একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে —–অধ্যাপক রফিকুর রহমান
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নবনির্বাচিত সদস্য, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রফিকুর রহমান বলেছেন, জেল হত্যা দিবস বাঙালি জাতির জীবনে দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায়। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করা। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তিনি বলেন, দেশের আপমর জনসাধারণকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্œকে বাস্তবে রূপ দিতে দৃঢ় প্রত্যয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার আত্মস্বীকৃত খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে ১৪ দল ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ের মধ্যেই বিচারের রায় কার্যকর করতে এ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অধ্যাপক রফিকুর রহমান ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভানুগাছ চৌমুহনা চত্বরে কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক বিরাট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথাগুলো বলেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম, মোসাদ্দেক আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাহীদ আলী, সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সিদ্দেক আলী, রহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল, কমলগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মুনিম তরফদার, আওয়ামীলীগ নেতা আছলম ইকবাল মিলন, সুলেমান মিয়া, বদরুল আলম জেনার, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক শাব্বির এলাহী, যুবলীগ নেতা নারায়ণ মল্লিক সাগর, রঞ্জিত অধিকারী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সানোয়ার হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক শাহেদুল আলম, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হামিম মাহমুদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন