কমলগঞ্জে চা বাগান চিকিৎসকের বাসায় ডাকাতিকালে গণ পিটুনিতে এক ডাকাত আহত
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানের এক চিকিৎসকের বাসা ও চা বাগান কোম্পানী বাংলোয় ২০ জানুয়ারী শুক্রবার গভীর রাতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। স্বর্ণলংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুটে নেয় ডাকাতদল। ডাকাতি করে পালানোর সময় চা শ্রমিকদের পিটুনিতে এক ডাকাত সদস্য আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।
শমশেরনগর চা বাগান ও শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটায় নয় সদস্যের সশস্ত্র ডাকাতদল প্রথমে চা বাগান এলাকার ভিতরে ডানকান ব্রাদার্স কোম্পানী বাংলো লংলা হাউজে প্রবেশ করে গ্রুফ ফোরসহ চা বাগান পাহারাদার মিলিয়ে ৬ জনকে বেঁধে ফেলে। কোম্পানী বাংলোর দরজা ভেঙ্গে ভিতরে তছনছ করে এ বাংলোর মূল্যবান সামগ্রী লুটে নেয়। লুটে নেওয়া মূল্যবান সামগ্রী ব্রিটিশ শাসন আমল থেকে এ বাংলোয় রক্ষিত ছিল। এর পর ডাকাতদল একজন পাহারাদারকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী এই চা বাগানের চিকিৎসক এম আমিনুল ইসলামের বাংলোয় হানা দিয়ে পিছনের দরজা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবশে করে তছনছ করে চিকিৎসকের স্ত্রীর কানের ও হাতের স্বর্ণালংকারসহ নগদ কিছু অর্থ লুটে নেয়।
চিকিৎসক এম আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ডাকাতদল পিছনের দরজা ভাঙ্গার সময় তার স্ত্রী মুঠোফোনে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন করলেও কথা বলতে পারেননি। ওপর দিক থেকে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের বাংলোয় ড্রয়ার ও আলমারী ভাঙ্গনের শব্দ টের পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশি অভিযান টের পেয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যাবার সময় জেগে উঠা বিক্ষোব্দ চা শ্রমিকদের লোহার রডের আঘাত ও দায়ের কূপে জীবন মিয়া (৩৫) নামের এক ডাকাত সদস্য গুরুতরভাবে আহত হয়ে ধরা পড়ে। পরে পুলিশ সদস্য তাকে উদ্ধার করে ভোর রাতে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহতাবস্থায় ধরা পড়া ডাকাত সদস্য জীবন মিয়া সিলেটের বটেশ্বর এলাকার মন্নান মিয়ার ছেলে।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাসির উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
মন্তব্য করুন