ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও আলাদা সংস্কৃতিই আদিবাসীদের পরিচয়
স্টাফ রিপোর্টার॥ বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে জেলার কুলাউডা উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুরইছড়া পুঞ্জিতে উদযাপন করা হয়েছে আদিবাসী সাংস্কৃতিক উৎসব। ঐতিহ্যবাহী ও রঙিন পোশাকে অত্যন্ত জাঁকজমকের সহিত প্রথমবারের মত খাসি পাহাড়ের সবুজে ঘেরা পানপুঞ্জিতে আদিবাসী সাংস্কৃতি উৎসবে অংশগ্রহণ করে খাসি, গারো, উরাঁও, সাওঁতাল, উড়িষ্যা এবং দেশোয়ালী জাতিগোষ্ঠীর নৃত্যশিল্পীরা।
৯ আগস্ট জাতিসংঘ ঘোষিত ২২তম বিশ^ আদিবাসী দিবসে আলোঘর প্রকল্প কারিতাস, ইন্ডিজিনাস হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস এর আয়োজনে কুলাউড়ার সীমান্ত ঘেঁষা প্রায় হাজার ফুট টিলার উপর অবস্থিত মুরইছড়াই খাসি পুঞ্জিতে আদিবাসী সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে মুরইছড়া পুঞ্জি, লুতিজুরি পুঞ্জি, এওলাছড়া পুঞ্জি, কুকিজুরি পুঞ্জি, নার্সারী পুঞ্জি এবং মুরইছড়া চা বাগানের চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর মানুষেরা অংশগ্রহণ করেন। স্বাগতিক বক্তব্য প্রদান করেন আলোঘর প্রকল্প কারিতাসের শিক্ষা সুপারভাইজার বডবস্কো কংস্টিয়া ।
কমর্ধা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মি. সিলভেষ্টার পাঠাং এর সভাপতিত্বে ও হীরামন হেলেনা তালাং এর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার প্রেসকøাবের যুগ্ম সম্পাদক.দেশ টিভি ও ভোরের কাগজ জেলা প্রতিনিধি সালেহ এলাহী কুটি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুরইছড়া পুঞ্জির শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের স্ট্যানলী তালাং, মুরইছড়া পুঞ্জির প্রাক্তন শিক্ষিকা পুষ্প তেরেজা চিছাম, লুতিজুরি পুঞ্জির শিক্ষক টমাস মানখিন, আলোঘর প্রকল্প কারিতাসের শিক্ষা সুপারভাইজার সজল বড়কুর্মী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, খাসিয়ারা ঐতিহ্যগত ও উত্তরাধিকার সূত্রে বনভূমির বাসিন্দা।
বনই তাদের জীবন ও জীবিকার উৎস। এ ভূমি আমাদের, আমরাও ভূমির। ভূমি থেকে আসি ,আবার এ ভূমিতে ফিরে যাই। বংশ পরম্পরায় যুগযুগ ধরে যে জমিতে বসবাস ও পান চাষ করলেও ভূমির উপর আদিবাসী খাসিদের অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ভূমি নাই আদিবাসীদের সংস্কৃতি নাই।
বক্তারা আরো বলেন, ভূমির সাথেই আদিবাসীদের জীবন সংস্কৃতিক জড়িত। সংস্কৃতিই আদিবাসীদের পরিচয়। গারো, খাসি, উরাঁও, সাওতাল, মনিপুরী, পাত্র, চা জনগোষ্ঠী সংস্কৃতিই বলে দেয় তারা আদিবাসী। শেষে অংশ গ্রহনকারিদের হাতে পুরস্কার তোলে দেন প্রধান অতিথি ও অন্যানরা।
মন্তব্য করুন