কমলগঞ্জের এম.এ.ওহাব উচ্চ বিদ্যালয়ে চলন্ত ফ্যান ছিটকে পড়ে ৩ শিক্ষার্থী আহত ॥ প্রধান শিক্ষকের বহিস্কার দাবীতে অফিস ঘেরাও
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের এম.এ. ওহাব উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে চলন্ত ফ্যান ছিটকে পড়ে ৩ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতরা কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ৮ আগষ্ট সোমবার বেলা ২ টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির সমাজ বিজ্ঞানের ক্লাস চলাকালে এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় প্রধান শিক্ষকের অদক্ষতাকে দায়ী করে তাকে বহিস্কার ও অফিস কক্ষে প্রবেশে বাধা দিয়েছে স্থানীয় জনতাসহ এলাকাবাসী।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, ৮ম শ্রেনীর সমাজবিজ্ঞানের ক্লাস চলাকালে ৮ আগষ্ট সোমবার বেলা ২ টার দিকে হঠাৎ করে চলন্ত ফ্যান উপর থেকে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার মাসুম, মামুন মিয়া ও শাহরিয়ার মাসুদ এর মাথায় পড়ে। এতে ফ্যানের পাখা লেগে শিক্ষার্থীরা মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। দ্রুত আহত তিনজনকে নইনারপার বাজারের একটি ফার্মেসীতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাদেরকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে শাহরিয়ার মাসুম এর আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ কুদরত এর ব্যর্থতাকে দায়ী করে তাকে অফিস কক্ষে প্রবেশে বাধা ও বহিস্কার দাবী করে ৯ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে প্রায় অর্ধশতাধিক অভিবাবক ও স্থানীয় মানুষ প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। খবর পেয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু তৈয়ব কালাম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বশির বক্সসহ কমিটির অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। উপস্থিত জনতা কমিটির নিকট প্রধান শিক্ষকের বহিস্কার দাবী করেন। এ নিয়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে কমিটির সভাপতি আগামী রবিবারের মধ্যে বিষয়টির সুন্দর সমাধান হবে বলে অভিবাবকদের আশ্বস্থ্য করলে অভিবাবকরা তা প্রত্যাহার করে রবিবারের আগ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক যেন বিদ্যালয়ে না আসেন সেই দাবী জানান। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য বশির বক্স এর মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আলাপকালে অভিবাবক ইকবাল হোসেন, জুয়েল আহমেদ, হাবিবুর রহমান, বুরহান উদ্দিন, আবুল খায়ের অশ্রু জানান, প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা প্রায় সময় ক্লাস পাকি দেন। প্রধান শিক্ষক দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। ইচ্ছামতো তিনি বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করেন। বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় প্রধান শিক্ষকের যথেষ্ট গাফিলতি রয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু তৈয়ব কালাম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বশির বক্স ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সভাপতি জানান, আহতদের চিকিৎসার দ্বায় স্কুল বহন করবে। স্থানীয় অনেকেই বলেন, প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ কুদরত কিছুটা পাগল প্রকৃতির। তার কথাবার্তার ধরনে মনে হয় তিনি প্রধান শিক্ষকের যোগ্য নয়। তাই দ্রুত তাকে বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করতে হবে। প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ ফ্যান পড়ে ৩ ছাত্র আহত হওয়ার বিষয় শিকার করলেও তাকে অফিসে প্রবেশে বাধার বিষয়টি অশিকার করে বলেন, প্রাক্তন কিছু ছাত্র এসে বিষয়টি কিভাবে ঘটেছে তা নিয়ে কথা বলেছে।
মন্তব্য করুন