কমলগঞ্জের মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় শ্রেণি কক্ষের অভাবে বিদ্যালয়ের বারান্দায় চলছে পাঠদান
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি নানা সদস্যায় জর্জরিত। এই বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের তীব্র সংকট। নেই প্রয়োজনীয় বেঞ্চ। তাই বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের বারান্দায় পাঠদান দেয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়টির ধারণক্ষমতা ৭ শত হলে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২৯৯ জন। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি থাকায় পাঠদানে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। অনেক সময় ক্লাসে গাদাগাদির করে বসার কারনে অসুস্থ্যও হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, মাধবপুর বিদ্যালয়ে ১২টি শ্রেনি কক্ষ রয়েছে। শ্রেনি কক্ষগুলো আয়তনে ছোট। শিক্ষার্থীর চেয়ে ডে´ ও বেঞ্চ কম থাকায় দাঁড়িয়ে ক্লাস করছেন। ৬ ষ্ট, সপ্তম,অষ্টম ও দশম শ্রেণির কক্ষে ডেস্ক ও বেঞ্চ এর চেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকায় প্রতিদিন শ্রেনি কক্ষের বারান্দায় বেঞ্চে বসে পাঠ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। একবার ক্লাসে ভিতরে আরেকবার বারান্দায় আসা-যাওয়ার মধ্য দিয়ে পাঠ দিচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। শিক্ষক পরিমল সিংহ ও রমা রানী রায় জানান, বসার জায়গা না থাকায় বারান্দায় ৭ম, ৮ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ দেয়া হচ্ছে। আর শ্রেণিকক্ষেও গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী অভিষেক সিংহ বলেন, ক্লাসে বসার জায়গা হয় না। এছাড়া আমাদের স্কুলটির পাশেই দিয়ে সড়ক চলে যাওয়ায় সারাদিন গাড়ি চলাচলের প্রচন্ড শব্দ। এ কারনে মধ্যে পড়াশুনায় আর খেয়াল বসে না। মনোযোগ ধরে রাখা যায় না। একটি কক্ষে ৭০জনের মতো জায়গা হলেও প্রতিটি শ্রেনিতে শিক্ষার্থী রয়েছেন ২০০/৪০০জন। এতে করে পাঠদান করাতে হিমশিম শিক্ষকরা। একটি বেঞ্চে নিয়মমতো ৩জন হলেও এ বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণি কক্ষে বেঞ্চে বসতে হয় ৭জন শিক্ষার্থী। গাদাগাদিতে অনেকেই অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিন বলেন, খোলা বারান্দায় এভাবে পাঠ দিলে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়। অনেক সময় শিক্ষকদেরও একাগ্রতা নষ্ট হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান বলেন, ‘প্রতিদিন এক হাজারের ও বেশি ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয়ে আসে। সব মিলিয়ে ১২টি কক্ষে আমরা তাদের বসার জায়গা করে দিতে পারি না।’ শ্রেনি কক্ষেও সংকটে আমরা অসহায়। নতুন ভবন করা হলেও কোন আসবাবপত্র দেয়া হয়নি। এতে আরো সমস্যা হচ্ছে। জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে বাঁশের তৈরি একটি ঘরে বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম শুর” হয়। ২টি দ্বিতল ভবন ও একটি টিনশেডের সেমিপাকা ঘর রয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক আছেন ৯ জন, খন্ডকালীন শিক্ষক আরও ৪ জন।
মন্তব্য করুন