কমলগঞ্জে ধর্ষণে শিকার এক স্কুল ছাত্রী ॥ ধর্ষক আটক
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ কমলগঞ্জে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। ধর্ষক পালিয়ে গেলেও পৌরসভার মেয়রের উদ্যোগে জনতা ধর্ষককে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
শনিবার ১ অক্টোবর সকাল আটটায় পৌরসভার দক্ষিণ কুমড়াকাপন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
চার সন্তানের জনক মোদী দোকানী কর্তৃক জানা যায়, দক্ষিণ কুমড়া কাপন গ্রামের রিক্সা চালক জুম্মা উদ্দীনের মেয়ে ভানুগাছ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ( হালিমা বেগম-১০) চিনি কিনতে এলাকার হেলাল উদ্দীন (৫০)-এর মোদী দোকানে যায়। এসময় একা পেয়ে চার সন্তানের জনক মোদী দোকানী হেলাল উদ্দীন চিনি কিন্তে মেয়েকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ধর্ষক নিজ উদ্যোগে তাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ছাত্রীর অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হলে পরে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বিষয়টি ধামা চাপা দিতে ব্যর্থ হলে ধর্ষক পালিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ নির্যাতিতা ছাত্রীর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরে তিনি নিজ উদ্যোগে খোঁজ নিয়ে শনিবার রাত ১০ টায় জনতার মাধ্যমে শমশেরনগর বাজার থেকে পলাতক ধর্ষক হেলাল উদ্দীনকে ধরে থানায় সোপর্দ করেন।
নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা রিক্সা চালক জুম্মা উদ্দীন বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগটিকে মামলা হিসাবে গ্রহন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে বলে তিনি দাবী করেন।
কমলগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক জাহিদুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নির্যাতিতা শিশুর বাবা রিক্সা চালক লিখিত অভিযোগ দায়ের করছে। তিনি আরও ধর্ষক গ্রেফতা হিসাবে আছে। আর অভিযোগটিকে মামলা হিসাবে গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন