কমলগঞ্জে মির্ত্তিঙ্গা চা বাগানে স্বামীর কুড়ালের আঘাতে স্ত্রী খুন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ কমলগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর কুড়ালের আঘাতে চার সন্তানের জননী রমনী তাঁতী (৩২) নামক এক নারী চা শ্রমিক খুন হয়েছেন। হত্যার পর স্ত্রীর মৃতদেহ ঘরের ভিতর রেখে দরজা বন্ধ করে ঘাতক স্বামী পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার ২৪ জুলাই উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মির্ত্তিঙ্গা চা বাগানের মাদ্রাজী টিলা শ্রমিক বস্তিতে।
মির্ত্তিঙ্গা চা বাগান সূত্রে জানা যায়, মির্ত্তিঙ্গা চা বাগানের মাদ্রাজী টিলার হরিকিশোন তাঁতী (৩৮)’র সাথে স্ত্রী রমনী তাঁতীর বিভিন্ন সময় পারিবারিকভাবে ঝগড়া ঝাটি হয়। রোববার দুপুরে ঝগড়া হলে স্বামী হরিকিশোন ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী রমনীকে দেশীয় কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় সাথে সাথে স্ত্রী মাটিতে লুটে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে। পরে স্ত্রীর লাশ ঘরে রেখে স্বামী ঘরের দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়। হরিকিশোন তাঁতি ও রমনী দম্পতির ২ ছেলে, ২ মেয়ে রয়েছে। ঘটনার সময় বাড়ীতে কেউ ছিলেন না। বড় ছেলে মৃর্ত্তিঙ্গা চা বাগানের ষ্টাফ, ছোট ছেলে কলেজে, একটি মেয়ে বিবাহিত ও অন্য মেয়ে হাইস্কুলে পড়ে। দুপুর ২টার দিকে ছেলে সুদীপ তাঁতী কলেজ থেকে এসে ঘর বদ্ধ দরজা খুলে মায়ের রক্তমাখা লাশ দেখে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসেন। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই কৃষ্ণ মোহন দেবনাথ লাশের সুরতাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ধর্না বাউরী বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে। হরিকিশোন তাঁতী পলাতক রয়েছে। পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল জব্ধ করে। এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় নিহত নারী শ্রমিকের পরিবারের পক্ষ থেকে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মৃর্ত্তিঙ্গা চা বাগানের স্থানীয় ইউপি সদস্য ধনা বাউরী।
মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন স্বামীর হাতে স্ত্রী (নারী চা শ্রমিক) নিহত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন