কমলগঞ্জে লাউয়াছড়ায় গাছ পড়ে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ বৈদুতিক খুটি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ বিপর্যয়
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ বৃহস্পতিবার রাতের ঝড় আর ভারী বৃষ্টিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকায় পাহাড় ধস ও গাছ পড়ে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক পথে যানবাহান চলাচলে বিঘœ ঘটে। এছাড়া লাউয়াছড়া পাহাড়ের রেলপথে গাছ পড়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ১ঘন্টা ট্রেন যোগাযোগ বিঘœ ঘটে। কয়েকটি স্থানে ১১ হাজার কেভি বৈদ্যুতিক লাইনে ৫টি খুটি ও ২৯টি স্থানে গাছ পড়ে তার ছেড়াসহ বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। সাড়ে ১৪ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়।
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার পর থেকে ধমকা বাতাসের সাথে বৃষ্টি শুরু হয়। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ কয়েকবার আসা যাওয়া করে। রাত ১২টার পর থেকে প্রচন্ড বেগে ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এর পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সারা রাতের টানা বৃষ্টিতে আর ঝড়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতর কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক পথে কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস হয়। পাহাড় ধসের কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে কমলগঞ্জ শ্রীমঙ্গল সড়ক পথে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। শুক্রবার ভোরে রাস্তার উপর পড়ে থাকা মাটি সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এক সাথে রাতে পাহাড় ধসে জাতীয় উদ্যানের ভিতর কয়েকটি স্থানে রেলপথের উপর মাটি পড়ে। ঝড়ের কারণে গাছ ভেঙ্গে পড়ে রেলপথের উপর।
কমলগঞ্জ উপজেলাধীণ শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ জানান, এ অবস্থায় ভোর রাত ৩টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে রেলপথ থেকে মাটি ও ভেঙ্গে পড়া গাছ সরিয়ে এক ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনালের এজি এম (কম) গোলাম ফারুক জানান, ঝড়ের কারণে আদমপুর ইউনিয়নের নঈনারপার গ্রামে ১১ হাজার কেভি বৈদ্যুতিক লাইনের দুটি খুটি, মাধবপুর ইইউনিয়নে ১১ হাজার কেভির বৈদ্যুতিক লাইনের একটি খুটি ও কুরাউড়া উপজেলার রবিবর বাজার এলঅকায় ১১ হাজার কেভি বৈদ্যুতিক লাইনের ২টি খুটি ভেঙ্গে পড়ে। তাছাড়া মোট ২৯টি স্থানে গাছ ভেঙ্গে পড়ে তার ছিড়ে ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার ভোর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে মেরামত কাজ করে সাড়ে ১৪ ঘন্টা পর বেলা আড়াইটায় কমলগঞ্জ উপজেলা সদর, শমশেরনগরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে। এখনও অধিকাংশ গ্রাম বিদ্যুৎ বিহিন রয়েছে।
এ দিনে টানা বৃষ্টিতে কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুর হক নদ নদী ও পাহাড়ি ছড়ার পানি বৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইসলামপুর ইউনিয়নে পাহাড়ি ডালুয়া ছড়ার দুটি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত করেছে।
মন্তব্য করুন