ওয়েলস যুবলীগের উদ্যেগে বঙ্গবন্ধুর ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত
নাজমুল সুমন॥ বৃটেনের কার্ডিফ শহরে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে ১৫ আগষ্ট রাত ১১ ঘটিকায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগ ওয়েলস শাখার পক্ষ থেকে কার্ডিফের মায়া রেষ্টুরেন্েেট ওয়েলস যুবলীগ সভাপতি ভিপি সেলিম আহমদ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মফিকুল ইসলাম এর পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে.। এতে ওয়েলস আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল ইসলাম নজরুল. যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য জাস্টিস ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১ ইন ইউকের সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর. ওয়েলস যুবলীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল উদ্দিন শিবুল. ওয়েলস আওয়ামী লীগের ট্রেজারার মোহাম্মদ লিলু মিয়া. মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সাবেক নেতা আব্দুল ওয়াহিদ বাবুল. ইউকে ওয়েলস যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম মুমিন. ওয়েলস যুবলীগের সহ সভাপতি রকিবুর রহমান. যুক্তরাজ্য যুবলীগের সদস্য ও ওয়েলস যুবলীগের সহ সাধারন সম্পাদক এবি রুনেল. নিউপোট যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ফখরুল ইসলাম. সাংগঠনিক সম্পাদক সিতাব আলি কাজী মোহাম্মদ জাংগীর.আজাদ মিয়া.আহমেদ রহমান ও মৌলা মিয়া.শামীম আহমদ মাসুম ইসলাম সহ ওয়েলস আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ সেচ্ছাসেবক লীগ স্রমিক লীগ কৃষকলীগ তাতীলীগ সহ কমিউনিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তারা বলেন ১৫ই আগস্ট মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকান্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূর একটি শোকের দিন।
১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেদিন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকান্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী মহিয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভ্রাতা শেখ আবু নাসের, জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেনেন্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির জনকের ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হন বলে উল্লেখ করে শোকাবহ এই দিনে,বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরন করে ১৫ই আগস্ট এর হত্যাকা-ের দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের বিদেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে ফাসির রায় কার্যকর করার জোর দাবী জানানো সহ বক্তারা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এ বাঙালি শুধু একজন মানুষই নন, একটি চেতনা, একটি অধ্যায়। তিনি এ দেশের গণমানুষের মুক্তির উপলক্ষ, এ জনপদের বহুদিনের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতার রূপকার। তাঁর হাত ধরেই লাল-সবুজের একটি স্বাধীন পতাকার অধিকার পায় এ বঙ্গভূমি। পাকিস্তানি শাসক-শোষকদের কূটকৌশল ছিন্ন করে তাঁর দূরদর্শী রাজনীতি ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের বলেই ১৯৭১ সালে বিশ্বের মানচিত্রে অংকিত হয় আমাদের এই প্রাণের বাংলাদেশ। আজ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে এই হোক জাতাীয় শোক দিবসে আমাদের দীপ্ত শপথ বলে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন।
মন্তব্য করুন