কমলগঞ্জে এক মাসে ১১টি ট্রান্সফরমার চুরি ॥ ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ গ্রাহক
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ট্রান্সফরমার চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে।
২ এপ্রিল রোববার দিবাগত রাতে ৩টি ট্রান্সফরমার সহ গত এক মাসে উপজেলার কয়েকটি স্থান থেকে ১১টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। ফলে অন্ধকারে রয়েছে দু’টি গ্রাম। নতুনভাবে টাকা দিয়ে ট্রান্সফরমার কিনতে গিয়ে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অভিযোগ করেছেন।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিস ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার দিবাগত রাতে মুন্সীবাজার ইউনিয়নের নারায়নক্ষেত্র গ্রাম থেকে ১টি, রামচন্দ্রপুর থেকে ২টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এছাড়া এক মাসের ভিতরে বিভিন্ন সময়ে উপজেলার ফাজিলপুর গ্রাম থেকে ৩টি, নইনারপার এলাকা থেকে ৫টি সহ সর্বমোট ১১টি ট্রান্সফরমার চুরি ঘটনা ঘটেছে। এসব ট্রান্সফরমার চুরির নতুন করে না লাগানো পর্যন্ত গ্রামবাসীদের অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে। তাছাড়া টাকা দিয়ে নতুনভাবে ট্রান্সফরমার কিনতে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা ক্ষতির স্বীকার হচ্ছেন।
নারায়নক্ষেত্র গ্রামের মো. শাহজাহান আহমদ, জসিম মিয়া সহ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বলেন, একটি সিন্ডিকেট ট্রান্সফরমার চুর চক্র একই রাতে দুটি গ্রাম থেকে ৩টি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়। ফলে পোল্ট্রি খামারসহ প্রায় দেড়শ পরিবার অন্ধকারে রয়েছে। তারা আরও বলেন, টাকা দিয়ে নতুনভাবে ট্রান্সফরমার কিনে লাগাতে গরিব গ্রাহকদের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন, ট্রান্সফরমার সিন্ডিকেট চক্রের সাথে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় অসাধু চক্রও যুক্ত রয়েছে। যে কারনে তারা দক্ষতার সহিত দ্রুত সময়ে ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়। এসব বিষয়ে প্রশাসনিকভাবেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় না।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের প্রকৌশলী বিদ্যুৎ রায় এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১টি ট্রান্সফরমার চুরির সত্যতা নিশ্চিত করেন। কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোবারক হোসেন বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির ফলে অধীনস্থ গ্রাহকরা প্রথম দফায় অর্ধেক টাকা এবং দ্বিতীয় বার চুরি হলে পুরো টাকা পরিশোধ করে ট্রান্সফরমার কিনে নিতে হয়। প্রতিটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয় বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন