এগারোতে আনন্দ : ঘরে ঘরে আনারস বিতরণ
হোসাইন আহমদ॥ সবার দৃষ্টি ছিল মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১১ নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের দিকে, কে নির্বাচিত হয়ে আসছেন এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে। প্রতিদিন এনিয়ে জল্পনা-কল্পনা ছিল, ভোট অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে কিনা। পুলিশ প্রশাসন, সিভিল প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন অধিক দ্বায়িত্বশীল থাকায় কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ন ভাবে ভোট গ্রহন শেষে ফলাফল দেয়া হয়।
মোস্তফাপুর ইউনিয়নে তাজুল ইসলাম তাজ আনারস প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় ইউনিয়নের ঘরে ঘরে চলছে তার নির্বাচনী প্রতীক আনারস ও মিষ্টি বিতরণ।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার খবর পৌঁছার সাথে সাথে তার সমর্থক ও সাধারণ মানুষ ফুলের মালাদিয়ে থাকে ভরণ করে। এসময় তার সমর্থক ও সাধারণ মানুষ একে অপরকে মিষ্টি আপ্পায়ন করান। মোস্তফাপুর ইউনিয়নের মাসরুর আহমদ রাজন ও মুস্তাকিম আহমদ বলেন, সাধারণ মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করছেন গণমানুষের নেতা, গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের বন্ধু নব-নির্বাচিত চেয়রম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম তাজ। বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহল থাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তাজুল ইসলামকে অভিনন্দন জানিয়ে জগন্নাথপুর গ্রামের মোঃ আব্বাস উদ্দিন বলেন, মোস্তফাপুর ইউনিয়নের নিবেদিত প্রান, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে ইউনিয়নবাসী ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আমরা আশা করি তিনি তার মেধা দিয়ে মোস্তফাপুর ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করবেন। একই সাথে তিনি নব-নির্বাচিত মহিলা মেম্বার ও সাধারণ মেম্বারদেরও অভিনন্দন জানান।
রায়হান নামের এক ব্যবসায়ী জানান, আনারস মার্কা বিজয়ী হওয়ায় তিনি খুব খুশি। মুটুকপুর এলাকার সিলেট “ল” কলেজের ছাত্র আব্দুল কাইয়ুম বলেন, তাজ ভাইকে আমি ভোট দিয়েছি, তিনি বিজয়ী হওয়ায় আমি খুশি। নাসিমা বেগম নামের এক মহিলা জানান, আনারস মার্কা বিজয়ী হওয়ায় আমরা মহিলা সমাজ আনন্দিত।
ইউনিয়ন নির্বাচনে তাজুল ইসলাম তাজ আনারস প্রতীক নিয়ে ৫০৭০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের শেখ রুমেল আহমদ নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৯১৫ ভোট। বিএনপির সৈয়দ ফয়সল আহমদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৯৯৬ ভোট।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ জানান, তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি গরীব, দুঃখী মেহনতি মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবেন। ইউনিয়নের মধ্যে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মোস্তফাপুর ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষার মান-উন্নয়নে কাজ করবেন। মোস্তফাপুর ইউনিয়নকে তিনি বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড় তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।
মন্তব্য করুন