কমলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই যুদ্ধাহত হিসাবে ২০ জনের আবেদন, ৪১ জনের নতুন করে আবেদন। প্রথম দিনে অবহিতকরণ করে ২৫ ফেব্রুয়ারি নিরিক্ষণ শুরু
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ কমলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইকালে ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধাহত হিসাবে অন্তুর্ভুক্তির আবেদন করেছেন। ৪১ জন ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অন্তভূক্তির নতুন করে আবেদন করেছেন। প্রথম দিনে সকলের উপস্থিতি না থাকায় স্বাক্ষ্য প্রদানে তিনজন করে মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতি নিশ্চিত না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অন্তর্ভূক্তিতে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সম্পর্কে অবহিতকরণ করে প্রথম দিনের কার্যক্রম শেষ করা হয়। পরবর্তীতে ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার আবেদনের উপর নিরিক্ষণ শুরু হবে যাচাই বাছাই কমিটি সূত্রে জানা যায়। শনিবার ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় কমলগঞ্জ উপজেলা মিলনায়তনে এ যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।
মৌলভীবাজার- ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) যাচাই বাচাই কমিটির সদস্য উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে শনিবার প্রথম দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। ৭ সদস্যের যাচাই বছাই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, জামুকা প্রতিনিধি কুলচন্দ্র তাঁতী, সদস্য সচিব কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিনিধি নির্মল কুমার দাস, জেলা কমিটির পক্ষে রিয়াজ উদ্দীন, ক্যাপ্টেন (অব:) সাজ্জাদুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মোনিম তরফদার। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. জামাল উদ্দীন, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রফিকুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন।
কমিটির সদস্য কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল আলম জানান, অন লাইনে আবেদনকৃত ৩৫ জনের নামের তালিকা মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে। ১৭ জন কমলগঞ্জে নিজে উপস্থিত হয়ে আবেদন করেছেন। আবেদনকৃতদের মাঝে ২০জন যুদ্ধাহত হিসাবে অন্তর্ভূক্তির আবেদন করেছেন। আবেদনকৃতদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন না ও বিধি মোতাবেক স্বাক্ষ্য হিসাবে তিনজন মুক্তিযোদ্ধার নাম উল্লেখপূর্বক তাদের উপস্থিত নিশ্চিত না করায় প্রথম দিনে কোন যাচাই বাছাই করা যায়নি। কারো বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে যাচাই বাছাইকালে অভিযোগ পেলে তা নিরিক্ষণ করে দেখা হবে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন