কমলগঞ্জে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল কিশোরী লিপি
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ বিয়ের আয়োজন প্রায় সম্পন্ন করার পর অবশেষে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের ঈদগাহ টিলা গ্রামের লিপি বেগম (১৫) নামের এক কিশোরী। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার ১২ জুলাই রাত সাড়ে ১০টায় কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল আলমের নির্দেশে স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শেখ রায়হান ফারুক সরেজমিন গিয়ে এ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করেন।
শমশেরনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শেখ রায়হান ফারুক জানান, ঈদগাহ টিলা গ্রামের দিন মজুর ইসরাইল মিয়ার মেয়ে লিপি বেগম (১৫)-এর সাথে তার আপন খালাতো ভাই পরিবহন শ্রমিক শাকেল মিয়া (২২)-র বিয়ে ঠিক হয়। নিজেদের মধ্যে আত্মীয়তা বলে উভয় পক্ষ ঘরোয়ভাবে সোমবার রাতে বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। গ্রাম থেকে অভিযোগে পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল আলম মুঠোফোনে তাকে (ইউপি সদস্যকে) নির্দেশনা দিলে রাত সাড়ে ১০টায় তিনি ঈদগাহ ঠিলা গ্রামে ইসরাইল মিয়ার বাড়ি গিয়ে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ না হলে মেয়ের বিয়ে দিতে বাঁধা দেন। এতে আইনী নিষেধাজ্ঞা আছে। আইন অমান্য করে বিয়ে দিলে তা হবে দন্ডনীয় অপরাধ বলে তিনি কিশোরী বাবাসহ পরিবার সদস্যদের অবহিত করেন।
ইউপি সদস্য শেখ রায়হান ফারুক আরও বলেন,বর শাকেল মিয়ার জন্ম নিবন্ধন কার্ড প্রদর্শণকালে দেখা যায় তার বয়স ২২ বছর। তবে কিশোরী লিপির কোন জন্ম নিবন্ধন প্রদর্শণ করতে পারেননি তার বাবা-মা। এ অবস্থায় সোমবার রাতেই ঘরোয় এ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ হয়ে যায়।
কমলগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল আলম শমশেরনগর ইউনিয়নে এক কিশোরীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সে প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি বলে এ বিয়ে বন্ধ করা হয়।
মন্তব্য করুন