“একাত্তোরের অকুত ভয় বীর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম,এ,মতিন পি,এস,সি, বীর প্রতীক-অবঃ স্মৃতির গভীরে, অচেনা নিজ জন্মভূমেঃ স্মরন-শ্রদ্ধাঞ্জলি ॥”

March 23, 2022,

মুজিবুর রহমান মুজিব॥ বাংলা ও বাঙ্গাঁলির হাজার বছরের সংগ্রামী ইতিহাসে একাত্তোরের মহান মুক্তিযুদ্ধ একটি গৌরবময় অধ্যায়। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাঙ্গাঁলি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জনক বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বান ও নির্দেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দেশ প্রেমিক বাঙ্গাঁলি অফিসার ও জোয়ানগণ পাক সরকার ও সেনা বাহিনীর সঙ্গেঁ সম্পর্ক ছিন্ন করে প্রবাসী মুজিব নগর সরকার এর প্রতি আনুগত্য পোষন করতঃ মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। সেনাবাহিনীর গর্ব ও গৌরব বৃহত্তর সিলেটের-সুন্তান বঙ্গঁবীর জেনারেল মোহাম্মদ আতাউল গনী ওসমানীর বলিষ্ট ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চৌকশ কর্ম্মকর্তা উজ্জল ফর্সা চেহারার পিঙ্গঁল চোখি দীর্ঘদেহী এম,এ,মতিন মেজর পদ মর্য্যাদায় থাকাকালীন মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তাঁর দুঃসাহস, কৃতিত্ব ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য স্বাধীনতা উত্তর কালে বঙ্গঁবন্ধুর সরকার তাঁকে “বীর প্রতীক” খেতাবে ভূষিত করেন। সেনাবাহিনীতে তাঁর সম-সাময়ীক আরেকজন এম,এ,মতিন থাকায় তিনি বন্ধু মহলে পিঙ্গঁল চোখি এ,জি, মতিন হিসাবে পরিচিত ছিলেন প্রসঙ্গঁত উল্লেখ্য তিনি বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর “এডজুটেন্ট জেনারেল” এ,জি, হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রামান্য গ্রহ্ণ এম, আর, আখতার মুকুল রচিত “আমি বিজয় দেখেছি” গ্রহ্ণে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টার কমান্ডার এবং প্রত্যেক সেক্টারের পদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের নামের তালিকা আছে। মুক্তিযুদ্ধের দুই নম্বর সেক্টারের সেক্টার কমান্ডার ছিলেন-“কে”-ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম। এই সেক্টারের সেনা কর্মকর্তাদের নামের তালিকায় এক নম্বরেই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম,এ, মতিন পি,এস,সি, বি, পি, এর নাম আছে। এই সেক্টারের সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌকশ সেনা কর্ম তাঁদের মধ্যে লেঃ কঃ এ,টি,এম, হায়দার, লেঃ কঃ আকবর হোসেন বীর প্রতীক এবং লেঃ কঃ জাফর ইমাম বীর বিক্রমের নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। দর্শন গত ভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামী এম,এ, মতিন বাঙ্গাঁলি জাতীয়তাবাদের অনুসারি এবং বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবের ভক্ত ও সমর্থক ছিলেন। পঁচাত্তোরের পনেরোই আগস্ট বঙ্গঁবন্ধুর মন্ত্রীসভার সদস্য তাঁর ভাষায় পনেরোই আগস্টের সারথী খন্দকার মুশতাক আহমদ এর পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর কতেক বিপথগামী পদচ্যোত, অবসর প্রাপ্ত মাঝারি পদ মর্য্যাদার সেনা কর্মকর্তা কর্তৃক ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরের বাস ভবনে নৃশংস ভাবে সপরিবারে বঙ্গঁবন্ধুকে হত্যা সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেন নি মুজিবানুগামী বীর যোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম,এ,মতিন। ফলত: তিনি স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খুনী খন্দকার মুশতাক এবং তাঁর খুনী মেজর চক্রের রোশানলে পতিত হন। ফলতঃ তাঁকে বার্মায় বাংলাদেশ হাই কমিশনে অপেক্ষাকৃত গুরুত্বহীন পদ সামরীক এ্যাটাসি-হিসাবে বদলি করা হয়।
আজীবন- আর্মি ডিসিপ্লেইন- এর অনুসারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম,এ,মতিন বীর প্রতীক সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে বার্মায় বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগদান করেন। অথছ পনেরোই আগস্টের স্ব-ঘোষিত খুনী, খন্দকার মুশতাক এর অনুসারি লেঃ কর্নেল শরিফল হক ডালিম প্রমুখ জুনিওর ও মেধাহীন মেজর-কর্নেলকে হাই কমিশনার পদে নিয়োগ দেয়া হয়। পঁচাত্তোরের পনেরই আগস্টের পট পরিবর্তন এবং বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিব বিহীন স্বাধীন বাংলাদেশে একাত্তোরের অকুত ভয় বীর মুজিবানুগামী এম,এ,মতিনের সেনা জীবন সুখকর হয়নি। মেধাহীন, তাঁর জুনিওরদের পদন্নোতি এবং সম্মান ও সুবিধাজনক পদায়ন হলেও তাঁর আর কোন পদোন্নতি হয়নি, তাঁকে দেশে ডেকে এনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডি.জি.করা হয়।
পুরাতন ঢাকার একটি পুরাতন ভবনে একটি নবীন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় পদক ধারী বীর যোদ্ধা’র এমন কাজে মন বসে নি, মনের দূঃখে তিনি অবসরে যান। একদিন দেশ বাসি একটি ইংরেজী দৈনিক “লউনলিনেছ অফ এ লংডিষ্টেন্ট রানার” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন দেখেন। ছয়ফুটাধিক লম্বা সুঠাম শরীরের অধিকারী এই সেনা কর্মকর্তা একজন স্পোর্ট সম্যান-ক্রীড়াবিদ-দৌড়বিদ ছিলেন। জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়া একাত্তোরের এই বিজয়ী বীর তাঁর অপমান দূঃখ বেদনার কথা ও কাহিনী একাকিত্বের মর্ম বেদনা সাক্ষাতকারে বলেছিলেন। সদাহাসি খুশী একাত্তোরের এই বিজয়ী বীর হৃদরুগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিক ভাবে বড় অসময়ে-অবেলায় ইন্তিকাল করেন। তাঁকে ঢাকায় সামরীক গোরস্থানে সামরীক কায়দায় সসম্মানে সমাহিত করা হয়। তাঁর সহধর্মিনী সৈয়দা আরজুমান্দ বানু দুই পুত্র ইমরান, আরমান, দুই কন্যা প্রিয়াংকা পূরবিকে নিয়ে স্থায়ী ভাবে ঢাকায় বসবাস করছেন।
এত দিনে একাত্তোরের অকুত ভয় বীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম,এ, মতিন পি.এস.সি. বি.পি. এর কবরের মাটি পুরাতন হয়ে গেছে। জন্মেছে নাম না জানা অনেক ঘাস, লতাপাতা, হয়ত নাম না জানা অনেক ঘাসফুলও। যে মাটির মায়ায় তিনি একদা চাকরি ও জীবনের মায়া পরিত্যাগ করে শরীক হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে সেই মাটির কোলেই কোমল বিছানায় তিনি চীর শয়ানে। হাজার বছর কিংবা নির্দিষ্ট হীন “আলমে বরযক” কবরি জীবনে খন্দকার মুশতাকি উপদ্রব-ক্যুডেটা নেই, বদলি নেই, পদোন্নতি, পদাবনতিও নেই, নিরঝজ্ঞাট-নিরিবিলি অনাদি অনন্ত মহা জীবন। তাঁর রুহের মাগফিরাত ও পরলৌকিক জীবনের কল্যান সহ, মহান মালিক তাঁর বেহেশত নসীব করুন-এই মোনাজাত।
সুনামবাহি সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয় এর কৃতি ছাত্র অসম্ভব রকমের মেধাবি মতিন চাচা সুনামগঞ্জে বেড়ে উঠললেও সাধক শাহ মোস্তফার মৗলভীবাজার এম.এ.মতিন এর জন্ম ও পিতৃভূমি।
বৃটিশ ভারতের শেষ ভাগে সদর থানাধীন আখাইলকুড়া ইউনিয়ন অন্তর্গত রসূলপুর গ্রামে এক সম্ভান্ত মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে এম,এ, মতিনের জন্ম। তার পিতা মৌলভী মোহাম্মদ আলফু আদর করে ফুটফুটে এই মানব শিশুর নাম রাখেন লেবু। তাঁর জ্যেষ্ট ভ্রাতা এম,এ, মনির। সেকালে এই এলাকায় কোন স্কুল সদরে কোন কলেজ এবং একালের মত লেখাপড়ার প্রচলন ছিলনা। মানব শিশু লেবুর চাচা মৌলভী মোহাম্মদ আনোয়ার ১৯২০ সালে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এনট্রান্স পাশ করে আসাম সরকারের অধীনে জুডিশিয়াল সার্ভিসে সম্মান জনক চাকরি লাভ করেন। সিলেট হয়ে তিনি সুনামগঞ্জ বদলি হয়ে সেখানেই ঘর বসতি স্থাপন করে স্থায়ী ভাবে বসতি স্থাপন করেন। সেখান কার প্রাকৃতিক নিসর্গ, ভূমির প্রাচুর্য্য, মানুষের মায়া তাকে বিমুগ্ধ করে। শিক্ষানুরাগি মোহাম্মদ আনোয়ার তাঁর দুই ভ্রাতপ্সুত্রকেই নিজের কাছে নিয়ে সরকারি জুবিলি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। আমি সহ আমাদের একাধিক আত্মীয়-স্বজনকে তিনি সুনামগঞ্জ নিয়ে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। তিনি আমার প্রবাসী পিতার মামা। ষাটের দশকের শুরুতে এম.এ.মতিন পাকিস্তান সেনা বাহিনীতে যোগদান করেন। পাকিস্তান মিলেটারি একাডেমী-কাকুল থেকে জেন্টিলম্যান ক্যেডেট-জি,সি,এম,এ, মতিন পত্র দিতেন। আমি তখন সুমানগঞ্জ সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ে হায়ার ক্লাশের ছাত্র। একবার ছুটিতে দেশে বাসায় এলেন জি.সি.এম,এ, মতিন। এখনকার মত তখন ও আর্মি অফিসার হওয়া ছিল গৌরব ও সম্মান জনক। আমাদের লেবু চাচা স্যুটকেশ ভর্ত্তি আঙ্গুঁর এবং কিছমিছ সহ পাকিস্তানী অনেক ফল এনেছিলেন। তাঁকে নিয়ে ষোল্ল ঘরের বাসায় কি আনন্দ উল্লাস। আমি তাঁর বয়োঃ কনিষ্ট এবং সম্পর্কে ভাতিজা বিধায় আজীবন তিনি আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। জীবনবহতা নদীর মত। ইতিমধ্যে বুড়িগঙ্গাঁ, মনু, কুশিয়ারা, খোয়াই দিয়ে অনেক পানি গড়িয়ে যায়। লেবু চাচা স্বাধীন বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর চৌকশ কর্মকর্তা মেজর মতিন, কর্নেল মতিন, হয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হয়েছেন। আমি কলেজ লাইফ শেষে ভার্সিটি জীবনে ঢাকা বাসি হয়েছি, সাংবাদিকতা ও কলামিষ্ট হিসাবে বেশ নাম ডাক কামিয়েছি। তিনি আমার সাংবাদিকা জীবন ও লেখালেখি, খুবই পসন্দ করতেন। স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্ত্তী কালে তাঁর ঢাকা সেনা নিবাসের সরকারি বাস বভনে আমার নিয়মিত আসা যাওয়া ছিল। তাঁর সহ ধর্মিনী, আমার প্রিয় চাচি সৈয়দা আরজুমান্দ মতিন একজন চমৎকার গুণবতী রমনী, স্নেহময়ী জননীর মত। লেবু চাচা তাঁর পিতৃ বিয়োগের পর তাঁর মাকে ঢাকায় নিয়ে রাখতেন-সেবা যত্ন করতেন। তাঁর জ্যেষ্ট ভ্রাতা এক,এ, মুনির পাক আমলে পি,আই,এ-তে যোগ দিয়ে ঢাকা বাসি হন। বাংলাদেশ আমলে বিমানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হয়ে অবসর গ্রহণ করেন। অধিক পরিমানে ধুম পায়ী হওয়ার কারনে থ্রট ক্যেন্সারে আক্রান্ত হয়ে ইন্তিকাল করেন সহজ সরল ভালো মানুষ মুনির চাচা। সস্ত্রীক লেবু চাচার মাতৃভক্তি প্রসংশনীয়। স্মরন রাখার মত। তাঁর মমতা ময়ী মা বাড়িতে থাকতে মহিষের দুধ খেতেন, বাসায় দুধ খাওয়ার জন্য তিনি বৃহদাকৃতির সিন্ধি গাভী পোষতেন। কেন্টনমেন্ট এর বাসার ভিতরাংশে গৃহবন্দী মশারি ডাকা কালো গাভী এখনও আমার মানষ পটে ভাসে। এত সুন্দর এত বড় গরু আমার জীবনে আমি খুব কম দেখেছি।
পঁচাত্তোর উত্তর কালে আমি ও পথহারা এক পথিক। যে সোনার বাংলার রঙ্গীঁন স্বপ্ন নিয়ে ছাত্র রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে ছিলাম, সেই স্বপ্ন দূঃস্বপ্ন হয়ে গেলেও ঢাকাই সাংবাদিকতায় ব্যস্থ সময় পার করছিলাম। একদিন তাঁর সঙ্গেঁ দেখা করতে গেলাম সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস এর হেড কোয়ার্টার পুরাতন ঢাকার আগা সাদেক রোডে কিংবা আগা মসিহ্ লেন এলাকায়। একাত্তোরের অকুত ভয় বীর খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অবসর প্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম,এ, মতিন পি,এস,সি-র পোষাক শান শওকত থাকলেও তাঁর ফর্সা উজ্জল চেহারার সেই ঔজ্জল্য আর নেই, স্বপ্নময় দু’টি পিঙ্গঁল চোখে বেদনার ছাপ। স্বপ্নহীন ভাষাহীন-বাকহীন। তাঁকে দেখে মনে হল বাংলাদেশের রয়েল বেঙ্গঁল টাইগারকে সার্কাসের খাঁচায় বন্দী করে রাখা হয়েছে। সেই বাঘের হুংকার নেই গর্জন নেই-আছে মিনমিনে আর্তনাদ আহাজারি। বল্লেন-দেখে যাও-লিখে দাও একাত্তোরের অকুত ভয় বীর ফ্রীডম ফাইটার এম.এ.মতিন পি.এস.সি. মারা গেছে। এই তিন হাজার টাকা মাইনের চাকরিও আর করছিনা। আমি দোকানদারি করব মাথা নোয়াব না। এক বুক কষ্ট আর বেদনা নিয়ে সেদিন তাঁর দপ্তর থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম। তাঁর উপর কোন কলাম লেখা আমার পক্ষে সম্ভব হয় নি। সাহস হয় নি, তাঁকে যথাযথ ভাবে সম্মানিত-মুল্লায়িত করার শক্তি আমার নাই।
তাঁর ছাত্র জীবন থেকে সেনা জীবন পর্য্যন্ত তাঁকে কাছে থেকে দেখেছি একজন নিখাদ দেশ প্রেমিক, একজন কর্তব্যনিষ্ট, ন্যায় নীতিবান আদর্শ মানুষ। সৎ মানুষ। মহৎ মানুষ। সদর উপজেলাধীন শাহবন্দর নিজ বাড়িতে অবসর জীবন যাপন রত সেনা বাহিনীর একজন চৌকষ ও মেধাবী কর্ম্মকর্তা, তাঁর কনিষ্ট এবং আমার অগ্রজ প্রতিম অবঃলেঃ কর্নেল আবু লেইছ চৌধুরীর সঙ্গেঁ সৌজন্য সাক্ষাত ও তাঁর শারীরিক কুশলাদি জানতে শাহবন্দর গিয়েছিলাম। মাঝে মধ্যে যাইও। তাঁর অনুজ আবু জাফর চৌধুরী লাইফ আমার সহপাঠি ও বাল্য বন্ধু। বিলেত থেকে তাঁরও অনুরোধ-দুস্ত সময় পেলে বড় ভাইকে খুজ খবর করিস। তিনি তোকে খুবই পসন্দ করেন। সেদিন সন্ধ্যায় আপ্যায়নের পর লেঃ কর্নেল আবু লাইস চৌধুরী অব: কে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম,এ,মতিন পি, এস,বি, বি,পি, প্রসঙ্গেঁ মন্তব্য করতে অনুরোধ করলে তিনি আমার মতই বলেছিলেন তিনি আমার সিনিওর। ম্যান অব প্রিনসিপুল। ষ্ট্রেইট কাট। পারপেক্ট জেন্টিলম্যান। হ্যন্ডসাম। নাইস লুকিং জেন্টিলম্যান।
স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে আমাদের আপনজন একাত্তোরের অকুত ভয় এই বীরের উজ্জল স্মৃতির প্রতি সুগভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি সহ তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
[মরহুমের আত্মীয়। ষাটের দশকের সাংবাদিক। একাত্তোরের মুক্তিযোদ্ধা। এডভোকেট হাইকোর্ট। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব]

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com