কমলগঞ্জে ছাত্রলীগের ১০ সদস্য বহিষ্কার নিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যাহারে যৌথ সভায় আল্টিমেটাম
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে ৪ ডিসেম্বর রাতে উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারন সম্পাদক আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমানকে সংবর্ধনা প্রদান করে ইউনিয়ন যুবলীগ। সংবর্ধনা সভার শেষ পর্যায়ে মঞ্চে অবস্থান নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সানোয়ার হোসেনের সাথে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার সাথে বাক বিতন্ডাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ একাংশের সদস্যরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ ঘটনায়
৭ ডিসেম্বর শমশেরনগর এলাকার ছাত্রলীগের ১০ সদস্যকে বহিষ্কার করে উপজেলা ছাত্রলীগ। বহিস্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শমশেরনগর বাজারে একটি ঝাড়– মিছিল বের হয়। বহিস্কারের এই সিদ্ধান্তকে অগঠনতান্ত্রিক দাবি করে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আল্টি মেটাম দেওয়া হয়েছে।
৯ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত আটটায় শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় নতুন এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার রাত আটটায় কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেনের সভাপতিত্বে শমশেরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৪ ডিসেম্বরের সংবর্ধনা সভার ঘটনা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃতদের কোন প্রকার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়নি। যেসব নেতা ছাত্রলীগ সদস্যদের বহিষ্কার করেছেন, সেসব নেতাদেরও বৈধতা আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ বহিষ্কারাদেশ আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যাহার করতে সভা থেকে আল্টিমেটাম প্রদান করা হয়। অন্যতায় কঠোর কর্মসূচী প্রদান করা হবে।
তরুন লীগ কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইউপি সদস্য হাফিজুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামলীগ সহ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য অধ্যাপক ফজুলুর রহমান, শমশেরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ, উপজেলা যুবলীগ সদস্য হাজী আকমল মাহমুদ, শমশেরনগর ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য শেখ মুমিত ইফতেখার, শমশেরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সদস্য মোস্তাকিম আহমদ, রাসেল আহমদ ও মুহিবুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন