কমলগঞ্জের শমশেরনগরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে জীবিত ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় স্থানীয় ব্রাদার্স পার্টি সেন্টারে শমশেরনগর প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন কমিটি, ঢাকার উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মুমিন তরফদারের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাংসদ সৈয়দা সায়রা মহসিন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান (বাবুল), বিএমই সিলেটের সভাপতি অধ্যাপক ডা: রুকন উদ্দীন আহমদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন কমিটি, ঢাকার সমন্বয়ক মুক্তিযোদ্ধা খালেকুর রহমান, শহীদ পরিবারের সন্তান ও শমশেরনগর প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ সভাপতি আব্দুল মছব্বির, মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, শমশেরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মহরম আলী ও মুক্তিযোদ্ধা মাসুক মিয়া।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকাল তিনটায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে শমশেরনগর ব্রাদার্স পার্টি সেন্টারে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রধান করার কথা ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল শমশেরনগরে ইরানী তোরণ উদ্বোধন করে প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের উদ্বোধনী ঘোষণা ও পিঠা মেলা অনুষ্ঠান থেকে ফিরতে বিলম্ব হয়। ফলে তিনি সন্ধ্যায় ব্রাদার্স পার্টি সেন্টারে এসে আয়োজকদের সাথে কুশল বিনিময় করে মানপত্র সম্মাননা ক্রেষ্ট গ্রহন করে প্রতীকি হিসাবে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করে বাকী অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাংসদ সৈয়দা সায়রা মহসিনকে দায়িত্ব দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিরে যান। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সবরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিকালে অন্য দুটি অনুষ্ঠানে সময় ব্যয় হয় বেশী। আর রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে বলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার পুরো অনুষ্ঠানে তিনি থাকতে পারছেন না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অবর্তমানে প্রধান অতিথি হিসাবে সাংসদ সৈয়দা সায়রা মহসিন বলেন, তাঁর প্রয়াত স্বামী সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ছিলেন এ অঞ্চলের মাটি ও মানুষের বন্ধু। তাই এ এলাকার জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে তিনি নিজেকে গর্বিত মনে করছেন। তিনি আরও বলেন, আগামীতে সুবিধা জনক সময়ে এ এলাকায় বৃহৎ আকারে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করে জীবিত ও মরহুম মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করবেন।
মন্তব্য করুন