একজন সফল সংগঠক মো: ইয়াকুব আলী
চৌধুরী ভাস্কর হোম॥ একজন সফল সংগঠক মো: ইয়াকুব আলী। ক্লিন ইমেজ আর সততা ন্যায়নিষ্টা ও দেশপ্রেমে উজ্জল আলোকিত একজন মানুষ। যিনি সর্বাবস্থায় সাধারণ মানুষকে নিয়ে ভাবেন, বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত। সামাজিকভাবে তাদের এগিয়ে নিতে সাময়িক সহযোগিতার পাশাপাশি মানুষের দারিদ্র বিমোচনে স্থায়ী সমাধান নিয়ে ভাবেন। নিজ এলাকার মানুষের সুখেদুঃখে পাশে থেকে হয়েছেন তাদের স্বপ্নের মহানায়ক। মানুষ মানুষের জন্য এই মূলমন্ত্র মো: ইয়াকুব আলী’কে প্রভাবিত করে মানুষের তরে কাজ করতে। আগামী সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-০৪ আসনে তার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি চাউড় হয়ে যাওয়ায় এনিয়ে জেলার রাজনীতিতে চলছে নানা হিসেব নিকেশ।
শুধু রাজনীতিতেই নয় ধর্মীয়, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ দলমত নির্বিশেষে সর্বমহলের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হন একটানা শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির চার বারের নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক মো. ইয়াকুব আলী। তিনি একজন ধর্মপরায়ন ব্যক্তি। নিশ্বার্ত ন্যায় বিচারক। স্পষ্ট বাদী ও সদ আলাপী। সদা এক হাস্য উজ্জল মানুষ মো. ইয়াকুব আলী। ক্লিন ইমেজ ধরে রেখে চলে আসেন আলোচনায়। আগামী নির্বাচনে ইয়াকুব আলী দলীয় মনোনয়ন পেলে-দলের নেতা-কর্মীদের নতুন একটি প্লাটফর্ম তৈরী করে দেবে বলে অনেকের ধারণা।
কালিঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পরাগ বাড়ই জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রথম সারির ১০ জন রাজনীতিবীদদের একজন মো. ইয়াকুব আলী। ৫ জন সফল সংগঠকের মধ্যে তিনি অন্যতম। নিজ দলের তৃণমূল ও সিনিয়র নেতা কর্মীদের একক আস্তাভাজন নির্ভশীল আদর্শবান সংগঠক ও নেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। নির্বাচন আন্দোলন সংগ্রামে এবং রাজপথে যার অগ্রনী ভূমিকা, নিজ দল তথা অন্যান্য দলেও তার প্রসংশার ক্ষমতি নেই। তবে দলের সাধারন নেতা কর্মীদের বিপদে পাশে থাকার এক উজ্জল দৃষ্ঠান্ত তিনি।
দলের প্রতিকূল অবস্থা সত্যেও ২০০৯ সালে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চা বাগান অধ্যষিত আওয়ামীলীরে ভোট ব্যাংকে প্রার্থী হয়ে বড় ধরনের ভাগ বসিয়ে পাল্টে দিতে সমক্ষম হন অতীথের রেকর্ড। যা কোন নির্বাচনেই বিএনপি পন্তি কোন নেতার পক্ষেই এই সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান চৌধুরী জানান, মো. ইয়াকুব আলী এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। ন্যায় বিচার, অসহায় মানুষের পাশে থাকা, এলাকার আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে ও বিভিন্ন সমস্যা সমাদানের এক সহায়ক মানুষ তিনি। পৃথিবীর সবছেয়ে বড় সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব শ্রীমঙ্গল ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট, আছিদুল্লা হাই স্কুলের সাবেক সভাপতি, দি লাইফ গুড মডেল স্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এই স্কুলটি ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় ৭০% জিপিএ ও ১০০% এ পেয়ে সিলেট বিভাগের মধ্যে অন্যতম প্রতিষ্ঠানে রুপ লাভ করে। এই বিদ্যালয়ের ছাত্রী তমা দেব শেখ রাসেল স্মৃতি পরিষদ নিত্য প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে প্রতম স্তান অধিকার করায় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জাতীয় পুরোষ্কার গ্রহন এর জন্য মনোনিত হয়েছে। এছাড়াও স্কুল কলেজ মসজিদ, মাদ্রাসার সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। নিজ টাকায় লেখা পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। কর্মসংস্থানের লক্ষে প্রতিষ্ঠা করেছেন বিভিন্ন সমাজ সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। দল মতের উর্ধে থেকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে ডেলে সাঁজাতে ও সহযোগিতা করতে কারপর্ণ করেননি। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর নাম আজও আলোকিত। তবে তৃণমূলের নেতাদের ধারনা, মৌলভীবাজার জেলাকে পর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে হলে আগমী সংসদ নির্বাচনে মো ঃ ইয়াকুব আলীর বিকল্প কেউ নেই। তাই নিজ নির্বাচনী এলাকায় আলোচিত এবং জনপ্রিয় এই নেতা সাধারণ মানুষের কাছে। জনপ্রিয়তা রয়েছে সর্ব মহলে। তাই প্রচারনায় এগিয়ে রয়েছেন এই নেতা।
দলকে তিনি যা দিয়েছেন তার বিনিময়ে দল থেকে তিনি কিছুই পাননি। তার দখল সমাজে দলে ও প্রশাসনে সর্ব প্রসংসিত এবং কার্যকারিত এক আদর্শবান রাজনিতিবীদ। বিএনপির ক্ষমতা থেকে শুরু করে তার দল ক্ষমতায় না থাকা সত্তেও তিনি নিজেকে রেখেছেন একজন পরিছন্ন মানুষ হিসাবে। ক্লিন ইমেজের রাজনীতিীবীদ হিসাবে সকল দল মত মানুষের কাছে তার দক্ষতা গ্রহন যোগ্যতা অপরিসীম। তার দল সরকারে থাকা অবস্থায় তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলা উন্নয়ন মূলক কাজের প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন এবং বিভিন্ন দল মত ও পথের মানুষকে স্বার্থহীন ভাবে সেবা প্রদান করে গেছেন। সেই সেবা থেকে আজকের সরকারী দলের উল্লেখযোগ্য পরিমানের নেতা কর্মীরাও সেই সেবা থেকে বঞ্চিত হননি। লাভজনক কাজে স¦ার্থের উপরে থেকে কাজ করে গেছেন। তা সর্ব মহলে স্বীকৃত।
প্রার্থীতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোঃ ইয়াকুব আলী বলেন, দলের জন্য কাজ করছি। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে তা ভালর জন্যই নেবে। তবে নির্বাচনের বিষয়টি মাধায় রেখেই হয়তো অনুসারী সমর্থক ও জনগন আমার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন