একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধ: বড়লেখার তিন যুদ্ধাপরাধীর তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত
আবদুর রব॥ একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের বড়লেখার তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থা।
২৯ নভেম্বর ধার্য তারিখে প্রতিবেদনটি দাখিলের কথা রয়েছে। অভিযুক্ত আসামীরা হলেন দুই সহোদর সাবেক ব্যাংকার আব্দুল আজিজ ওরফে হাবুল (৬৫), আব্দুল মতিন (৬৪) ও আব্দুল হান্নান ওরফে মনাই (৬৫)। তিন জনের মধ্যে হাবলু ও মনাইকে চলিত বছরের ২ মার্চ গ্রেফতার করা হয়। অপর অভিযুক্ত আসামী আব্দুল মতিন অদ্যাবধি পলাতক রয়েছেন।
ট্রাইব্যুনাল সুত্রে জানা গেছে, ২৭ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালে রাজাকারদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য তারিখ ছিল। প্রসিকিউশনের সময় প্রার্থনার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২৯ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াছমিন খান মুন্নী। দুই আসামীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিষ্টার সরোয়ার হোসেন ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াছমিন মুন্নী জানান, আসামীদের মধ্যে আব্দুল আজিজ ও আব্দুল মতিনের বাড়ি বড়লেখা পৌরসভার পাখিয়ালা গ্রামে। তারা একাত্তরে ছাত্রলীগ করতেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এ দুই সহোদর মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে ভারতের বারপুঞ্জিতে যান। কিন্তু প্রশিক্ষণরত অবস্থায় তারা পালিয়ে এসে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে নানা মানবতা বিরোধী অপরাধ কর্মকান্ড চালায়। অপর আসামী আব্দুল হান্নান উপজেলার তারাদরম গ্রামের বাসিন্দা। একাত্তরে তিনি স্থানীয় মুসলিমলীগ নেতা ছিলেন।
তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক (আই,জি,পি) আব্দুল হান্নান জানান, গত ১৬ অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত তিন আসামীর অপরাধ কর্মকান্ড তদন্ত করে ২৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন। তদন্ত টিম বড়লেখার বিভিন্ন বধ্যভূমি সরেজমিনে পরিদর্শন এবং ভুক্তভোগীর জবানবন্দী গ্রহন করেন। আগামী ধার্য তারিখে প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালে দাখিলের কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন