কমলগঞ্জের শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্ণীতি ও অনিয়মের উপর দুদকের তদন্ত শুরু
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে কোন প্রকার কাজ না করে ভূয়া প্রকল্প উপস্থাপন করে এমনকি একটি কাজকে একাধিকবার দেখিয়ে ব্যাংক থেকে সরকারী টাকা উত্তোলন করা হয়। এ ধরনের নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৪নং শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদের উপর। শমশেরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর ১৫ জুন বুধবার দুর্ণীতি দমন ট্রাইব্যুনাল মৌলভীবাজারে একটি পিটিশন মামলা (নং ৯/২০১৬) দায়ের করেছিলেন। তদন্তক্রমে প্রতিবেদন জমা দানে দুদক হবিগঞ্জের সমন্বয়ককে আদালত নির্দেশনা দিলে দুদুকের সহকারী পরিচালক ফখর”ল ইসলামের নেতৃত্বে ২২ আগষ্ট সোমবার থেকে সরেজমিন তদন্ত শুরু করেছে।
দুদুক হবিগঞ্জ অঞ্চল থেকে অভিযোগকারীর কাছে প্রেরিত পত্রে জানা যায়, সোমবার শমশেরনগর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে তদন্ত হয়। গতকাল মঙ্গলবার ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে তদন্ত শুর” হয়েছে। বুধবার ২৪ আগষ্ট ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে তদন্ত হবে। দুদক হবিগঞ্জ অঞ্চলের সহকারী পরিচালক ফখর”ল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে অভিযোগকারী আব্দুল গফুর, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ও উপজেলা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মামুনুর রশীদকে তিন দিনের তদন্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেও বলা হয়েছে।
অভিযোগকারী আব্দুল গফুর বলেন, ২২ আগষ্টের সোমবার প্রথম দিনের তদন্তকালে তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন। দুই মাস আগে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকালে নির্বাচনের দুই দিন পূর্বে ২৬ মে চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ আচরণ বিধি লঙ্গন করে সোনালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখা থেকে বিশেষ কর্ম সৃজন প্রকল্প থেকে চেকের মাধ্যমে চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ অর্থ উত্তোলণ করেছেন। যাহা সম্পূর্ণর”পে অবৈধ। প্রথম দিনের তদন্তে অনেক কাজে ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়লেও তদন্ত দেখে তাঁর (গফুরের) আশঙ্কা যে, কোন প্রভাবের কারণে সঠিকভাবে তদন্ত হচ্ছে না। তদন্তের নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগকারীকে প্রতিদিনের তদন্তকালে সড়ক উন্নয়ন কাজের পরিমাপের ফটোষ্ট্যাট এক সেট কাগজপত্র দেওয়ার কথা। তদন্তকারী কর্মকর্তা সে বিধি মানছেন না বলেই তিনি (আব্দুল গফুর) মঙ্গলবারের দ্বিতীয় দিনের তদন্তকালে সরেজমিন যাননি। এ দিকে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আসাদুজ্জমান ও এলজিইডি সহকারী প্রকৌশলী মামুনুর রশীদ শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদের বিভিন্ন কাজের উপর দুদক সরেজমিন তদন্ত করছেবলে নিশ্চিত করেন। তারা আরও জানান, তদন্তকালে তাদের স্বাক্ষ্যও গ্রহন করা হয়।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ তদন্তের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি এ জন্য ভীত নন। তিনি আরও বলেন, কোন অনিয়ম দূর্ণীতি করেননি বলে তদন্তে তাঁর কিছু হবে না। তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো: ফখর”ল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন তদন্ত চলছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এখন এর চেয়ে বেশী কিছু বলা যাবে না বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন