“ওয়ার্কার্স পার্টি প্রধান, চৈনিক বাম, সাংসদ রাশেদ খাঁন মেনন এর সংসদ গরীব উল্লাহ তথ্য সমাচার॥
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ ওয়েষ্ট মিনিষ্টার টাইপ অব পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসী সংসদীয় পদ্ধতির সরকারে সংসদ মহা শক্তিশালী আইন প্রণয়নকারী সর্বোচ্চ জাতীয় প্রতিষ্ঠান-হাইয়েষ্ট ফোরাম অবদি নেশন। সংসদীয় পদ্ধিতিতে সংসদ-সার্বভৌম, স্বাধীন। ভারত, বৃটেন, জাপান সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। বৃটেন এবং জাপানে প্রাচীন এবং অভিজাত রাজতন্ত্র চালু থাকলেও বৃটেনের হাউস অব কমন্স এবং জাপানের জাতীয় সংসদ ‘ডায়েট’-রাজা-রানীর চাইতে ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। একটি রক্তক্ষয়ী সসস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে কষ্টার্জিত বাংলাদেশের এই স্বাধীনতা। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জনক, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন স্বাধীন বাংলার প্রথম সরকারও ছিল সংসদীয় পদ্ধতির। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতি চালু হলেও সামরীক স্বৈর শাসক জেনারেল এর্শাদ সরকার বিরোধী তিন জোটের গণ আন্দোলনের উল্লেখ যোগ্য দফা ছিল সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা পূনঃ চালু। ফৌজি প্রেসিডেন্ট জেনারেল এইচ.এম.এর্শাদ (অবঃ) উৎখাতের পর সংবিধানের দ্বাদশ-ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে জবাব দিহিতা মূলক সংসদীয় পদ্ধতির সরকার পূনঃ চালু হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন সম্প্রতি অনুষ্টিত হয়েছে। দূর্ভাগ্যজনক ভাবে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি ও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ সহিংসতা পূর্ণ। অগ্রহণযোগ্য। নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে অংশ গ্রহণকারী রাজনৈতিক দলসমূহ, মিডিয়া, এন.জি.ও.নির্বাচন পর্য্যবেক্ষণকারী দেশী-বিদেশী সংস্থা সমূহ এবং সুশীল সমাজ নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে সাফ প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। নির্বাচনটি অংশ গ্রহণ মূলক হলেও অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ছিল না। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল বিশেষতঃ বিশ দলীয় জোটের বড় শরীক বি.এন.পি এর পক্ষ থেকে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বের থাকা স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সি.ই.সি.কে.এম.হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ ও স্বাধীন ভাবে দায়িত্ব পালন করেন নি, কিংবা করতে দেয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা শুধুমাত্র মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিল।
চীনপহ্ণী হিসাবে কথিত ওয়ার্কার্স পার্টি মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ- সর্বহারার মত বাদে বিশ্বাসী। পার্টি প্রধান, দেশের প্রবীন রাজনীতিবিদ রাশেদ খাঁন মেনন ষাটের দশকের শুরুর দিকেই প্রখ্যাত ও প্রাজ্ঞ ছাত্র ইউনিয়ন নেতা। ষাটের দশকে কমিউনিষ্ট বিশ্বে তত্বগত মত পার্থক্য দেখা দিলে তৎকালীন পূর্বপাক বাম শিবিরেও বিভক্তি আসে। দেশও বহির্বিশ্বে কমিউনিষ্টগণ চীন পহ্ণী ও রাশিয়া পহ্ণী হিসাবে অভিহিত ও পরিচিত হন। তৎকালীন পূর্ববঙ্গেঁ ন্যেপনেতা মৌলানা আব্দুল হামিদ খাঁন ভাষানী চীন তথা চীনের চেয়ারম্যান মাও সেতুং এবং অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ সংশোধনবাদি মস্কো-কে সমর্থন করেন। তৎকালীন সময়ের প্রভাবশালীও ছাত্র প্রিয় ছাত্র সংঘটন ছাত্র ইউনিয়ন-ইপসু-তে ও বিভক্তি আসে। তখন ছাত্র ইউনিয়নের ছাত্র-জনপ্রিয় নেতা ছিলেন রাশেদ খাঁন মেনন এবং বেগম মতিয়া চৌধুরী।
ছাত্র ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে মেনন পহ্ণীও মতিয়া পহ্ণী কিংবা মেনন গ্রুপ মতিয়া গ্রুপ হিসাবে অভিহিত হয় পরিচিতি লাভ করে। ন্যাশন্যেল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপও দ্বিধা বিভক্ত হয়ে ন্যাপ মোজাফ্ফর ও ন্যাপ ভাষানী হিসাবে পরিচিত হয়। ন্যাপ-সি-পি-বি-এর বাহিরেও দেশের বাম প্রগতিশীল রাজনীতিবিদগণ সাম্যবাদী দল, ইউনাইটেড পিপুলুস পার্টি-ইউ-পি.পি. জাতীয় গণমুক্তি ইউনিয়ন-জাগমুই-ওয়ার্কার্স পার্টি- গঠন করতঃ স্বস্ব আদর্শ-উদ্দেশ্য মোতাবেক রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালাতে থাকেন। বাম প্রগতিশীলদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি প্রধান কমরেড রাশেদ খাঁন মেনন একজন শক্তিমান সংঘটক, সুবক্তা, সুবেশীও স্বজ্জন ব্যক্তি। কমরেড রাশেদ খাঁন মেনন উচ্চবিত্ত অভিজাত পরিবারের কৃতি সন্তান হলেও তাঁর মধ্যে কোন অহংকার কিংবা অংবোধ নেই। কর্মি ও মানুষ হিসাবে রাশেদ খাঁন মেনন এর অর্ধশতাধিক বৎসরের রাজনৈতিক জীবন শূন্য না হলেও পূর্ণ নয়। দলগত ভাবে ওয়ার্কার্স পার্টি দেশব্যাপী শক্তিশালী শাখা সংগঠন নেই, রাজনৈতিক কার্য্যক্রমও নেই। দলের কেন্দ্রীয় নেতা রাজশাহীর ফজলে হোসেন বাদশা ছাড়া দলের গণভিত্তি সম্পন্ন জনপ্রিয় নেতা নেই, যিনি নৌকার মাঝি না হয়ে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে পারেন, জিততে পারেন। রাজশাহী ছাড়া দলের আর কোথাও তেমন কোন শক্তঘাটি নেই। দলগত ভাবে তাদের প্রাপ্ত ভোট এবং জনপ্রিয়তা উল্লেখ করার মত নয়, ওয়ার্কার্স পার্টির দলগত ভাবে প্রাপ্ত ভোটের শতকরা আনুপতিক হার সিঙ্গেঁল ডিজিট এর প্রথম ভাগে। দলগত ভাবে একান্নব্বই সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচনে কমরেড রাশেদ খাঁন মেনন পিতৃভূমি বরিশালের একটি আসনে জয় লাভ করলেও তৎকালীন পত্র পত্রিকা সে বিজয়কে বাম ভাব ধারার বিজয় বলেন নি। সে সময় বলা হয়েছিল সে বিজয় ছিল মুসলিম জাতীয়তা বাদী কিংবা ডান ধারার বিজয়। বামপহ্ণী রাজনীতিবিদ কমরেড রাশেদ খাঁন মেনন বরিশালের একটি ঐতিহ্যবাহী মুসলিম জাতীয়তাবাদী ভাব ধারার পরিবারের সন্তান। তাঁর মরহুম পিতা আব্দুল জব্বার খাঁন পাকিস্তান জাতীয় সংসদের স্পীকার এবং একজন খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ ছিলেন। মেননের ভগ্নিপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস বি.এন.পির প্রতিষ্টাকালীন নেতা এবং বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
রাশেদ খাঁন মেননের ওয়ার্কার্স পার্টি-আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন চৌদ্দ দলীয় জোটের শরীক দল। উপমহাদেশে এখন জোট বদ্ধ রাজনীতির যুগ ও জয় জয়কার। আমাদের নিকট প্রতিবেশি ভারত বর্ষেও এখন জোট বদ্ধ রাজনীতিই চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মুদির নেতৃত্বাধীন ডান পহ্ণী জোট এন.ডি.এ-এর জোয়ার এবং মোদি ম্যেজিকে মধ্য পহ্ণী কংগ্রেস এবং বামেরা দিশাহারা অস্থির। রাজনৈতিক অস্থিত্ব সংকটের সম্মুখীন। বাংলাদেশের বৃহত দুই দল আওয়ামী লীগ ও বি.এন.পি। দল দুটির নেতৃত্বে দুই জোট রয়েছে। বি.এন.পি-র নেতৃত্বে প্রথম ছিল চার দলীয় জোট পরবর্তীতে যা বিশ দলীয় জোটে পরিণত হয়েছে। অপর দিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে সাবেক রাষ্ট্রপতি লেঃ জেঃ এইচ.এম. এর্শাদের জাতীয় পার্টি এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ডা: এ.কিউ.এম. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্প ধারার সমর্থনে মহাজোটে পরিণত হয়েছে। জোট বদ্ধ রাজনীতিতে ভোট এলেই জট লেগে যায়। গণ ভিত্তিবিহীন ছোট দলের বড় নেতাদেরকে মনোনয়ন প্রদান এবং পাশ করিয়ে আনতে পেরেশানীতে পড়তে হয়। চৌদ্দ দলের শরীক ছোট দলের বড় নেতা আরেক চৈনিক বাম সাম্যবাদী দলের কমরেড দিলিপ বড়–য়া নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্রগ্রামে জাতীয় সংসদের কয়েকটি নির্বাচনে নিজ দলের মার্কায় ভোট করে সাকুল্যে কয়েক শত ভোট পেয়ে জামানত খুইয়ে ছিলেন। জোট বদ্ধ ভোটের বাজারের এমন-অচলমালকে আওয়ামী লীগের বিগত সরকারামলে মহা জোট নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক কারনে দয়া পরবশ হয়ে তাঁর মন্ত্রী সভায় ঠাই দিয়েছিলেন, শিল্প মন্ত্রনালয়ের মত গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব নিয়ে মুক্ত বাজার অর্থনীতির সমর্থক জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মার্কস বাদী শিল্পমন্ত্রী কমরেড দিলিপ বডূয়া কোন কর্ম তৎপরতা, ক্যারিসমা দেখাতে পারেন নি। প্লট কেলেংকারিতে তিনি বদনাম কুড়িয়েছেন, মিডিয়া মারফত সমালোচিত হয়েছেন। এ সময় আরেক ছোট দলের বড় নেতা, আরেক চৈনিক বাম কমরেড রাশেদ খান মেননকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোটও রাজনৈতিক কারনে ওয়ার্কার্স পার্টি প্রধান কমরেড রাশেদ খাঁন মেননকে তাঁর মন্ত্রী সভায় ঠাই দিয়ে বেসামরীক বিমান ও পর্য্যটন মন্ত্রনালয়ের গুরু দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন। এই মন্ত্রনালয়ে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ থাকা সত্বেও বাম পহ্ণী রাজনীতিবিদ কমরেড রাশেদ খাঁন মেনন কোন মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেন নি, জাতীয় পতাকাবাহী এয়ার লাইনস বাংলাদেশ বিমান বরাবরের মত লস দিয়েছে, অযোগ্যতা, অদক্ষতা ও অসততার কারণে বাংলাদেশ বিমান দূর্নীতি গ্রস্থ, বিপর্য্যস্থ লোকসানী প্রতিষ্টানের বদনাম কুড়িয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপরূপ লীলাভূমি হাজার বছরের গৌরবময় অতীত ইতিহাস ঐতিহ্য সম্বলিত নয়না ভিরাম সোনার বাংলায় সম্ভবনাময় পর্য্যটন শিল্প তাঁর হাত দিয়ে সম্প্রসারিত হতে-এগিয়ে যেতে পারেনি-অথছ মানুষ হিসাবে রাশেদ খাঁন মেনন একজন শিক্ষিত সম্ভান্ত, স্বজন আধুনিক চিন্তা ধারার বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ। সভানেত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় ঢাকা শহরের একটি আসন থেকে সাংসদ হয়ে সংসদ সদস্য হিসাবে আহামরি কিছু করতে দেখাতে পারেন নি, উল্টো ঢাকার একটি অভিজাত বিদ্যালয়ে ভর্তি বানিজ্য সংক্রান্ত ব্যাপারে, পত্রিকায় সংবাদ এসেছিল। মিডিয়া ভূবনে সমালোচিত হয়েছিল-যা ছিল নিতান্তই অনাকাংখিত। অনভিপ্রেত। চৌদ্দ দলীয় জোটভূক্ত ছোট দলের আরেক বড় নেতা বহুধা বিভক্ত জাসদের এক খন্ডিতাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু আওয়ামী লীগের বিগত সরকারামলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণমন্ত্রী, তথ্য মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে পেশাদার ইঞ্জিনিয়ার মিঃ ইনু পারঙ্গঁমতা, পারদর্শিতার পরিচয় দিতে পারেন নি, আবুল তাবুল বক্তব্য ষোল আনা চারা আনা তথ্য ও তত্ব দিয়ে তথ্যমন্ত্রী হা,হ,ইনু সমালোচিত হয়েছেন। বিলেতে অপমানিত হয়েছেন।
উল্লেখিত তিন বাম আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মন্ত্রী সভায় স্থান পান নি। এতে তিন নেতাই কিঞ্চিত নাখোশ নারাজ। তাঁদের সাম্প্রতিক রাজনৈতকি বক্তব্যে দেশবাসী তাই মনে করেন। চৌদ্দ দলীয় জোটের বাম ঘরানার শরীক দল সমূহ জঙ্গীঁবাদ-মৌলবাদ-বিরোধী স্বাধীনতার স্বপক্ষের প্রগতিশীল গণতান্ত্রীক শক্তি দাবী করে আওয়ামী লীগের সঙ্গেঁ আন্দোলনে-সংগ্রামের সাথে সাথে সরকারেও শরিক থাকতে চান, অংশীদার হতে চান। জোটভূক্ত বাম শরীক সমূহ জোটকে শুধুমাত্র ভোটের জোট মনে করেন না, আদর্শিক জোট ভাবেন। অথছ প্রকৃত ও সত্যিকার অর্থে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি বলে কোন শক্তি থাকতে পারে না, কোন রাজনৈতিক দল- স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি হলে নির্বাচন কমিশন সেই দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি হলে, সাংঘটনিক তৎপরতা চালালে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষা কারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারেন। আদর্শ ও তত্বগত ভাবেও আওয়ামী লীগ ও বাম বিশেষতঃ চৈনিক বাম ঘরানার দল সমূহের সঙ্গেঁ ব্যাপক ফারাকও পার্থক্য বিদ্যমান। আওয়ামী লীগ শ্রেণীগত ভাবে মাল্টিক্লাশ পেটি বুর্জোয়া পার্টি মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দান কারী দেশের প্রাচীন দল। সর্বহারার মতবাদ মার্কস বাদ লেনিন বাদ এবং চীন বিপ্লবের মহানায়ক কমরেড মাও সেতুং এর সমর্থক, কমিউনিষ্ট পার্টি-ওয়াকার্স পার্টি-সাম্যবাদীদল সমূহ ক্লাশিক্যাল কমিউনিষ্ট পার্টি সমূহ আওয়ামী অর্থনীতির বিপরীতে মার্কসীয় অর্থনীতিও তত্বের সমর্থক। মার্কসীয় অর্থনীতির-মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-ই-তত্বের-রিলিজিয়ন ইজ এন অহিপেন-ধর্ম আফিং-এর মত- তত্বের সমর্থক নন আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ সরকার। বাঙ্গাঁলী জাতীয়তা বাদী আন্দোলনের আপোষহীন নেতা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কট্টর সমালোচক ছিলেন কতেক মুখ চেনা বাম নেতা। বঙ্গবন্ধু, বাঙ্গাঁলির মুক্তি সনদ ঐতিহাসিক ছয়-দফা কর্মসূচী ঘোষনা করলে পাকিস্তানের প্রাষাদ ষড়যন্ত্রী প্রতিক্রিয়াশীল শাসক গোষ্টীর টনক নড়ে, বাংলা ও বাঙ্গাঁলির মধ্যে নবজাগরন সৃষ্টি হয়, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ ছয়দফার প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ইতিপূর্বে ১৯৬২ সালে ছাত্র লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা, রাষ্ট্র ও সমাজ চিন্তক সিরাজুল আলম খাঁন তার দুই জন সহযোগী ছাত্রনেতা আব্দুর রাজ্জাক এবং ছাত্র নেতা কাজি আরিফ আহমদকে নিয়ে স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠার গোপন সংঘটন “নিউক্লিয়াস” গঠন করেছিলেন। সে সময় কতেক ভ্রষ্ট বাম বাঙ্গাঁলির মুক্তি সনদ ছয় দফাকে বিচ্ছিন্নতা বাদের দলিল এবং বঙ্গঁবন্ধুকে সি.আই.এ- এর দালাল বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। একাত্তোরের মহানমুক্তি যুদ্ধের সময় সমগ্র জাতি যেখানে একতাবদ্ধ হয়ে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছেন, মরণপন লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়েছেন
সেখানে তখন চীনও মাও পহ্ণী রাশেদ খাঁন মেনন সাহেবরা- লাল বই- ঘাটা ঘাটি করে, মার্কসীয় থিওরিতাত্বিক পর্য্যালোচনা করে মহান মুক্তিযুদ্ধ-কে বুর্জোয়াদের যুদ্ধ এবং দুই বুর্জোয়া শক্তিকে শিয়াল-কুকুরের লড়াই বলে মুক্তি যুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন। সমাজতন্ত্র বাদের প্রবক্তা দার্শনিক কার্লমার্কস-বুর্জোয় গণতন্ত্রে, সংসদকে সোয়ড়ের খোয়াড় বলেছেন, স্বাধীনতা উত্তর কালে একজন নব্য বাম সংসদকে সোয়াড়ের খোয়াড়-বলে সমালোচিত হয়ে ছিলেন।
আওয়ামী লীগ প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারে আলোচিত বাম সাহেবান স্থান পান নি। এসব ছোট দলের বড় নেতারা দলগত ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে সরকার গঠন দূরের কথা সাংসদ হওয়াই মুশকিল। চৌদ্দ দলের শরীক হিসাবে নৌকার সওয়ার হয়ে নির্বাচনী বৈতরনী পার এবং আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার দয়া ও উদারতায় মন্ত্রী সভায় স্থান পেলেও কাজের কাজ কিছুই করেন নি। ফলতঃ বর্তমান মন্ত্রীসভায় তাদের ঠাঁই হয় নি। সংসদীয় গনতন্ত্র ও সংসদীয় পদ্ধতির সরকারে সংসদ নেতা তাঁর পছন্দ ও মর্জি মাফিক একটি মন্ত্রীসভা গঠন করেন, পরবর্তীকালে পূণর্গঠন-প্লাশ-মায়নাস হতে পারে, তাও সংসদ নেতার মর্জি মাফিক হয়, এখানে জোট কিংবা দলের সভা ডাকা, সম্ভাব্য মাননীয় মন্ত্রীদের তালিকা তৈরী করা সংসদীয় সংস্কৃতিতে নেই। মন্ত্রীসভায় স্থান না পাওয়া জোট ভূক্ত ছোট দলের বড় নেতারা নাখোস-নারাজ থাকতেই পারেন কিন্তু লাগামহীন অনাকাংখিত বক্তব্য দিতে পারেন না, অনুচিত। রাশেদ খাঁন মেনন এর মত প্রবীন রাজনীতিবিদ এর পক্ষে তা মানান সই নয়। মন্ত্রীত্বের প্রতি, ক্ষমতার প্রতি তার অহেতুক লোভ থাকার কথা নয়। তিনি একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষিত, সম্ভান্ত, উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান তাঁর পরিবারে সচিব, সাংসদ, মন্ত্রী, স্পীকার, প্রেসিডেন্ট পর্য্যন্ত পেয়েছেন সেখানে মন্ত্রীত্ব তাঁর জন্য আহামরি-বাহাদুরী কিছুই নয়। শতকরা সামান্য ভাগ জনগনের সমর্থন পুষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের সভাপতি হয়ে সাংসদ হয়েছেন, মন্ত্রীও হয়েছিলেন-আর কি চাই!
বর্তমান সংসদের নির্বাচন পদ্ধতি অগ্রহণযোগ্য তাও প্রশ্নবিদ্ধ হলেও এই সংসদ নিষ্প্রান হলেও সংসদের শৈশব কালে- এখনও অকার্য্যকর হয়নি। এখনও সংসদীয় কমিটি সমূহ গঠিত হচ্ছে। বি.এন.পি গণফোরামের সাংসদগণ সংসদীয় কমিটিতে সদস্য হচ্ছেন-বিধায় এই সংসদকে এখনই গরীবুল্লা বলা যায় না, তাছাড়া বলনে ওয়ালা, মাননীয় সাংসদগণকে বকা উল্লা বল্লেও সংসদে উপস্থিত মাননীয় সাংসদ-মন্ত্রীবর্গকে ঢালাও ভাবে শুনা উল্লাহ বলা চলে না, বলা উচিত নয়, কারণ উপস্থিত সংশ্লিষ্টগণ একজন মাননীয় সাংসদের বক্তব্য দাবী নামা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। বে-আইনী অসংসদীয় হলে-এক্স পাঞ্জের দাবী জানানো হয়। তাছাড়া বর্তমান সংসদ ও সরকার এর উপর ক্ষোভ প্রকাশ ও ঝাড়ার নৈতি অধিকার নেই মাননীয় সাংসদ মেনন সাহেবের। কারণ চৌদ্দ দলীয় জোটের শরীক দল হিসাবে সংসদ ও সরকারের ভালো মন্দের সঙ্গেঁ তিনিও জড়িত। গাছের নীচের টা খাওয়া হারাম না হলেও অনৈতিক। নীতি কথা ও নৈতিকতা বোধ সম্পন্ন প্রাজ্ঞ ও প্রবীন রাজনীতিবিদ রাশেদ খাঁন মেননের নিকট থেকে জাতি অন্যায্য ও অনৈতিক কথাও কাজ আশা করেন না।
গ্যেস-এর মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গঁ দেশব্যাপী তোলপাড় চলছে। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করছে দেশ ও জাতি। জুলাইর প্রথমভাগে জাতীয় সংসদে আলোচনার জন্য ৬৮ বিধিতে নোটিশ দিয়েছিলেন সাংসদ রাশেদ খাঁন মেনন। সরকারি সাড়া না পেয়ে সংসদে পয়েন্ট অব ওর্ডারে কিঞ্চিত ক্ষোভ ঝাড়লেন সাংসদ রাশেদ খাঁন মেনন, বল্লেন বকা উল্লারা বকে যান শুনা উল্লাগণ শুনে যান, সাংসদ মেনন বল্লেন- সংসদ গরীবুল্লা হয়ে যাবে। পরদিন পত্র পত্রিকায় এই নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সাংসদ রাশেদ খাঁন মেননের এমন অনাকাংখিত বক্তব্য ও সংসদীয় সংস্কৃতি ও রীতিনীতি নিয়ে গবেষনা মূলক পর্য্যালোচনা করতে পারেন, মূল্যবান কলাম লিখতে পারেন বিশিষ্ট সাংবাদিকদ্বয় আবু সাঈদ খাঁন এবং সোহরাব হাসান, বিশিষ্ট রাজনৈতিক লেখক গবেষক মহী উদ্দিন আহমদ প্রমুখ, ইতিমধ্যে তাদের কাছ থেকে মূল্যবান নিবন্ধ জাতি পেয়ে গেছেন।
প্রসঙ্গঁত উল্লেখ যোগ্য, প্রসঙ্গঁটি ছিল-গ্যাস-এর মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত। গ্যাস এর মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে ৩২.৮ শতাংশ। সংসদনেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং যেখানে বলে দিয়েছেন গ্যেস এর মূল ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা উচিত ছিল সেখানে না ঘরকা না ঘাটকা জাতীয় সাংসদ রাশেদ খাঁন মেনন এর মূল্যবান ভাষনের মূল্য কতটুকু। সিপিবি বাসদের নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রীক জোট গ্যাস এর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে একটি হালকা হরতাল জাতিকে দিয়েছেন, দেখিয়েছেন, রাশেদ খাঁন মেনন এরে মত চৌদ্দ দলপহ্ণী বাম প্রগতিশীল গণ দেশ ও জাতিকে আর কি দিতে পারেন। সংসদের ভিতরে বাহিরে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান ও সাংঘটনিক শক্তি নেই। আছে কি? মূলত: বিশ্ব ব্যাপীই এখন বামদের রমরমা ভাবনেই দূর্দিন যাচ্ছে। রাশিয়ান নেতা ও শাসক মিখাইল গর্বাচেভ এর পেরে স্ত্রয়েকা ও গ্লাশ নসত নীতির কারনে রাম-ভদকার গ্লাশ বিনষ্ট হল-তাস খন্দ-এর তখতে-তাউস তাসের ঘরের মত হাওয়ায় উড়ে গেল-গনতন্ত্রে উদার হাওয়ায় অপমৃত্যো হল-ইনিয়ন অব সোভিভেট সোসিয়েলিষ্ট রিপাবলিক ইউ.এস.এস-আর-এর। সোভিয়েত ইউনিয়ন-সোভিয়েট রাশিয়া এখন শুধুই রাশিয়া। রুশ বিপ্লবের মহানায়ক কমরেড ভøাদিমির ইলিছ লেনিন এখন স্মৃতির গভীরে গবেষনার টেবিলে। গণতন্ত্র ও পরিবর্তনের উদার হাওয়া লেগেছে কমরেড মাও সেতুং এর গণ চীনেও। চীনা ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতেও এখন পরিবর্তনের হাওয়া। সসস্ত্র চায়নিজ রিভলিউশন এর মহানায়ক চেয়ারম্যান মাও সেতুং এর গলাবন্দ কলারওয়ালা কোর্ট-চায়নিজ কোর্ট ছিল চীনাদের জাতীয় পোষাক। আধুনিক চীনের খোদ চীনা প্রেসিডেন্টই মাও কোট নয় বৃটিশ ষ্টাইলে ইংলিশ স্যুট পরিধান করেন। বামদের পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে আমাদের নিকট প্রতিবেশি মুক্তিযুদ্ধের প্রিয়মিত্র ভারত বর্ষেও। ভারতের বিগত জাতীয় নির্বাচনে মোদি ম্যেজিক এবং হিন্দুত্ববাদি জোয়ারে বাম প্রগতিশীলগণ খড় কুটার মত ভেসে গেছেন।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এবং বিশ্বব্যাপী বাম বিপর্য্যয়ে নামী-জ্ঞানী বাম বিশেষজ্ঞদের ভাস্য হল-এসব সমাজ তন্ত্রের চূড়ান্ত পতন নয়, সাময়ীক বিপর্য্যয় মাত্র। হলেও হতে পারে, আবার নাও হতে পারে সেটা রাজনৈতিক তাত্বিক-গবেষক-বিশ্লেষসকদের কাজ- আমাদের নয়, সে যোগ্যতা ক্ষমতাও আমাদের নাই, অদ্যকার আলোচ্য বিষয়ও তা নয়, এসব প্রাসঙ্গিঁক পর্য্যালোচনা মাত্র। বক্তৃতা একটি আর্ট-মহান শিল্প। এটি একটি মহৎ গুণ। সফল বক্তা সফল নেতা নাও হতে পারেন, আবার সফল নেতা ভালো বক্তা নাও হতে পারেন। বাংলাদেশে-এই উপমহাদেশে ভূরিভূরি উদাহরণ বিদ্যমান। ছোট দলের বড় নেতা রাশেদ খাঁন মেনন একজন ভালো বক্তাই বলা চলে। তাঁর মত উচ্চ শিক্ষিত জ্ঞানী-গুণী রাজনীতিবিদ বক্তৃতার আর্ট-হিউমার-সবই জানেন। জাতীয় সংসদের মত জাতির সর্বোচ্চ আইন প্রনয়ন কারি প্রতিষ্ঠানে-উল্লাহ-নিয়ে হালকা পরিহাস করা ঠিক নয়, এতিদিন শুনা গিয়েছিল বকা উল্লা, শুনা উল্লা, এবার সংযোজন হল গরীবুল্লাহ।
সর্বোপরি উপসংহারে সবশেষে বলা চলে- উল্লাহ প্রসঙ্গেঁ হালকা পরিহাস পরিহার করা উচিত নয়। শুধু ইসলাম ধর্মীবলম্বীগণ নহেন শিক্ষিত-স্বজন মাত্রই জানেন আল্লাহর নবী ইব্রাহিম (আঃ) খলিল উল্লাহ, ইসমাইল (আঃ) জবিউল্লাহ এবং মুসা নবী মুসা কলিমুল্লাহ নামে অভিহিত-খ্যাত ও পরিচিত। আমাদের নবী মোহাম্মদ মোস্তফা (দ:) রাসুল আল্লা। আল্লাহ, নবী, রাসুল ছাড়াও দুনিয়া দারিতে, সাম্প্রতিক কালেও উল্লাহ পদবী ধারী একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন। বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ছিলেন মোহাম্মদ উল্লা, দেশের খ্যাতিমান কবিও জাদরেল আমলা ছিলেন এজেড এম ওবায়দুল্লা এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক কুটনীতিবিদ ছিলেন এনায়েত উল্লাহ। শেষোক্ত দুই উল্লাহ, সংসদে উল্লাহ তত্বের প্রবক্তা কমরেড রাশেদ খাঁন মেনন এর সহোদর।
প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের একটি লিখিত সংবিধান আছে। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে বঙ্গঁবন্ধুর সরকারামলে, সংবিধান প্রনেতা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনবিদ ডক্টর কামাল হোসেন সংবিধান পেশ করলে সাংবিধানিক আলোচনায় সংসদ নেতা বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন- এ দেশের জনগন তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, সংবিধান হবে তাঁদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মহান দলিল। সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের বাহাত্তোরের সংবিধান একটি চমৎকার মানবিক দলিল। এই সংবিধানে গনতন্ত্র, আইনের শাসন, ব্যক্তি, বাক স্বাধীনতা লিপিবদ্ধ, মানবাধিকার সংরক্ষিত। দেশে একটি সাংবিধানিক সংসদীয় পদ্ধতির সরকার বিদ্যমান।
সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চৌদ্দ দলীয় শরীক দলসমূহকে মন্ত্রী সভায় শরীক করেন নাই, সংসদে সাংসদ হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন। প্রবীন রাজনীতিবিদ রাশেদ খাঁন মেনন সাংসদ হিসাবে সংসদকে প্রাণবন্ত করে তুলতে সংসদীয় কমিটি গুলিকে কার্য্যকর এবং সংসদীয় সংস্কৃতি শিষ্টাচার চালুর পক্ষে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে পারেন। একজন সংসদ সদস্য হিসাবে তাই তাঁর দায়িত্ব। দেশ ও জাতি আশা করেন কমরেড রাশেদ খাঁন মেনন এর মত প্রবীন রাজনীতিবিদ সে গুরু দায়িত্ব পালনে পিছপা হবেন না,
সংসদে হালকা, চটুল কথা বার্তা বাক বিতন্ডা নয়, সত্যিকার অর্থে একটি কার্য্যকর সংসদ, নিষ্প্রান, নয় একটি প্রানবন্ত জাতীয় সংসদ উপহার দেবেন বিদ্যমান জাতীয় সংকট ও সমস্যা নিরসনে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। কমরেড রাশেদ খাঁন মেনন আপনাকে সালাম।
(ষাটের দশকের সাংবাদিক। মুক্তিযোদ্ধা। আইনজীবী-হাইকোর্ট। সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব।)
মন্তব্য করুন