কমলগঞ্জে বানিজ্যিকভাবে কুচিয়া চাষ ॥ আর্থিক সংকটে বাঁধা
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ কমলগঞ্জ উপজেলার তিলকপুর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মণিপুরি রাজেন্দ্র সিংহ বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছেন কুচিয়া চাষ। কুচিয়া দেখতে সাপের মত। এর রয়েছে বিভিন্ন নাম কুঁচে, কুঁচে মাছ, কুচিয়া, কুইচ্চা বা কুচে বাইম। এটি একটি ইল-প্রজাতির মাছ। Sybranchidae পরিবারের অন্তর্গত এই মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Monopterus cuchia|
কুচিয়া সাধারণত কাদাতে থাকে। কাদা খুড়ে খুড়ে এগুলো সংগ্রহ করতে হয়। মৌলভীবাজার জেলার চা বাগানে চা শ্রমিকদের উন্নত ও সুস্বাদু খাবারের মধ্যে কুচিয়া অন্যতম একটি খাবার। এছাড়া কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে মানুষ বিভিন্ন রোগের প্রতিকারের জন্যও এগুলো খায়।আলাপকালে রাজেন্দ্র সিংহ জানান, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা হীড বাংলাদেশ এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৫ কেজি কুচিয়া দিয়ে শুরু করেন কুচিয়ার খামার। কুচিয়া রাখার জন্য ১টি ট্যাংকি পাকা করে এর মধ্যে পানি রেখে এর চাষ শুরু করেন। এখন ট্যাংকির পাশে আর একটি ট্যাংকি বানানো হয়েছে বাচ্চা প্রজননের জন্য।
বাচ্চা প্রজননের জন্য ট্যাংকিতে বর্তমানে ১০টি স্ত্রী ও একটি পুরুষ কুচিয়া রাখা হয়েছে। কুচিয়াকে খাবার হিসেবে কেঁচো, ছোট ছোট মাছ, সুঁটকির গুরা এবং মাছের খাবার দেওয়া হয়। তিনি আর জানান, বর্তমানে খামারে প্রায় ৭০ কেজি কুচিয়া আছে। এটা একটি লাভজনক ব্যবসা। হ্ওারে যারা কুচিয়া ধরে তাদের কাছ থেকে বাচ্চা কুচিয়া ৩০০ টাকা কেজি দরে কিনে এনে খামারে রেখে বড় করে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে কেজি বিক্রি করে। একটি কুচিয়া প্রায় ২ কেজির চেয়ে বেশি ওজনের হয়। তবে আর্থিক সমস্যার কারনে তিনি এই কুচিয়া খামারটিকে বড় করতে পারছেন না। পারছেননা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, কুচিয়া ও কাঁকড়া চাষের প্রকল্প মৎস্য বিভাগের আছে। আমরা খোঁজ খবর নিয়ে চাষী পর্যায়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদেরকে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে খামারী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন