ্রদ্ধাঞ্জলি, সেমিনার-সিম্পজিয়াম, গালিবীয় জীবন দর্শনের কোন রচনা-আলোচনা নেই। শুধুমাত্র দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন গেল জানুয়ারী মাসে মোঃ আব্দুল হান্নান রচিত-মির্জা গালিব ও তার রঙ্গিন দুনিয়া-মূল্যবান ও প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধ এবং একটি জাতীয় দৈনিক শ্রদ্ধেয় মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান অনুদিত-মির্জা গালিব এর শের শায়েরী-নিবন্ধ প্রকাশ করেন। মির্জা গালিব ভক্ত পাঠকদের বাড়তি পাওনা ছিল মূল্যবান রচনা দুটির সঙ্গে মির্জা গালিবের আবক্ষ রক্ষীন আলোক চিত্র। উর্দূ ও ফার্সি সাহিত্যের গবেষক-পাঠক এবং গালিব ভক্তদের নিকট থেকে উক্ত দুই সংবাদপত্র এবং সম্মানিত লেখক-গবেষক প্রসংসাও সাধুবাদ পেতেই পারেন।
উর্দূ এই কাব্য সাহিত্যের কালজয়ী এই প্রতিভা ১৭৯৬ সালের ২৭ শে ডিসেম্বর ভারতের বিখ্যাত শহর আগ্রায় জন্মগ্রহন করলেও গালিবের পূর্ব পুরুষগণ আদিভারতীয় নহেন। প্রাচীন ভারতবর্ষের ধন দৌলত-শানশওকত মান মর্য্যাদা এবং ভারতবাসীর মায়া মমতা ও অফুরান আন্তরিকতায় আকৃষ্ট ও বিমুগ্ধ হয়ে মির্জা গালিবের দাদা কোকান বেগ খান মোগল স¤্রাট শাহ আলমের শাসনামলে সমর কন্দ থেকে মুঘল ভারতে আসেন। মির্জা গালিবের পূর্ব পুরুষ ছিলেন পেশাদার যোদ্ধা। মোগল সেনাবাহিনীতে চাকরি নেন মির্জা গালিবের দাদা কোকানবেগ এবং পিতা মির্জা আব্দুল্লা বেগ খাঁ। পিতা-মাতার প্রথম সন্তান মির্জা গালিবের এক জন কনিষ্ট ভ্রাতাও ছিলেন-যার নাম মির্জা ইউসুফ খা। মুঘল ভারতে রাজভাষা ছিল ফার্সি। ফার্সি তখন সমগ্র এশিয়ান অঞ্চল ব্যাপী প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় ভাষা। দশম শতাব্দীর পারসিয়ান কবি আবুল কাসেম ফেরদৌসির মহাকাব্য শাহনামা একখানি ক্লাসিক গ্রন্থ হিসাবে খ্যাত ও স্বীকৃত। মুঘল শাহজাদা কবিও দার্শনিক দারা শিকো ফার্সি ভাষায়-উপনীষদ-অনুবাদ করে আলোড়ন সৃষ্টি করে ছিলেন।
মির্জা গালিবের গৃহ শিক্ষা শুরু হয় ফার্সি ভাষায়। তাঁর গৃহ শিক্ষক ছিলেন প্রখ্যাত পন্ডিত আব্দুছ সমদ। পন্ডিত আব্দুস সমদ মেধাবী মির্জা গালিবকে মমতা ও দায়িত্বের সাথে প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেন। বাল্য কৈশোর কাল থেকেই মির্জা গালিব পূর্ব পুরুষের গেশা যুদ্ধ বিগ্রহের চাইতে জ্ঞানার্জন ও কাব্য চর্চায় অধিকতর আগ্রহী ছিলেন। ১৮০৬ সালে মাত্র নয় বৎসর বয়সে মির্জা গালিব ফার্সিতে শায়েরী লেখা শুরু করে তাঁর কাব্য জীবনের শুভ সুচনা ঘটান। পাড়ি জমান দিল্লী। রাজধানী এসে হিন্দুস্থানী আরেকটি বহুল প্রচলিত ভাষা উর্দূ ভাষাও সাহিত্য নিয়ে পঠন পাঠন জ্ঞানার্জন শুরু করেন মির্জা গালিব।
দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতাব্দীতে-দিল্লী সালতানাত (দাস, খিলজি, তুঘলক, সৈয়দ ও লোদী-এই পাঁচ বংশের আমল) সংস্কৃত, প্রাকৃত ও ফার্সি ভাষার আন্তঃ সংমিশ্রনে উর্দূ ভাষার জন্ম। আবার কতেক ভাষা গবেষকদের মতে-উর্দি-থেকে উর্দূ শব্দের উৎপত্তি।উর্দূ শুরুতে ফৌজি ভাষা হলেও পরবর্তী কালে, হিন্দু, স্থানী ভাষায় রূপ নেয়। হিন্দুস্থানী ভাষাই আধুনিক উর্দূ ভাষা। উর্দূ ভাষায় ফারসি , আরবি ও তুর্কি শব্দের প্রাধান্য আছে। পরবর্তী কালে আল্লামা স্যার মোহাম্মদ ইকবাল, ফয়েজ আহমদ ফয়েজ, সাদাত হাসান মাল্টো, কিষন চন্দর প্রমুখ তাঁদের গদ্যে-পদ্যে-লেখায়-গবেষনায় উর্দূভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন।
মুঘল ভারতে রাজ ভাষা ফার্সি হলেও উর্দূ সর্ব ভারত ব্যাপী দ্বিতীয় রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে খ্যাত ও স্বীকৃত ছিল। মির্জা গালিব উর্দূ ভাষায়ও বুৎপত্তি অর্জন করতঃ ফার্সি ভাষার পাশাপাশি উর্দূ ভাষায়ও কবিতা ও গদ্য চর্চা শুরু করে প্রতিভার ছাপ রাখেন। ১৮৩৭ সালে দিল্লীর শেষ মুঘল স¤্রাট আবু জাফর সিরাজুদ্দিন মোহাম্মদ বাহাদুর শাহ্্ যখন দিল্লির নাম মাত্র মোগল স¤্রাট হিসাবে অভিসিক্ত হন তখন সর্ব ভারত ব্যাপী মুঘল স¤্রাজ্যের সূর্য্য অস্থাচল গামী। ফলতঃ তৈমুর-চেঙ্গিসের অধঃস্থন বংশধর স¤্রাট বাহাদুর শাহ রাজ্য শাসন-রাজ্য পাঠ এর পরিবর্তে কাব্য চর্চাও মোশায়েরা করেই কাল কাটাতেন। মির্জা গালিব তখন নামের আদ্যাংশ আসাদুল্লা পরিত্যাগ করে শুধু মির্জা গালিব নাম ধারন করেন। ভারত বিজেতা স¤্রাট বাবরের পিতা ওমর শেখ ও মির্জা পদবী ধারী ছিলেন। মির্জা গালিব সমাট বাহাদুর শাহের সভাকবি নিযুক্ত হয়ে আরেক রাজ কবি জওক সহ কবিতা, গান, শায়েরী, মোশায়েরায় মাতোয়ারা হয়ে মুঘল দরবারকে মাতিয়ে রাখতেন। এ সময় মির্জা গালিব ফার্সি ভাষায় তার প্রথম কবিতার সংকলন তৈরী করেন। ১৮৫০ সালে স¤্রাট বাহাদুর শাহ মির্জা গালিবকে বার্ষিক ছয় শত টাকা বেতনে তৈমুর বংশের ইতিহাস রচনার দায়িত্ব দেন। ১৮৫৪ সালে মির্জা গালিব তার প্রজ্ঞা ও পান্ডিত্য মেধা ও মনন এবং আনুগত্যের কারনে স¤্রাট বাহাদুর শাহের রাজ কবি থেকে বন্ধু এবং বন্ধু থেকে কবিতার ওস্তাদে পরিনত হন। স¤্র্রাট বাহাদুর শাহ ও একজন উচু দরের কবি ও দার্শনিক ছিলেন। স্বদেশপ্রেম ও স্বাদেশিকতায় উদ্ভোদ্ধ জন্মগত ভাবে খাঁটি ভারতীয় ভারত স¤্রাট বাহাদুর শাহ ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ নামে খাত সর্ব ভারতীয় সসস্ত্র স্বাধীনতা সংগামের নেতৃত্ব ভার গ্রহন করেন। কতেক রাজ কর্মচারি ও ভারতীয় রাজন্য বর্গের বিশ্বাস ঘাতকতা ও বেঈমানীর ফলে জীবনের প্রথম ও শেষ যুদ্ধে পরাজয় বরন করেন স¤্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। সিপাহী বিদ্রোহে পরাজয়ের পর কোম্পানী বিচারের নামে প্রহসন করে কবিও স¤্রাট বাহাদুর শাহ্কে রেঙ্গুনে নির্বাসনের রায় দেয়। ভারত প্রেমিক বাহাদুর শাহ্্ মর্মাহত হন। তাঁর শেষ ইচ্ছাছিল এ দেশেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতঃ দিল্লীর মাটিতেই চীর শায়নে শায়িত হবেন। তাঁর শেষ ইচ্ছাপূর্ণ হয়নি। নির্বাসনের রায় শুনে কবি বাহাদুর শাহ কাঠখড়ি দিয়ে লাল কেল্লার দেয়ালে লিখেন ট্রেজেডির মহাকাব্য-
“কিত্œা বদনসিব হ্যায় তু জাফর
দাফন কে লিয়ে,
দু’গজ জমিন ভি মিল না ছেকে
সারি হিন্দুস্থান মে-।
প্রবন্ধকে বলা হয় মৌলিক চিন্তা ধারার ফল ও ফসল, কবিতাকে বলা হয় হৃদয়ের রক্তক্ষরন। মির্জা গালিব উর্দূ গদ্য ও কবিতায় নিজেকে উজাড় করে দিয়ে ছিলেন। গালিবের উর্দ্ধগ্রন্থ গুলির মধ্যে-গুল-এ-রানা, দেওয়ান-এ-গালিব, উদ-এ-হিন্দ, উর্দূ এ মুআল্লা, মক্কাতিব-এ-গালিব, খুতুন-এ-গালিব, নফাত-এ-গালিব, কাদির নামা-উল্লেখযোগ্য-ফরাসি ভাষায় রচিত গালিবের গ্রন্থগুলির মধ্যে-কল্লিয়াত এ নজম-এ-ফরাসি পঞ্জজ আল মেহের-এ-নিম রোজ, দাস্তাম্বু, রাকাত-এ-গালিব, কাতে বুরহান, সরদ এ চীন, দোয়ায়ে সবাহ, ময়খান এ আরজু, মুতফর্কাতে গালিব, মুযাসির এ গালিব উল্লেখযোগ্য।
মির্জা গালিব এর কাব্য প্রতিভা ছিল জন্মগত। তার পূর্ব পুরুষ ছিলেন জ্ঞান বিজ্ঞানের তীর্থস্থান ঐতিহাসিক সমরকন্দ এর অধিবাসি। গালিবের কবিতার মূল বিষয় ছিল প্রেম। ¯্রষ্টাও মানব প্রেমের জয়গান গেয়েছেন তিনি।ফরাসি ও উর্দূশের-শায়েরীর সংখ্যা দুই হাজারের বেশি বলেও অনেক গবেষক মনে করেন। তাঁর-দেওয়ান এ গালিব প্রকাশিত হয় ১৮৪২ সালে। এতে ১৫০টি কবিতা ও ১০৭০টি শের আছে। মোহাম্মদ রফিকুজ্জামন-মির্জা গলিবের শের শয়েরী-তে বলেন-
হাম ক্যাহা কে দান কে,
কিস হুনব সে য়রুতা হে
দূসমতা আসমা আপনা-।
কিইবা এমন জ্ঞানী গুনী
সেরা আমি কিসের ধনে
আকাশ আমার শত্রু হলো
হায়রে গালিব অকারনে-?
সিপাহী বিদ্রোহের সময় মির্জা গালিব গৃহবন্দী ছিলেন। তার চোখের সম্মুখে বিশাল মুঘল সা¤্রাজ্যের শেষ ঠিকানা দিল্লীর পতন হয়েছে। মর্মাহত হয়েছেন মানব প্রেমিক মির্জা গালিব। চাপ ও ভয় ভীতির মাঝেও তিনি কোম্পনীর পক্ষাবলম্বন করেন নি। লিখেন, নি। পলাশীর যুদ্ধের পর নবাব সিরাজুদ্দৌলার আত্বীয় সৈয়দ গোলাম হোসেন খান তবাতবায়ী-সিয়ার-উল-মুতাখখিরিন-সিয়ার-লিখে সিরাজ চরিত্রে মিথ্যা কলংক এনেছেন। কোম্পানীও ইংরেজদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। মুঘল দরবারের ভাবাকবি মির্জা গালিব তা করেন নি। গালিবীয় জীবন-দর্শন প্রসঙ্গে মোঃ আব্দুল মান্নান তাঁর-মির্জা গালিব ও তাঁর রঙ্গীন দুনিয়া নিবন্ধে বলেন-গালিব চিরদিনই প্রেমের কবি ভালোবাসার কবি, আপন অস্থিত্বকে তিনি প্রবল করে তুলেছিলেন রূপ রস সৌন্দর্য্যরে মাঝে-।
উর্দূ ও ফার্সি সাহিত্যের কালজয়ী প্রতিভা মির্জা গালিব পারিবারিক ভাবে মির্জা, বেগ ও খাঁ এই তিন পদবী ধারী হলেও আগ্রা থেকে দিল্লীতে এসে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতঃ সব পদপদবী পরিহার করে এমনকি বাহারি নামের বৃহদাংশ আসাদুল্লা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র মির্জা গালিব নামে কাব্য চর্চা করতঃ ফার্সি ও উর্দূ সাহিত্যে নিজের আসন পাকাপোক্ত করে নেন। কবি হিসাবে মির্জা গালিব ছিলেন নির্লোভ। নির্মোহ। জাগতিক-লোভলালসা বৈষয়িক প্রাপ্তি যোগের চাইতে তিনি নিজেকে কাব্য চর্চা গদ্য রচনা তথা সাহিত্যের ভুবনে নিজেকে বিলিয়ে দেন। উজার করে দেন। সভাকবি ও স¤্রাটের বন্ধু হয়েও তিনি আধুনিক জামানার মত বানিজ্যায়ন-দূবৃত্তায়ন করেন নি-সভাকবি হিসাবে স¤্রাটের নাম ভাঙ্গিয়ে কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজে আর্থিক লাভবান কিংবা তৎকালীন প্রথা মোতাবেক-জায়গীর-চাননি-পাননি। বরং বেহিসেবী মির্জা গালিব নিদারুন অর্থকষ্টে ভূগে ঋনের দায়ে মামলা মোকদ্দমার সম্মুখীন হয়েছেন-কারা যাতনা ভোগ করেছেন। তবুও অসত্যের সাথে আঁতাত-আপোষ করেন নি-কবিতা ও শের নিয়ে বানিজ্যায়ন করেন নি। অষ্টাদশ শতাব্দিতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনগ্রসরতা ও অনুন্নতির মাঝেও কবি ও দার্শনিক মির্জা গালিব যে মহৎ মানসিকতা ও উন্নত নৈতিকাতা বোধের পরিচয় দিয়েছেন-তা প্রশংসনীয়। অনুকরনীয়। অনুসরনীয় বটে।
ফার্সিও উর্দূ সাহিত্যের এই কালজয়ী প্রতিভা দেশে-বিদেশে বিস্মৃত। স্মৃতির গভীরে হারিয়ে যাওয়ার পথে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর বিগত একটি সংখ্যার-“নিজ শহরেই উপেক্ষিত কবি মির্জা গালিব”-শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করেন। এনডিটিভির খবর মোতাবেক নীরবে নিঃশব্দে চলে যায় গালিবের জন্মদিন। আগ্রার মানুষই ভুলেগেছেন কবি গালিবকে। আগ্রার পৌর কর্তৃপক্ষ গালিবের স্মৃতি রক্ষার্থে কোন ব্যবস্থা নেননি। আগ্রার মির্জা গালিব একাডেমির পরিচালক সাঈদ জাফরির মতে আগ্রায় উর্দূ সাহিত্যের বিকাশে গালিবের অবদান থাকলেও দিল্লী-আগ্রায় মির্জা গালিবের সম্মান ও স্মরনে কোন স্মৃতি সৌধ নেই-যা-দুঃখজনক।
বাংলাদেশের বাঙ্গালি খুবই ভাগ্যবান জাতি। এজাতি বায়ান্নে ভাষার দাবীতে প্রাণ দিয়েছেন। একাত্তোরে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারীতে জাতির প্রাণের মেলা –মিলন মেলায় শেখ সিরাজুল ইসলামের গালিবের কর্ম্ম ও জীবন দর্শন সংক্রান্ত গ্রস্থ-গালিবিয়াত-প্রকাশ করেছেন অবসর প্রকাশনী। লেখক ও প্রকশক একটি জাতীয় দায়িত্বই পালন করলেন।
আমাদের দেশে কতো জন্ম মৃত্যোবার্ষিকী উদযাপন হয়। কবি মির্জা গালিবের কর্মও জীবন দর্শন প্রসঙ্গে আলোচনা-সমালোচনা করলে জাতি হিসাবে আমরা গৌরবান্বিত হব বৈকি।
দিল্লীতে হযরত নিজাম উদ্দিন আওলিয়ার মাজার প্রাঙ্গনে চীর শয়ানে শায়িত উর্দূ ও ফার্সি সাহিতের কালজয়ী প্রতিভা মির্জা আসাদুল্লা খা গালিব। তার শুভ জন্মদিনের শ্রদ্ধাজ্ঞলী ও রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। মহান মালিক তার বেহেশত নসিব করুন-এই মোনাজাত।
(সেক্রেটারী, মৌলভীবাজার জেলা জামে মসজিদ। সিনিওর এডভোকেট, হাইকোর্ট। সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাব। মুক্তিযোদ্ধা। কলামিষ্ট)
মন্তব্য করুন