কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া ও মাগুড়ছড়া থেকে দুই খাসিয়া পুঞ্জি স্থানান্তার বিষয়ে খাসিয়া সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া

December 1, 2016,

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বনজ সম্পদ রক্ষার অজুহাতে এ ভেতরে সুদীর্ঘকাল থেকে লাউয়াছড়া ও মাগুরছড়ায় বসবাসকারী আদিবাসী দুই খাসিয়া পুঞ্জির লোকজনকে স্থানান্তরে বন বিভাগের পরিকল্পনা বিষয়ে দুটি পুঞ্জির খাসিয়ার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। খাসিয়া পুঞ্জি স্থানান্তরের খবরে লাউয়াছড়া ও মাগুরছড়ার খাসিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়ে
১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার গণ মাধ্যম প্রতিনিধিদের কাছে দুটি পুঞ্জির হেডম্যান লিখিত প্রেস বিবৃতি পাঠিয়েছেন।লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় সড়ক ও উদ্যানের ভিতরের দুটি খাসিয়া পুঞ্জি স্থানান্তর নিয়ে বন বিভাগের প্রস্তাবনার উপর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়। তাছাড়া ২১ নভেম্বর শ্রীমঙ্গলে একটি হোটেলে আয়োজিত বন উজাড় ও বন অবক্ষয়ের কারণ অনুসন্ধান বিষয়ক দিনব্যাপী এক পরামর্শ কর্মশালায় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বক্তব্যে এ কথা উঠে আসে। সে কর্মশালায় মুড়ইছড়া পুঞ্জির খাসিয়া নারী হেডম্যান বাবলী তালং ও মাগুরছড়ার হেডম্যান জিডিসন প্রধান সুচিয়াং তাদের বক্তব্যে এর প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন।
১ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির হেডম্যান জিডিসন প্রধান সুচিয়াং ও লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির হেডম্যান ফিলা পত্মী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে বন বিভাগের এক তরফা চিন্তা ভাবনার তীব্র সমালোচনা করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের খবর শুনে তারা বিস্মিত। খাসিয়াদের কোন প্রতিনিধি এর খবরই জানেন না। বন বিভাগ থেকেও তাদের সাথে কথা বলা হয়নি। এ ধরনের কোন প্রস্তাব, পরিকল্পনা বা উদ্যোগ খাসিয়ারনা কখনও মেনে নিবে না। নিজেদের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও তাদের ঐতিহ্যগত ভূমি যেখানে তাদের পূর্ব পুরুষদের কবরসহ ধর্মীয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পবিত্র স্থান রয়েছে তার এক ইঞ্চিও ছাড়া দিবে না। বন পরিবেশ ও প্রাণ বৈচিত্রের প্রকৃতি সংরক্ষক খাসিয়াদের বিরুদ্ধে হীন একটি উদ্দেশ্য বলে খাসিয়ারা মনে করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যেখানে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মূল্যবান গাছ গাছালি উজাড় হচ্ছে তা বন বিভাগ রক্ষা করতে পারছে না এমনকি রক্ষার চেষ্টাও করছে বলে মনে হয়না, সেখানে খাসিয়া পুঞ্জি এলাকার গাছ খাসিয়ারা রক্ষা করছে। এখন বন বিভাগের কতেক কর্মকর্তা একেবারে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়েই খাসিয়াদের উচ্ছেদের পরিকল্পনার প্রস্তাবনা করছেন। যাতে এসব এলাকার গাছও সহজে চুরি হয়ে যায়।
মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির হেডম্যান জিডিসন প্রধান সুচিয়াং ও লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির হেডম্যান ফিলা পত্মী প্রেরিত প্রেস বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রয়োজনে আগামীতে তারা সাংগঠনিক আন্দোলন করবেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com